আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা জিয়া চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুর গিয়ে তদবির করেও তার কনিষ্ঠ পুত্র কোকোর পাচার করা অর্থ রক্ষা করতে পারলেন না।

আমি একজন ছাএ আরাফাত রহমান কোকো। যার নামের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, টাকা পাচারকারী ............ ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানী বা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছিলেন। আর তার অবৈধভাবে পাচার করা টাকার মধ্যেস্ততা করেছে তারই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান “ফেয়ারহিল কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড”। বিএনপি সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় কোকোর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই মামলা যাচাই বাছাই ও শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কোকোকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং একই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে কোকোর পাচার করা ঘুষের অর্থ পুনরুদ্ধারে সিঙ্গাপুর আদালতে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। ওই আবেদনের শুনানি শেষে সিঙ্গাপুরের আদালত কোকোর ঘুষের অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে প্রথম দফায় কোকোর একটি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ফেরত আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর দ্বিতীয় দফায় ওই টাকার সুদ হিসেবে আরও প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফেরত আনে দুদক।

এবার তৃতীয় দফায় ওয়ারিদ থেকে ঘুষ নেওয়া প্রায় আট কোটি টাকা ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের আদালত। প্রসঙ্গতঃ বিরোধীদলীয় নেত্রী ও কোকোর মা বেগম খালেদা জিয়া সম্প্রতি চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুর গিয়ে কোকোর ঘুষের মামলার তদবির এবং সিঙ্গাপুর সরকারের সাথে মধ্যেস্ততা করে সেই টাকা রক্ষার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। কিন্তু বিধি বাম, কে শোনে খালেদা জিয়ার মায়াকান্না। বিদেশি কোন প্রভুই আর খালেদা জিয়ার কথা বিশ্বাস করছে না। সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে অবশেষে সত্যরই বিজয় হইল।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.