আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন বিজয়ের এইদিনে আমরা শপথ করি, আগে নিজেকে গড়ি তারপর দেশ নিয়ে চিন্তা করি....



আমাদের দেশে একটা জিনিস দেখি যা কিছু হয় সব কিছু সরকারের দোষ আর সরকারকেই সব কিছুর সমাধান করতে হবে। আর যখনই আমাদের স্বার্থে আঘাত আসে তখনই আমরা গাড়ি ভাঙচুর আর আন্দোলন শুরু করি। সম্প্রতি শেয়ার বাজারের ধ্বসে আন্দোলন শুরু হয়। যত দিন শেয়ার বাজার থেকে মানুষ লাভ করতে পারছিলো ততদিন শেয়ার বাজার ভালো। আর যখনই ধ্বস তখনই সবদোষ সরকারের।

শেয়ার বাজারে আসার সময় সবাই তো জানে যে কোন সময় লাভ হতে পারে আবার যে কোন সময় লোকসান হতে পারে। সরকারতো শেয়ারবাজার ঠিক করে দিতে পারেনা কখন লাভ হবে আর কখন লোকসান হবে। সম্প্রতি ব্লগে দেখলাম একজন বলেছে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ বন্ধ করে সেই টাকা গার্মেন্টেসের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপুরন হিসাবে দেওয়ার জন্য। প্রতিটি গার্মেন্সের ইন্সুরেন্স নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর যেকোন অঘটনের ক্ষতিপুরন দেবে ইন্সুরেন্স।

ইন্সুরেন্স না থাকলে মালিক পক্ষ ক্ষতিপুরন দেবে। সরকার কেন ক্ষতিপূরন দেবে। সরকারি কোন কারনে তো এইসব লোক নিহত হয়নি। কিছুদিন আগে দেখলাম বাংলাদেশের এক জাহাজ বিদেশী ডাকাতদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। যেসব জাহাজ আন্তর্জাতিক ভাবে চলাচল করে প্রতিটি জাহাজের ইন্সুরেন্স আছে।

ইন্সুরেন্স কোম্পানি ঠিক করবে কিভাবে সমস্যার সমাধান করবে। পত্রিকায় দেখলাম মানববন্ধন করা হয়েছে এবং সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। আমরা কতটাকা টেক্স দেই আর সরকারের কত টাকা আছে যে সরকার সব ক্ষেত্রে টাকা দেবে। বরং তারা সরকারের কাছে সাহায্য চাইতে পারত যে সরকার কোন ভাবে আন্তর্জাতিক ভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে কি না? ছোট খাট যা কিছু হোক সরকার আর প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে টানা টানি। কিছুদিন আগে পাইলটেরা ধর্মঘট করলো।

সমাধান কি? প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কি আর কোন কাজনেই যে এই সব সামান্য ব্যাপারে বৈঠক করতে হবে। তাহলে এত টাকা খরচ করে মন্ত্রী, মন্ত্রনালয়, আমলা পুষে লাভ কি? সম্প্রতি শাহরুখ খান বাংলাদেশ ঘুরে গেল। এই নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমি সেগুলো নিয়ে কিছু বলবনা।

শুধু এটুকু বলবো সেখানথেকে আমরা শিক্ষামূলক কিছু নিয়েছি কি? আমরা আধুনিক যুগে থেকে স্টেজে যেয়ে কিভাবে কথা বলতে শিখিনি। ইংরেজীর কথা কি আর বলবো। বায়িং হাউসে কাজ করেও আমরা ইংরেজী বলতে পারিনা। এর থেকে লজ্জার আর কি আছে? আমরা স্টাইল, ফ্যাসন এসবে বিদেশের নকল করি। তাদের ভালো জিনিসটা কি আমরা নিতে পারিনা।

আমাদের ব্যাপারটা হয়ে গেছে চিলে কান নিয়ে গেছে। আমরা নিজের বিবিক দিয়ে বিবেচনা না করে চিলের পিছনে দৌড় দেই। আমার লেখাটাতে আমি কাউকে হেয় করা বা কোন রাজনৈতিক পক্ষ অবলম্বনের চেষ্ঠা করিনি। কেউ দয়াকরে খারাপ ভাবে নেবেন না। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা।

আসুন বিজয়ের এইদিনে আমরা শপথ করি, আগে নিজেকে গড়ি তারপর দেশ নিয়ে চিন্তা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।