আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার তখন ও এখন

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/

ঢাকার অফিসিয়াল বয়স ৪০০ বছর পেড়িয়েছে, আর আন-অফিসিয়াল ৪০০ বছর ধরলে ৮০০ বছর। তবে ইসলাম খাঁ বাংলার রাজধানী গৌর থেকে ঢাকায় তুলে নিয়ে আসার পর থেকেই মূলত ঢাকার গৌরবময় অধ্যায়ের শুরু। কালের গর্ভে অনেক কিছুই নেই, অনেক কিছু এখনো আছে... বুড়িগঙ্গায় জল তো আর কম গড়ায় নি! সেই সব ইতিহাসের ছিটেফোটা অবশিষ্ঠাংশ নিয়ে তাই খানিক তুলনা... ঢাকার তখন ও এখন... ১৮৭২ সালের লালবাগ কেল্লা। ২০০৮ সালের লালবাগ কেল্লা।

১৯০৪ সালে তোলা ছবিতে ঢাকার লালবাগ কেল্লার মধ্যে ঢাকার মুঘল গভর্ণর শেরশাহের কন্যা পরি বিবির সমাধি। পরি বিবির সমাধি... ২০০৮। পেছলে কিল্লার মসজিদ। শাহ সুজা(শাহ জাহানের পূত্র), ঢাকায় গভর্ণর হয়ে আসার পর কেল্লার ভেতরের আবাস পছন্দ হয় নি তার। তাই তার নির্দেশে তৈরী হয় বড় কাটরা নামক এই প্রাসাদ।

কিন্তু শাহজাদার সে প্রাসাদ পছন্দ হয় নি। পরে সেটাকে হোটেল বা কারাভান সরাই হিসেবে রুপান্তরিত করা হয়। চার্লস ড'ইয়েলির আঁকায় ১৮২৩ সালের বড় কাটরার ধ্বংশস্তুপ। বড় কাটরার ধ্বংশস্তুপ... ২০০৮। এখন অবস্থা আরো খারাপ।

একটি মাদ্রাসা চলে এখন এর ভেতর। ১৮৮৫ সালের চকবাজার। পেছনে চকবাজার শাহী মসজিদ, চত্বরের মাঝখানে বেদির ওপর "বিবি মরিয়ম"। এখনকার চকবাজার! [img]http://img7.uploadhouse.com/fileuploads/5190/5190947e2654c53f74eb8ea407b0538237c559e.jpg] 'বিবি মরিয়মে'র বর্তমান আবাস ঢাকার ওসমানী উদ্যানে। ঢাকার সুয়ারী ঘাটের ওপর শাহ সুজার প্রাসাদ ছোট কাটরা।

বড় কাটরা পছন্দ না হওয়ায় ছোট কাটরা বানাবার আদেশ দেন প্রিন্স সুজা। ১৮৭৫ এর ছোট কাটরা। এখনকার ছোট কাটরা। খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। [img]http://img0.uploadhouse.com/fileuploads/5190/519095085b4fea84055daab6e9588a3f80a11d4.jpg] ঢাকার শিয়া সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বকসিবাজারের হোসেনী দালান।

শতবর্শ আগের স্কেচ। হোসেনী দালান... এখন! ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে... বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকার সাতগম্ভুজ মসজিদ। ১৮২২/২৩ এর দিকে স্যার চার্লস ড'ইয়েলির আঁকায়। বর্তমান ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সাতগম্বুজ মসজিদ। নদী এখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঢাকার প্রান্ত সিমায়।

ঢাকেশ্বরী দেবীর নামে নাম ঢাকার। সেই ঢাকেশ্বরী মন্দির... ১৯০৪ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা বল্লাল সেন, সেই ১২ এর শতকে। ঢাকেশ্বরী মন্দির এখন। [img]http://img6.uploadhouse.com/fileuploads/5190/5190956e639f923bf338b56c4403ee3eace8c57.jpg] বুড়িগঙ্গার তীরে মুঘল ঢাকার আরেক সীমা ছিল ঢাকার কেন্দ্রে থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে টঙ্গির তুরাগনদীর তীরে।

বৃটিশ ঢাকা সঙ্কুচিত হয়ে যায় পরে। তারই চিহ্ন ১৮৮০ সালের এই ছবিতে তুরাগ সেতুর ধ্বংশস্তুপ। । মুঘল আমলের ধ্বংশপ্রাপ্ত তুরাগ সেতুর পাশেই বর্তমান তুরাগ সেতু। এখন তৃতীয় সেতুর কাজ চলছে।

দূরে দেখা যায় তুরাগের ওপর রেল সেতু। ঢেউ খেলানো পুরনো তুরাগ সেতুর রেলিং দিয়ে উঁকি দিলেই নিচে দেখা যায় মুঘল সেতুর ধ্বংশাবশেষ। মুঘল ঢাকার আরেক প্রান্তে বিখ্যাত পাগলার পুলের ধ্বংশাবশেষ। ১৮০৮ সালে ড'য়েলির আঁকায়। [img]http://img0.uploadhouse.com/fileuploads/5191/5191130b30c71d866f53b9c627dfe0d3be91224.jpg] সেই পাগলার পুলের নিচের খালটিও এখন আর নেই।

দাঁড়িয়ে আছে শুধু টাওউয়ারের মাথা। ২০০৭ এর ছবি। ৮০০ বছর আগে ঢার প্রতিষ্ঠা কালে তার এক দিকে ছিল বুড়িগঙ্গা, আর বাকি তিন দিকে ছিল দোলাই খাল। বৃটিশ পিরিয়ডে তারই ওপর ঝুলন্ত সেতু, ১৮৮০। দোলাই খালের সেই সেতু।

দোলাই খাল এখন রাস্তার নিচ দিয়ে বয়ে চলা বক্স-কালভার্ট। ওর ওপর এখন ধোলাইখাল সড়ক। এই হল অবশিষ্ঠ দোলাই খাল। ১৯০৪ সালের নর্থব্রুক হল। তখন এটি ঢাকার টাউন হল।

আজকের নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি বা লালকুঠি। তখনকার নর্থব্রুক হল। ঢাকার নবাবদের বাস ভবন আহসান মঞ্জিলের সামনের লনে স্যার ফুলার এর সম্মানে গার্ড অব অনার, ১৯০৫। স্টীমার ঘাটাটা এখনো আছে ওখানে। ১৯শতকের টর্নেডোয় বিধ্বস্ত আহসান মঞ্জিল।

১৯৮০র দশকে সংস্কারের পর আহসান মঞ্জিল। কপি-পেষ্ট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।