একজন রমণীর একটি বসন্ত
কাজলরেখা
শ্যামবরণ রং তার
মেঘ কালো চুল
হরিণের চোখ যেন
সমুদ্র বিপুল
নাক নয় বিষের বাশী
শুধু যেন নয় হাসি
অধরে ফোটেঁ যার ডালিম ফুল
বক্ষ শুধু নয় নারীর স্তন
যেন দুটি আধফোঁটা পদ্ম,
তিন প্রহরের বিলে
সাপের সাথে মিলে
কি যে রঙ্গিন খেলা যেন ফুটেঁছে সদ্য।
তার কথাই ভেবে হারিয়েছি আমি কুল
জানিনা এ আমার মধ্যেপথের কেমনতর ভুল
একটু পরেই দেখি ছোট্ট বকুল
একি ভুল একি ভুল
যত যাই তত হই আরো ব্যাকুল
শেষ প্রান্তে এসে দেখি
নীল অপরাজিতা
ভরা পূর্ণিমাতে সে হয় জোৎ¯œার ফুল
পঞ্চফুলের সমারোহে
সে এক বাহারি কাঠাঁলিচাপাঁ
অমায়িক ব্যবহার আর
সর্বগুণে গুণান্বিত
এমন একজন রমণীর একটি বসন্ত।
দুরন্ত রমণী দুর্গম পথে চলে
পেরোয় সব বাধা নিজ বুদ্ধিবলে
পুরুষের প্রতি দারুন ক্ষোভ
ঘর-সংসারের প্রতি নেই একটুও লোভ
তখন হেমন্ত
কোন এক গোধুলি লগ্নে
সে হেটেঁ চলেছে অজানা বিহঙ্গপানে
এমনই ক্ষণে
বার্তা এলো সেল ফোনে
“ জীবনে মানুষ কতদিনই বা বাচেঁ
তাহলে মানুষে মানুষে কেন এত দ্বন্দ্ব
কি লাভ রেখে কবিতায় অমিলের ছন্দ”।
হঠাৎ পথ থামা
তারপর ফোন করা কে আপনি?
আমি মানুষ
আমাকে মেসেজ দিয়েছেন কেন?
আপনি আমায় না চিনলেও
আপনারে আমি জানি
অতিপরিচিত সে জন
আপনার কথা বলেছেন যিনি
বাদ দেন এসব
আসেন দুজন দু’জনারে নতুন করে চিনি
কিছুদিন বাক্য বিনিময়ে
দেখা হলো দুজনা
হলো চেনা জানা
এরপর শুরু হৃদয়ের লেনাদেনা
০২ নভেম্বর ২০০৯
ধুপ জ্বালানো সন্ধ্যে রাতি
কার প্রতিক্ষায় জ্বলে বাতি
দুয়ারে পড়লো তার পা
আলোকিত হলো আধার যা
রমণীতো নির্বাক
জানেনা তার ভাসানো তরীর এ নদীর কোন বাঁক
ভরা পূর্ণিমার রাতে
মিলেমিশে এক সাথে
দেব-দেবীর এ কোন লীলা
যেন জানেনা কেউ, দেখেনি কেউ
নর-নারীর অঙ্গের মেলা
তীব্রবেগে তুমুল ঝড়
ন্ধদয় কাপেঁ থরথর
হীমশীতল নিশীতে
হঠাৎ নামলো বৃষ্টি
শুরু হলো রোমাঞ্চিত যমুনার
স্বর্গ প্রেমের সৃষ্টি।
ক্ষুদ্রতা,নীচতা,স্বার্থপরতা,
চাওয়া-পাওয়া, সবকিছু
ছাড়িয়ে খুজেঁ পেলো একটি সুখ
নাম “ভালোবাসা”।
“ভালোবাসা”
সারানিশী রমণী আনন্দে বিভোর
দু‘চোখে স¦প্ন একেঁ হলো আজ নতুন ভোর
রমণী, নয় আজ কুমারী
সে হয়েছে এক পুরুষের প্রেম-পূজারি
ভুলে গিয়ে জীবনের পার্থিবতা
তার মুখে যপে শুধু ভালোবাসার কথা
তাও এক পুরুষকে
নারীর কুমারিত্ব ঘুচায় যে
“পুরুষ” সেতো পশুর এক অন্য নাম
দিতে জানেনা ভালোবাসার নায্য দাম
হয় যত হোক নারীর বদনাম।
তার শুধু একটি চাওয়া
সুযোগ বুঝে বীর্য দেওয়া
রমণীর অবুঝ মন
সপেঁ দেহ মন
নিরবে নিভৃতে কাদেঁ প্রতিক্ষণ
যখন যেখানে প্রেমিকের হাওয়া
সেখানেই রমনীর ছুটে যাওয়া
একি প্রেম যেখানে নেই কোন ভয়,
নেই কোন হায়া !
