আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠাঁই নাই সদরঘাটে

বৃহস্পতিবার ভোরে থেকে বেলা ১টায় পযর্ন্ত ৫০টি লঞ্চ দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও হাজারো যাত্রী ঘাটে বসে আছেন লঞ্চের অপেক্ষায়।
সময় যতো গড়াচ্ছে, সদরঘাটে যাত্রীর সংখ্যাও যেন ততোই বাড়ছে। স্ত্রী রেবেকা ও দুই শিশু সন্তান দিয়ে সেলিম মিয়া এক নম্বর পন্টুনে অপেক্ষা করছেন সকাল ১০টা থেকে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সেলিম জানালেন, ঈদ করতে মাদারীপুরের কালকিনিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু ঘাটে লঞ্চ না থাকায় এই অপেক্ষা।


“আমি আর ও আমার স্ত্রী না হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। কিন্তু ছোট বাচ্চা দুটোর জন্য সমস্যা। ”
পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল মাহদুদ যাবেন বরগুনার রাঙ্গাবালিতে। কিন্তু লঞ্চ না থাকায় তিনিও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিদর্শক (টিআই) সৈয়দ মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালি, কালাইয়া, বোরহান উদ্দিন, গলাচিপা, মুলাদী, খাসেরহাট, হাতিয়া, দৌলত খাঁ, বেতুয়া, চরফ্যাশন, লালমোহন ও মাদারীপুরের দুটি রুটের লঞ্চ আপাতত সদরঘাটে নেই।


কখন এসব রুটের লঞ্চ ফিরবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দুটি লঞ্চ চাঁদপুর পার হয়েছে। বাকি লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ”
এদিকে কেবিনের টিকেট করা থাকলেও লঞ্চ সদরঘাট এলাকায় না থাকায়ও ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককে।
সোহেলী বেগম বাবিশাল যাবেন কীর্তনখোলা-২ লঞ্চে করে। সেই লঞ্চের কেবিনের টিকেট কিনে রেখেছেন আগেই।

কিন্তু তাকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পন্টুনে।
বিআইডাব্লিউটিএর পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বারিশাল থেকে কীর্তনখোলা-২ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে। সেটি বিকালে পৌঁছালে তারপর তাতে উঠতে পারবেন যাত্রীরা।
বেসরকারি লঞ্চের সঙ্গে ঈদে যাত্রী পরিবহন করতে ৬ অগাস্ট ‘স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তারীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)। ঈদের পরের দশদিনও এই সেবা চলবে।


বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রীবোঝাই করে সদরঘাট ছেড়ে যায় লঞ্চ সুন্দরবন-৭। ছাদেও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখায় যায় এ সময়।
লঞ্চ ছাড়ার পরও মাঝ নদীতে নৌকায় করে বিভিন্ন লঞ্চে যাত্রী উঠতে দেখা যায়।
এ বিষেয়ে বিআইডাব্লিউটিএর একজন পরিদর্শক বলেন, “আমরাতো মাইকিং করছি। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।


কোস্ট গার্ডের পেটি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নৌকায় করে লঞ্চে ওঠা নিষেধ। কিন্তু ঈদে বাড়ি যাবে বলে কেউ কোনো কথা শুনছে না।
বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সোলায়মান জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৩৯টি রুটে প্রায় দেড়শ লঞ্চ চলে।
বিআইডাব্লিউটিএর পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন জানান, আচল নামে একটি লঞ্চ ভাণ্ডারিয়ায় যাওয়ার পথে বুধবার রাত ১২টার দিকে চাঁদপুরের কাছে একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে লঞ্চটির খোলে ছিদ্র হয়ে যায।

তবে যাত্রীদের নিরাপদেই একটি ঘাটে নামিয়ে দেয়া হয়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।