আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার সাবেক ডিসি শওকতকে তলব

* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *

গোপন আদালতে কর্নেল তাহেরের বিচার চলার সময়কার ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এমএম শওকত আলীকে আগামী ১৮ জানুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ওই আদালতের এক সদস্য মো. আব্দুল আলীর দেওয়া এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শুনানিতে সামরিক আদালতের সদস্য মো. আব্দুল আলী দাবি করেন- নিজের অনিচ্ছায় ও ঢাকার তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি কর্নেল তাহেরের বিচারে গঠিত আদালতে যোগ দিয়েছিলেন। আব্দুল আলীর দেওয়া এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শওকত আলীকে আগামী ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আব্দুল আলী বলেন, "মৌখিকভাবে তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের বিরোধিতা করেছিলাম।

বলেছিলাম, শুধু রাজসাক্ষীর ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। " তিনি আরো বলেন, "তাহেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও দুই নারীসহ ৩২ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। সংক্ষিপ্ত বিচারে তাকে দণ্ড দেওয়া হয়। " এর আগে বুধবার হাইকোর্ট ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে '৭৬ এর অগাস্ট পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কর্মরত মেজর জেনারেল নূরুল ইসলাম শিশুসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা ও অবস্থান আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলো। এছাড়া ওই সামরিক আদালতের সদস্য ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল আলী ও হাসান মোরশেদ এবং উইং কমান্ডার আব্দুর রশিদ ও অ্যাকটিং কমান্ডার সিদ্দিক আহমদের অবস্থানও এ সময়ের মধ্যে জানাতে বলা হয় সংস্থাপন ও প্রতিরক্ষা সচিবকে।

১৯৭৬ সালের ৪ জুন তাহেরের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার আদালতে জমা দিতেও নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান চলে। এরই এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমএ তাহেরসহ ১৭ জনকে সামরিক আদালতে গোপন বিচারে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২১ জুলাই ভোররাতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ওই বিচারের বৈধতা নিয়ে তাহেরের ভাই ও স্ত্রীর রিট আবেদনে গত ২৩ অগাস্ট হাইকোর্ট সামরিক আদালতে তার গোপন বিচারের নথি তলব করে।

পাশাপাশি তাহেরের গোপন বিচারের জন্য সামরিক আইনে জারি করা আদেশ ও এর আওতায় গোপন বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্নেল তাহেরের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের এবং সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ ২৩ অগাস্টই ওই রিট আবেদন করেন। ------------------------------ কপি পেষ্টে মাইনাস


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।