আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমান দূর্ঘটনার শেষ মুহূর্তে পাইলট রা কি বলেন। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে উদ্ধার করা জীবনের শেষ শব্দ। (সতর্কতা: দুর্বল চিত্তরা আসবেন না)

Speak no evil, hear no evil, see no evil.

প্রথমেই বলে রাখি আজ যে পোস্ট লিখতে যাচ্ছি তা অনেকের জন্যই বেশ কস্টের মনে হবে। এ পোস্টের উদ্দেশ্য একটা টেকনোলোজি সম্বন্ধে জানানো এবং আমাদের নিজের জীবন কে এপ্রেশিয়েট করা। জেনে রাখা ভালো যে বিমান ভ্রমন পৃথিবীর সবচে' নিরাপদ ভ্রমন এবং বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা ১.১ কোটিতে ১ জন যেখানে গাড়ী দুর্ঘটনায় ৫০০০ এ ১ জন। সুতরাং বিমান ভ্রমন অন্যান্য ভ্রমনের চেয়ে বেশী নিরাপদ। বিমানে দূর্ঘটনা তদন্তে সাহায্যের জন্য দু'ধরনের বাক্স থাকে।

ব্ল্যাক বক্স বা ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার। এটার রং কালো নয় বরং কমলা যাতে দূর থেকে এটাকে দেখা যায়। এটার মধ্যে সবসময় শেষ ২ ঘন্টার (সাধারনত) ফ্লাইট ডাটা যেমন উচ্চতা, গতিবেগ, দুরত্ব ইত্যাদি রেকর্ড হতে থাকে। ২ ঘন্টা শেষে আবার নতুন রেকর্ডিং শুরু হয় পুরানোটা মুছে। এটা পানির ১৪,০০০ ফিট নীচে থাকলেও শব্দ বীকনের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। এর মধ্যে পাইলট, কো পাইলট, কন্ট্রোল টাওয়ার এর কথাপোকথন এবং ককপিটের অন্যান্য শব্দ রেকর্ড হতে থাকে। যা হোক কিছু কিছু ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের ট্রান্সক্রিপ্ট বাংলায় দেয়া হোলো যা বিমান দুর্ঘটনার আগের মুহুর্তের রেকর্ডিং। । এটা পড়ে কিছুটা হলেও বোঝা যায় দূর্ঘটনার আগ মূহুর্তে পাইলটদের কি অবস্হা থাকে।

১। এপ্রিল ২০১০, পোলিশ বিমান বাহিনীর বিমান ল্যান্ডিং এর সময়ে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংশ হয়। এতে ৯৬ জন মারা যান যার মধ্যে পোলিশ প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। অটো সিস্টেম - প্লেনের নাক উঁচু কর। এখুনি..এখুনি (গাছের সাথে ধাক্কা খাবার শব্দ...) অটো সিস্টেম - পুল আপ পুল আপ...নাক উঁচু কর.. পাইলট - (চিৎকার) ফাকিং হেল (Fucking Hell) টাওয়ার - অন্য এপ্রোচে যাও...।

পাইলট - (চিৎকার) ওহ ....। ফাআআআআআআআআ...ক (Fuuuuuu....ck)... ২। নভেম্বর ১৯৯৬, ইউনাইটেড এক্সপ্রেস এর বিমান ল্যান্ডিং করার পর মাটিতে থকা অন্য একটা প্লেনের সাথে ধাক্কা খায় এবং দু'টো বিমানই ধ্বংশ হয় ও প্লেনে থাকা সবাই মারা যান। পাইলট - ল্যন্ডিং গিয়ার নামালাম.. পাইলট - মনে হচ্ছে.. কো পাইলট - কি মনে হচ্ছে.? পাইলট - ল্যান্ড করলাম... পাইলট - (হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটা বিমান দেখে) রিভার্স ম্যাক্স...রিভার্স..! পাইলট - ওহ শিট... কো পাইলট - কি হোলো? ওহ নো.. পাইলট - ওহ ফাক মি... ৩। ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৮, চায়না এয়ারলাইনস এর বিমান তাইপে এয়ারপোর্টে নামার সময় ক্রাশ ল্যান্ডিং করে এবং ১৯৬ যাত্রীর সবাই মারা যান।

অটো সিস্টেম - প্লেনের নাক উঁচু কর...অনেক বেশী নীচে চলে এসেছে বিমান.. অটো সিস্টেম - পুল আপ পুল আপ... পাইলট - ওহ মাই গড. পাইলট - ওহ মাই গড... ৪। অগাস্ট ১৯৯৫, আটলান্টিক এয়ারলাইনস বিমান টেক অফ করার পরেই একটা প্রপেলার খুলে পড়ে যায় এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই বিমান মাটিতে আছড়ে পড়ে। পাইলট - ইমার্জেন্সি...ইমার্জেন্সি.। টাওয়ার - তোমরা ঘুরে ল্যান্ড করতে পারবে? পাইলট - চেস্টা করছি.. টাওয়ার - পজিশন জানাও (পাইলট পজিশন জানায় টাওয়ারে) পাইলট - ওহ ঐটা কি??? (ককপিটে প্রচন্ড শব্দ...) (ধাক্কা খাবার শব্দ..) পাইলট - এমি.। আমি তোমাকে ভালোবাসি.।

(এমি সম্ম্ভবত: পাইলটের স্ত্রী) (চিৎকার)... (প্রচন্ড ধাক্কা খাবার শব্দ)... ৫। সেপ্টেম্বর ১৯৭৮, প্যাসিফিক এয়ারলাইনস এবং একটা ছোটো সেসনা বিমান মাঝ আকাশে এনজন আরেকজন কে দেখতে না পাবার জন্য ধাক্কা খায়। কন্ট্রোল টাওয়ার ও এদের দেখতে ব্যর্থ হয়। দু' বিমানের ১৩৭ জন এবং মাটিতে থাকা ৭ জন মারা যান। পাইলট - নীচে একটা সেসনা...!!!!! কো পাইলট - ওহ..! পাইলট - আহ!!!!????? (ধাক্কা লাগার শব্দ) পাইলট - ওহ শিট...! পাইলট - ইজি বেবী....ইজি... পাইলট - কি হোলো? পাইলট - খুব খারাপ অবস্হা.. কো পাইলট - আমরা ধাক্কা খেয়েছি!!!!!! পাইলট - আমরা নীচে নেমে যাচ্ছি...নীচে... টাওয়ার... পাইলট - শেষ হয়ে গেলো সব.. পাইলট - ওহ বেবি...।

পাইলট ... মা..তোমাকে ভালোবাসি..।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.