আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিপ্পি পাহাড়ের সন্ধানে



ভ্রমণ বাংলাদেশ প্রতি বৎসর টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিমি হাঁটার আয়োজন করে। এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাঁটার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু ভ্রমণ বাংলাদেশের আয়োজনে কখনো বান্দরবানের সিপ্পি ট্রেকিং করা হয় নি । তাই বন্ধুদের আহবানে এবার সিপ্পি যাবার পরিকল্পনা করা হলো। টিকেটের জন্য যতটা কষ্ট করলো আবু বকর তাই লেখার ক্ষমতা আমার নেই ।

এস. আলম বাস সার্ভিসের মাহাবুব ভাই সহ অন্য কাউন্টারের সবার সহযোগীতায় টিকেট পেলাম । যদিও ২৩ জনের জন্য ২২ টিকেট । বাজারে টুটু ভাইকে সহযোগীতা করলেন আমাদের খোকন ভাই । ড্রাই ফুডে ম্যাংগো বার, আচার, চকলেট সাথে আবু বকর চমৎকার খেজুর যোগ করলো । কয়েকজনকে মিটিংয়ে আর বাকি সবাইকে ফোনে ডিটেইল জানানো হলো ।

রিমনের বাসায় থাকা ভ্রমণ বাংলাদেশের কিচেন সেট ঠিক করে দিতে সহযোগীতা করলো রিমন আর আবুবকর । স্লিপিং ব্যাগ যোগাড় করা হলো কয়েকজনের জন্য । সাথে কয়েকজনকে ব্যাগও দিতে হলো । খাবারের আলাদা একটি প্যাকেট দিতে ও সবার সাথে পরিচিত হবার জন্য সবাইকে আগে আসতে বলা হয়েছিল কাউন্টারে । সময়মত সবাই আসলো ড্রাই ফুডের প‌্যাকেট দেয়ার পর দোয়া করে রত্তনা দিলাম ।

জ্যামের কারনে আসতে না পেরে শনির আখড়ায় অপেক্ষা করছিল নরসিংদির কামাল ভাই ( সামুর- সাদা মনের মানুষ) আর তুহিন ভাই । তাদের নিয়ে রত্তনা দিয়ে বান্দরবান যেতে সকাল ৯টা বেজে গেল । আমাদের নতুন ঠিকানা থ্রি-ষ্টার হোটেলে নাস্তা শেষ করে রত্তনা হলাম কইক্ষং ঝিরির দিকে । জিপ ভাড়া ১৬ টাকা হলেত্ত আমরা ২৩জনের জন্য ২৪০০ টাকা দিতে বাধ্য হলাম গাড়ি না পেয়ে । পথে কাগজ ঠিক না থাকায় পুলিশ এক চোট দেখে নিলো আমাদের চান্দের গাড়ির ড্রাইভারকে ।

পুলিশকে বোঝালাম আমি আর টুটু ভাই মিলে । অপরুপ পাহাড়ি সব দৃশ্য দেখতে চললাম রুমার পথে । ঘাটে এসে দেখি কোন নৌকা নেই । রুমা বাজারের মামুন ভাইকে ফোন করে খাবার অর্ডার দিতে দিতে দেখি নৌকা আসছে । সবাই মিলে উঠে বসার পর ত্ত নৌকা ছাড়তে দেরি করলো মানুষ কম থাকায় ।

অল্প পানির সাঙ্গুতে নৌকা যখন ধীরে ধীরে চলছিল । মনে মনে বকা দিচ্ছিলাম বার বৎসর যাবত তৈরি হতে থাকা ব্রিজ এর দ্বায়িত্বে থাকা সকলকে । ব্রিজটা থাকলে কত সময় বাঁচতো । মরার উপর খাড়ার গা হয়ে নৌকা নষ্ট হলো রুমার কাছে এসে । আমি ,রন্জু ভাই আর তারেক থেকে গেলাম মালামাল নিয়ে নৌকা ঘাটে নেয়ার জন্য ।

বাকিদের নামিয়ে দিলাম পাড়ে । তারা হেঁটে গেল মামুন ভাইয়ের দোকানে । ঘাটে নেমে নৌকা থেকে মালামাল নামানোর পর মামুন ভাইয়ের দোকানে যেয়ে দেথি সবার খাবার শেষ । আবুবকর গেল আমাদের নামের তালিকা আর্মি ক্যাম্পে জমা দিতে । গাড়ি আগেই ঠিক করে রেখেছিল মামুন ভাই ।

চূড়ান্ত বিপদে ফেলে সেই গাড়িত্ত লাপাত্তা । দেবদূত বাদশা ভাই হাজির হলেন দেড় টনি ট্রাক নিয়ে । কষ্ট করে কোন রকম উঠলাম । ছোট ট্রাক মালামাল বেশি । যদিত্ত ভ্রমণ বাংলাদেশের ৩৩ জন রিমনে খালার বাসায় গিয়ে ছিলাম এই রকম দেড় টনি ট্রাকে ।

সমান রাস্তায় ট্রাকে চড়া যায় তবুত্ত । কিন্তু পাহাড়ি আকাঁ বাঁকা পথে ট্রাক র্জানি মানে রোলার কোষ্টার ফেল । সবার ভীত মুখ দেখতে সন্ধ্যা পৌছালাম মুনরেম পাড়াতে । থাকার জায়গা ঠিক করে দিলো কারবারি । আমাদের পূর্ব পরিচিত ভিটির ভাই বাড়ির মালিক ।

একটি স্কুল আছে তার বাড়িতে । স্কুল আর অফিস ঘরে জায়গা পেলাম আমরা ২৩ জন । আমাদের পুরোন গাইড কাম র্পোটার সিয়াম খাং (আমাদের সালমান শাহ) গেল তার আত্নীয়র বাসায় । আমি, টুটু ভাই, ইকা,এডউইন,তুহিন ভাই, তারেক নিরব, আবু বকর মিলে লেগে গেলাম খিচুড়ি , ডিম সালাদ আর শুটকি ভর্তা বানাতে । চমৎকার খাবার মন ত্ত পেট পুরে খেল সবাই ।

ঘুমাতে যাবার আগে বাড়ির মালিক শাইলুক দা আমাদের অসাধারণ চা পানের আমন্ত্রন জানালো । বাংলা ছবির ভিলেনের মনে মনে বললাম আমি তো এইটাই চাই । গল্প হলো অনেক তার পরিবারের সাথে । এবার ঘুমাতে যাবার পালা । (আমরা ঘুমাই আপনারা ছবি দেখুন)-------View this link (চলবে )............


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।