আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুমি আমরণ আমার পাশেই থাকো



যে আমারে ধরে রাখতে পারবে আমি তার কাছেই থাকব। জীবন কোন দিকে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। তবে খুব বুঝতে পারছি রমনীর মন হচ্ছে- রত্ন। আর যে কোনো রত্নই তো অর্থ দিয়ে কেনা যায়। আসলে এ দেশের সমস্ত নারীই পন্যা।

একজন ধনী মানুষ ইচ্ছা করলেই কোনোও রুপসী নারীকে সে নিজের ঘরনী করতে পারে। একজন কেন এরকম একাধিক রমনীকেও যদি সে নিজের অধীনে রাখতে চায় তাহলে সমাজ তাকে বাঁধা দিবে না। ধর্ম তো নয়-ই। আবার ভাবি,অর্থ থাকলে রমনীরত্ন যত খুশি ক্রয় করা যায়। কিন্তু তাদের মন জয় করা যে কত কঠীন,তা ক'জন জানে?অনেকে মনের খবরই রাখে না।

অথচ মন না পাওয়া গেলে শরীরেও ঠিক স্বাধ পাওয়া যায় না। আকাশে তারা ভরা। নির্মেঘ। বেশ শীত পড়েছে। স্রোতের শ্যাওলার মতোন আমি ভেসে হেসে বেড়াচ্ছি।

বেশ বুঝতে পারছি আমার জীবন সম্পূর্ন অর্থহীন,উদ্দেশ্যহীন। কোথাও আমি স্থির হয়ে থাকতে পারি না। কখন কি করব আগে থেকে কখনও ভাবতে পারি না। অথচ আমি সন্ন্যাসী বা নাস্তিক নই। তবুও বুঝি নিরাকার ঈশ্বরের কাছে কিছু প্রার্থনা করা যায় না।

চোখ বুঁঝে যার কোনোও রুপ কল্পনা করা যায় না,তার কাছে কি কিছু চাওয়া যায়?আসলে এ জীবনে আমি সুখ পাবো না,এটাই আমার নিয়তি। যখনই আমি এক বুক আশা নিয়ে একটা সুস্থির জীবন পেতে চাই,তখনই সব কিছু এলোমেলো, তছনছ হয়ে যায়। শীতের মধ্যেও আমি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ঘেমে যায়। আমি কি উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি?না,না আমি উন্মাদ-দশা চাই না,আমি রাজিব নূর,আমি নিউটনের সুত্র জানি,যেমন জানি বাংলা,অংক,ধর্ম,অর্থনীতি,ভূগোল আর লজিক। দশ বছর ধরে আমার মন বিকল হয়ে আছে।

বিশেষ কোনো ভালো লাগা মন্দ লাগা নেই। আমি সব সময়ই নারী জাতির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলি। নারীরা আমার জীবনে শুধু ঝামেলাই ডেকে আনে এবং তারাও ঝামেলায় পড়ে। ভবিষৎ সম্পর্কে আমার কোনোও পরিকল্পনা নেই। নিজেকে আমি সমাজ ছাড়া মনে করলেও সমাজ আমাকে ছাড়ে না।

পৃথিবীর কাছে আমার আর কোনো প্রত্যাশা নেই। সুখ আর রাজিব নূর এ যেন পরস্পরের বিপরীত। মাঝে মাঝে বুকের ভেতরে টনটন করে ব্যথা করে। খুব ব্যথা হয়,তবে ব্যথাও যেন একটা নেশা। নেশাটা আমি অনেক উপভোগ করি।

পুরোপুরি সুস্থতা নিয়ে আমি কি করবো?সুস্থ মানুষের অনেক রকম ব্যস্ততা থাকে,আমার তো কিছুই নেই। ইচ্ছে করে সব সম্পর্ক শেষ করে দূরে কোথাও চলে যাই। আমার ড্রয়ারে একটা লাইটার আছে। প্রতিদিন সকালে আমি লাইটার দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষন চুপ করে বসে থাকি। আমার সমস্ত ব্যথা-বেদনা-আনন্দ আমি এই লাইটারটিকেই নিবেদন করি।

এক একদিন মাঝ রাতে হঠাৎ করে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন সমস্ত শরীরে ছটফটানি ভাব আসে। এক আকাশ দারুন নিঃসঙ্গতা যেন ভূতের মতন চেপে ধরে। আবার কোনোও রাতে হিমিকে স্বপ্ন দেখলেও এমন হয় কিন্তু সেই লাইটারটি আমাকে হিমির কথা ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু আমি খুব ভালো করেই জানি, যতই দূরত্ব হোক- বন্ধন কিছুতেই মুছে ফেলা যায় না।

আমি তো নির্বোধ নই। সবই বুঝি। কারো কারো সাথে দূর থেকেই বন্ধুত্ব করাই ভালো। বেশিক্ষন গুরুগম্ভীর মুখ করে থাকতে পারি না। হাসাহাসি না করে থাকতে পারি না।

কেউ কেউ আমার রসিকতা একদম সহ্য করতে পারে না,আমি তাদেরকে বলি- আমি বঙ্গ সন্তান,বিরস মুখে থাকব কেন?হা হা হা...। আগে মানুষকে অন্নদান,তারপর বিদ্যাদান,তারপর ধর্ম। আমি ঠিক যেমনটি চাই,তেমনটিই হওয়া চাই। যদি সার্থকথায় ভাসি- সে আমার বুদ্ধিতেই হবে। আর যদি ব্যর্থতায় ডুবি তো নিজের বুদ্ধিতেই ডুববো।

অন্য কারো বুদ্ধিতে চলার পাত্র আমি নই। আমি লক্ষ্য করেছি ধনী কন্যাদের মুখে একটা সারল্যের ভাব থাকে,তারা টাকা পয়সার হিসেব বোঝে না। বাস্তব রুক্ষতার সাথে পরিচয় না থাকার ফলে তাদের দৃষ্টিতে থাকে বিস্ময়ে ভরা,আর গরীর ঘরের মেয়েদের সেই ভাবটি বোঝাই সম্ভব নয়। যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে,তার সবই সুষ্ঠভাবে সম্পূন্ন হয়। "মরননীশি আসিবে যখন সুখের জলে ভরিবে নয়ন থেমে যাবে সব জীবনের যত কলরব।

সেই মুহুর্তে তোমাকে পাশে চাই। বিদায় বেলায় নয়ন ভরে শুধু তোমাকে দেখতে চাই। "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.