আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা মন্ত্রণালয়ে বসে খাই

আমি বড় উগ্র, বড় আগ্রাসী হয়েছি হায়েনার উৎসাহে

আগে শুনেছি তারেক সরকারি মাল খেয়েছিল হাওয়া ভবনে বসে, এখন দেখছি আমাদের আবাল-যোগমন্ত্রী জনাব সৈয়দ আবাল হোসেন যা খাচ্ছেন তা মন্ত্রকে বসেই খাচ্ছেন। অবশ্য এটা অবাক মত কোনো বিসয় নয়!! টিআইবি মনে হয় এখন আর চোখে দেখে না, ছানি পড়ছে তো তাই!!! নিচের সংবাদটি পড়েন, প্রমাণ স্বরূপ লিংকটাও দিলাম। ভূয়া খবর হলে জানিয়েন কিন্তু। যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ শিকদার-কেসিসি'র নিজস্ব প্রতিবেদক আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গতকাল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য আগ্রহী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বিতর্কিত ইটাল-থাইয়ের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন অপর আগ্রহী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান শিকদার-কেসিসি জেভির কর্ণধার রিক হক শিকদার ও রন হক শিকদার।

গুলশানের এক রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল উভয়ে বলেন, আদালতের নির্দেশনা ছিল একসঙ্গে দুই দরদাতার আর্থিক প্রস্তাব খুলতে হবে। কিন্তু সেটি না করে বকলমে যোগাযোগমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাইয়ের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। সংবাদ সম্মেলনে শিকদার-কেসিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার বলেন, আমরা সর্বনিম্ন দরদাতা হব এটি বুঝতে পেরে কঠোর গোপনীয়তায় দীর্ঘ সময় নিয়ে গতকাল ইটাল-থাইয়ের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ইটাল-থাইয়ের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়েছে তাতে 'প্রাইস সার্জারি' হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। শিকদার-কেসিসির মহা-ব্যবস্থাপক হানিফ এইচ নাসিম জানান, গতকাল সকালেই তিনি সেতু ভবনে গিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই দরদাতার দর একইসঙ্গে খোলার কথা প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী এম এ ওয়াদুদকে বলার চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, প্রধান প্রকৌশলীর পিএ রাশিদা বেগমকে বলি স্যারকে আদালতের নির্দেশনার কথা জানাতে চাই। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর আর্থিক প্রস্তাব খোলার সময় আমাদের প্রতিনিধি আলাউদ্দিনকে সেখানে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানাই। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী ও তার দফতরের লোকজন কোনো কথাই শোনেননি। শিকদার-কেসিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার বলেন, তারা মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকেও আদালতের নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, 'ক্লোজ ডোর' মিটিংয়ে আর্থিক প্রস্তাব খোলার ঘটনা নজিরবিহীন। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী একদিকে টিআইবিকে দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দরপত্রের কাগজপত্র পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে দরজা বন্ধ করে আর্থিক প্রস্তাব খোলার ঘটনাই প্রমাণ করে এর সঙ্গে তার স্বার্থ জড়িত। প্রসঙ্গত গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকিরের আদালতে শিকদার-কেসিসি রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দুই কোম্পানির আর্থিক প্রস্তাব একই সঙ্গে খুলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি মূল্যায়ন কমিটিকে মুঠোফোনে শিকদার-কেসিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে জানানোও হয়।

এর আগে মঙ্গলবার শিকদার-কেসিসির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছিল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (ডিইই) ঠিকাদার চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা দেখাচ্ছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী নিজের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে নানা কৌশল করছেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য কারিগরিভাবে যোগ্য দেখানো ইটাল-থাইয়ের বাংলাদেশি এজেন্ট হলো যোগাযোগ মন্ত্রীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইটাল-থাই এই কাজ পেলে দেশের ক্ষতি হবে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর মন্ত্রী সিঙ্গাপুর হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে ব্যাংককের নভোটেল-লোটাস হোটেলে ইটাল-থাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ শিকদার-কেসিসি'র

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.