১০ জানুয়ারি ২০১০
এখন বসন্ত
পাখির গান আর ফুলের টান
জোৎ¯œাভরা রাতে কোড়ঁক দুটি ফুঁটল আবার
হলো লাল পদ্ম
মানে রমণী হয়েছে জননী
শরীরের সমস্ত ক্ষুধা,সুখ আর ভালোবাসা
দিয়ে ১ মাস ১৮ দিন করে লালন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০
বাচাঁতে পুরুষের সম্মান
র্নিবিঘœ চিত্তে করতে যায় নারীত্ব বর্জন।
একে কি বলে
সত্তা নিধন নাকি দেবিত্ব অর্জন???
হায়রে প্রেম!
চার দেয়ালের ভীতর আছে চারজন
কলংকের খুন করতে গুম অস্ত্র হাতে একজন
আরেকজন দুটি হাত করে বাধঁন
খুন ধরার পাত্র হাতে থাকে অন্যজন
তিনজন বিবেচ্যর মাঝে থাকে যে জন
কেউ কি বুঝতে পারে তার কি বেদঁন???
জরায়ুর ভ্রুন থেকে
যোনীর মুখে দুটি অস্ত্র রেখে
এক খন্ড মাংস পিন্ড
টেনেহিচঁড়ে বের করা
অস্থিমজ্জাগুলি চুরমার
বুকের আঠার জোড়া হাঁড়
ভেঙ্গে ছারখার
প্রসব বেদনায়ঁ কাতর
চাপাঁ কান্না রমণীর বুকের ভীতর
মা ,মা কয়েকটি ডাক তারপর
ধমনী- শিরা নিশ্চল,
জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস র্সবাঙ্গ শিথীল
রমণীর চোখেঁর কোনে গড়িয়ে পড়লো
কয়েকফোটাঁ অশ্রুজল।
কোনরকম সুস্থতা লাভ করে
রমণীর বর্হিগমন
...................
প্রথম স্ত্রীর কলে
সেই পুরুষ বলে
কে তুমি আমার
ডাকো কেন আমায়
তুমি করে সম্বোধন???
আমি তোমার কেউ নই
তাই করবেনা যোগাযোগ
আর কোনদিন
পাথর বুকে চেপে রমণীর প্রস্থান
প্রেমিকের ছায়া মাড়িয়ে
রমণী যায় হারিয়ে
৩ মাস ১৩ দিন পর
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
১৩ জুলাই ২০১০
আবার একা
প্রেমিকের সাথে দেখা
একধারে সবুজবন একধারে নদী
কি দোষ রমনীর
প্রিয়তম’র তরে হারায় মন যদি???
শুরু হলো হলি খেলা
বসিল রঙের মেলা
নেমে এল স্বর্গ তরী
বাইলো নৌকা সারারাত ধরি
ভালোবাসা আর ভালোবাসা
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
যেতে লাগল সময় দিন
বাজঁতে থাকল প্রেমের বিন
রমনীর চোখে স্বপ্ন রঙিন
সাজাঁেব ফুলের বাসর
বসাবে প্রেমের আসর
গুনে গুনে একদিন
৩ মাস ১৭ দিন
০১ নভেম্বর ২০১০
যেন ভালোবাসা পেল যশ
পরে লাল শাড়ি
বধুঁ সেজে তারি
দেখতে থাকে তিন কাটাঁর ঘড়িঁ
রাত ৮.৪৫ পলে
তিনবার কবুল বলে
রমনী হলো ঘরণী
আসলে
ঘরণীর হলো না ঘর
পেল শুধু নামে বর
তাই আর হলোনা বাসর
স্বামী গেল অন্য ঘরে
যে ঘরে আর এক নারী বসত করে
ক্ষনকাল পরে
দু’চোখের অশ্রুভারে
মেহেদি শুকায় অনন্ত
এমনি করে কেটে গেল
একজন রমণীর একটি বসন্ত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।