আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করল বৈশাখি টিভি চ্যানেল



বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করল বৈশাখি টিভি চ্যানেল বিজয়ের মাসে বৈশাখি টিভি চ্যানেলের দেশ বিরোধী কোনো যড়যন্ত্রে লিপ্ত কিনা কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছে। বিজয়ের মাসে শাহরুখ খানের নামে যে পচা অশ্লীল জিনিস সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে বৈশাখি চ্যালন আমাদের খাওয়ালো তা বদহজম হয়েছে। ঘরে বসে পরিবার পরিজনে একত্রে বসে তা দেখতে লজ্জা পেয়েছে। বৈশাখি বেশ কয়েকদিন ধরে পাবলিককে 'শাহরুখ' খাওয়ানোর কোশেশ করে। কিছু মানুষ তা খায়ও।

কিন্তু খেতে গিয়ে বুঝতে পারে তারা কিছু খাচ্ছে না, বরং না কোনো পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। শাহরুখ খান আসছে তাতেই তারা গদগদ। শাহরুখ স্বাধীনভাবে অবাধ ও উন্মুক্ত অনুষ্ঠান করে গেল। অন্তরা শোবিজকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারা দেশে কেন অশ্লীল সংস্কৃতির প্রচার করল? বলিউডের কালচারকে কেন এদেশে আমাদানী করা হলো? তারা এর সুযোগ সৃষ্টি করে দিল কিসের জন্য? কোনোরকম বাছবিচার বা গাইডলাইন শাহরুখকে দিতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তরা শোবিজ ভয় পেয়েছিল কি? না হলে কি তারা জাতিকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে? দেশী শিল্পীদের কেন কোনোপ্রকার তোয়াক্কা করা হলো না? তাদের মর্যাদা দেয়া হলো না কেন? এসবই কি কোনো গভীর যড়যন্ত্রের অংশ? অন্তরা শোবিজ ও বৈশাখি জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্কিত করেছে, হেয় করেছে।

যেই ফাঁদ পাতা হয়েছে অন্তরা শোবিজকে দিয়ে তা করানো হলো। এখন সফল বলে দাবি করা হচ্ছে। জানি না এরা সামনের দিনগুলোতে আরো কত কি দেখাবে আর তা আমাদের দেখতে হবে। প্রচার, প্রসার আর সম্প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিল বৈশাখি, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী চ্যানেল বলে প্রচারণা চালায়। এখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বৈশাখি আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শ্লোগানকে ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে।

বোম্বাইয়ের সংস্কৃতি যে কোনোভাবেই আমাদের সংস্কৃতি নয় তা বৈশাখি ভালো করেই জানে। অথচ শাহরুখ গং আমাদের যেভাবে বোকা বানালো তার পক্ষে বৈশাখি এখনো সাফাই গেয়ে যাচ্ছে এবং ‌‌‌'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পক্ষে' শব্দগুলো উচ্চারণ ও ব্যবহার করে পাবলিককে ধোকা দিচ্ছে। এখনো কিছু মানুষকে দিয়ে নিজেদের পক্ষে কথা বলানোর মাধ্যমে নিজেদের রিকগনাইজড করতে চেষ্টা চলছে তাদের। শাহরুখকে নিয়ে বাণিজ্যও করলো দেদারছে। দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করানো হলো।

আর জাতি হিসেবে গর্বিত দেশটিকে হেয় করা হলো। আসলে বৈশাখির মূল উদ্দেশ্য কি তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে তারা নিজেদের স্বার্থ ভালো করেই হাসিল করে যাচ্ছে। তারা কি দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্রের সাথের জড়িত? দেশের কৃষ্টি কালচারকে কি তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অন্য কারো এজেন্ডা মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহারের আড়ালে করছে কি? নইলে বিজয়ের মাসে বলিউডের সংস্কৃতিকে স্টাবলিস্ট এভাবে কেন করছে তারা? বিজয়ের মাসকে কেন কলঙ্কিত করলো? এর পিছনে আর কারা জড়িত তা বৈশাখি অবশ্য ভালো বলতে পারবে। তবে জনগণ জানে না এর পিছনে কাদের ইন্ধন আছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.