আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বন্দ্ব

আকাশ ভরা গাঙচিল
নিজের ভিতরের অভেদ্য যে প্রাচীর চিরদিন আমাকে ঘিরে ছিল,সে প্রাচীর ভেঙ্গে বের হয়ে আসতে হবে। বুঝতে পারিনি প্রাচীর সৃষ্টি হয়ে ছিল কী কারণে। প্রত্যেকের ভেতরে কী সে প্রাচীর থাকে? আর প্রত্যেকেই কী সে প্রাচীর ভেঙ্গে একদিন না একদিন বের হয়েই আসে? প্রত্যেক মানুষই কী প্রাচীর ভাঙ্গতে পারে? যারা পারে না? কী দরকার প্রাচীর ভাঙ্গার? ধ্বংস তো সবসময়ই ধ্বংস। কেউ সে ধ্বংসকে বিজয় বলে অভিহিত করে থাকে আর কেউ ধ্বংসাত্মক বিভীষিকা দেখে আঁতকে ওঠে। প্রাচীরের সৃষ্টি হয় ভয় থেকে,লজ্জা থেকে।

কখনো হীনমন্যতা, কখনো ভুল বিশ্বাস, কখনো আবেগ থেকে আর কখনো হয়তো ইচ্ছাকৃত। এই প্রাচীরের অস্তিত্ত্ব সবাই যে টের পায় তাও তো না। কিন্তু যখন বুঝতে পারে এবং তার নিজের বিষিয়ে ওঠা কিম্বা একঘেয়েমী জীবনের পরিবর্তন চায় তখন সে প্রাচীর ভাঙ্গার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। হয়তো সে প্রাচীর ভাঙ্গতে পারে কিন্তু ধ্বংসাবশেষ তো তার মনেই থেকে যায় তার অগোচরে,সারাজীবন। সেদিকে তাকানোর অবসর যখন পায় তখন নিজেকে অন্য এক মানুষ মনে হয়।

অতীত আর বর্তমানের মাঝে নিজেকে এক শুষ্ক, মুল্যহীন ঝড়া পাতা মনে হয় তার। কে বেশি আপন, সেই প্রাচীরে ঘেরা অজানা দুর্ভেদ্য জীবনটা? নাকী সময়ের কিম্বা জীবনের প্রয়োজনে ঘষামাজা করে নতুন এক জড়-কে দাঁড় করানো মানুষটা? তালগোল পাকিয়ে যায় সব। সবকিছু এলোমেলো মনে হয়। কখনো সে জড় জীবনটা এতো বেশি আপন মনে হয় যে ভাবতে ভয় হয়, ভীষণ বিষণ্নতা চেপে ধরা অতীতের সে জীবনটার কথা। আবার কখনো এ ভাঙ্গাচোরা যান্ত্রিক জীবনটা আশ্রয় খুঁজে নেয় সেই নিরীহ, অযান্ত্রিক, প্রাচীরে ঘেরা অতীতে।

জীবনের হিসাব ঠিক কবে শেষ হবে কিম্বা কোথায় শেষ হবে তা কেউ বলতে পারে না। অমীমাংসিত দুই জীবন নিয়ে যুক্তি তর্কের উপমা সাজাতে সাজাতে জীবনটা বয়ে চলে সমাপ্তির দিকে। তবুও তখনো তর্কে মত্ত প্রকৃত সুন্দর, সুখের জীবনের সঙ্গায় ব্যস্ত অতীত আর বর্তমান। ছবি: ইন্টারনেট থেকে।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।