আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিউশন ফাইভ এবং সবাকের মুখোশ খুলে গেছে

''সংবাদপত্র যা ছাপে তার একটা বড় অংশই হলো 'লর্ড জোনস মারা গেছেন' ধরণের তথ্য। অথচ সেটি যাদের জানানো হয় সেই জনগণ খবরই রাখে না যে লর্ড জোনস বেঁচে ছিলেন''

ফেলানীর মৃত্যুর পর দু:খ সহ্য করতে না পেরে এখন পর্যন্ত ৩২জন শিবির সাথী, ১৯ জন কর্মী এবং প্রায় ১ জন সমর্থক মগবাজারের জনৈক ইউসুফ আখন্দের সীমানা প্রাচীরের ওপরে লাগানো কাঁটাতারের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন (ইন্নালিল্লাহির ডট ডট ডট রাজেউন )। তারপরই মূলত দেশে আগুন লাগে। একের পর এক সিএনজি স্টেশনগুলোর স্টক শেষ হয়ে যায়, দেশের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, মেঘনা নদীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে শাপলা চত্ত্বরে ধেয়ে আসে তুষার বন্যা। চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে এবং ভার্সিটি এলাকায় রাস্তায় নেমে পড়ে পেংগুইনের দল।

এক কথায় সারা দেশের ছাগলের খোয়াড়গুলোতে ঈদের আনন্দ নেমে আসে। তারপর দেশের সকল (গ্রাম, গঞ্জ, চরাঞ্চল, উপকূলীয়) দেশপ্রেমিক ব্লগার প্রায় একই সাথে সিদ্ধান্ত নেন একটি মানববন্ধনের। কারণ এ মানববন্দনটি যতক্ষণ না করবেন, ততক্ষণ তারা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না। ৯০% কষা হয়ে আসা বর্জ্য পরিক্ষেপনের জন্য মানববন্দনটি ফরজ হয়ে যায়। কিন্তু সারা দেশে চালুনি খোঁজা খুঁজেও দেশপ্রেমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

অলি গলি, আগান বাগান, বহুতল ভবনের লিফ্ট, মওদুদীর দাড়ির ফাঁক ফোকর, বোরকার তলা - কোথাও দেশপ্রেমিক নেই। ঠিক সে মূহুর্তে মগবাজার এক্সপ্রেসে চড়ে চট্টগ্রামের বুকে আবির্ভাব ঘরে এক ঝাঁক দেশপ্রেমিকের। ঘনিয়ে আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। হয়ে গেলো মানববন্ধন। হায়! তীব্র কুয়াশার কারণে কষাখোলন বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।

আবারো প্রয়োজন পড়ে মানববন্ধনের। মোদ্দাকথা সারাদেশের কষাবস্থা খোলার জন্য মানববন্ধন ব্যতীত বিকল্প কোন পথ্যের সন্ধান ছিলো না বললেই চলে। আবারো এগিয়ে আসলো মগবাজার এক্সপ্রেস। ২১ জানুয়ারি ডাক আসলো মানববন্ধনের । সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলছিলো।

২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার আকাশে আচমকা এক বজ্রের মতো আঘাত হানলো হারিকেন ফিফা । কোথাও থেকে উদয় হলেন তিনি! এসেই মারমার কাটকাট প্রমাণসহ বলতে লাগলেন "এ মানবন্ধন তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের(!), আপনারা একে বয়কট করুন"। উনার সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়লেন "সবাক " "রাজসোহানের " মতো স্বঘোষিত দেশপ্রেমিকরা। তারা এ মানববন্ধন বানচাল করেই ছাড়বেন। যুদ্ধাপরাধীদের কথা শুনে আমি টিকিট বিক্রি করে দিলাম ব্ল্যাকারের কাছে।

চলো চলো ঢাকা চলো স্লোগান থেকে সরে আসলাম। অবশেষে ৬০জন মতান্তরে ৬১জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত সে মানববন্ধন হয়ে যায় । কিন্তু প্রশ্ন থেকে এ মানববন্ধনের বিরোধিতা নিয়ে। আসলে কি এ মানববন্ধনের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকরা জড়িত ছিলো? যারা মানববন্ধনে গেছেন, বিশেষ করে "শামসীর", "শিপু ভাই", বুয়েটিয়ান আপুর অনুরোধে "পেইড ব্লগার" - উনারা বলছেন "ওদের" সংশ্লিষ্টতা বিন্দুমাত্রও ছিলো না। এতোগুলো মানুষ নিশ্চয় মিথ্যা বলছে না! নেমে পড়লাম অনুসন্ধানে।

প্রথমে গুগল মামার উপর নির্ভরশীল থাকলেও তিনি আমাকে কোন সাহায্য করতে পারেননি। শেষে আমি খবর লাগাই আমার কিছু ভারতীয় বন্ধুবান্ধবের সাথে। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ চালাই ইন্ডিয়ার Central Bureau of Investigation এর জোনাল অফিসার আর.কে মাইডেন এর সাথে। অনেক দরকষাকষির পর জানতে পারলাম Research and Analysis Wing (RAW) এর জনপ্রিয় উইং ভাদা (BHADA) এর চৌকষ দু' অফিসারের নাম। আমি অবাক হয়ে গেলাম নামগুলো শুনে।

যদিও বুকের বামপাশে তখনই চিনচিন ব্যাথা শুরু হয়েছিলো, তবুও ওই দুই বাংলাদেশ বিরোধীর পরিচয়পত্রের স্ক্যানকপি নিতে ভুলিনি। আমি তাদের নাম মুখে আনতে ঘৃন্যবোধ করছি। আপনারা নিজ চোখে দেখে নিন একটু নজর বুলিয়ে। এবং ঘৃণার আকন্ঠ ল্যাদানি নিক্ষেপ করুন উনাদের চোখে মুখে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.