আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালো টাকা সাদা করার এক অদ্ভুত - পদ্ধতি আবিস্কার করলেন সামান্য একজন মুদি দোকানদার। বাস্তব সমাজে কতো টুকো কাজে আসবে তার চেয়ে ও অনেক বড় বিষয় হলো ব্যাক্তি জীবনে মানুষের কেমন হওয়া ঊচিৎ!!!

অজানাকে জানতে এক দূর্নিবার যাত্রা।

সিরাজ গঞ্জ জেলার মাছুম পুর গ্রামের একটি ছেলে- নামটি জার চাঁন মিয়া। অবাক করার বিষয়টা হলো কেঊই তাকে এই নামে ডাকে না ওর মা বাবা ছারা। হাতে সামান্য একটু সমস্যা থাকায় বেশির ভাগ মানুষই তাকে যে নামে ডাকে তা হল- হ্যান্ডেল। টুকটাক লেখা লেখি করে বলে অনেকে বলে-কাটিং কবি।

কেননা, সকলের ধারনা ও পেপার পত্রিকা থেকে কবিতা নিয়ে নিজের নামে চালায় যদিও এর ঊপযুক্ত প্রমান কঊই দেখাতে পারে নি তবুও বলে - কিরে কাটিং কবি খবর কি ??? এরুপ প্রায় সবাই ওর এই দুই নামে ডাকে। তবে বলা বাহুল্য- হান্ডেল দোকানদার নামেই বেশি পরিচিত। আমি অবস্য ওকে অন্য নামে ডাকি আর তা হল- চাদু। ওর সাথে এমনিতেই আমার ভাবটা একটু বেশি কারন্টা হলো আমার ও তুক টাক লেখা লেখির অভ্যেস আছে এবং আমিই একমাত্র ব্যাক্তি যে ওর লেখা লেখির প্রসংসা করি ও প্রেরনা দেই। এতে আমার যে সুবিধা হয় তা হলো ও আমার কাছে কখনো তাগাদা দেয় না টাকার জন্য।

ব্যবশায়িক কারনেই ওকে অনেক সময় বাকিতে বিক্রি করতে হয়। আর আমার মত এই গ্রামের যুব সমাজের মধ্যমনি চাদু ওরফে চাঁন মিয়া। এই মাছুম পুর গ্রামের এমন কোন ছেলে নেই যে বলতে পারবে- ওর কাছে চাদু টাকা পায় না। দুঃখ জনক হলেও সত্য, অনেক টাকাই চাদু ঊঠাতে পারে না, শুধু ওর খাতাতেই রয়ে যায়। ঠিক এভাবেই চলে আসছে প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে।

শিক্ষার ক্ষেত্রে ও কিন্তু পিছিয়ে নেই, দোকানদারির পাশা পাশি চালিয়ে যাচ্ছে ওর পড়া লেখা। এস এস সি তে জিপি এ ৪ এর ও অনেক ঊপরে পেয়েছিলো - এইচ এস সি তে ওরকম ই হবে। এখন সে ডিগ্রি এর ছাত্র। হটৎ একদিন - আমাকে ও বল্লো আমি একটা থিঊরি আবিস্কার করেছি !!! তার মানে বলাতে বল্লো- একটু পরে বলছি - তার পর ও বলতে শুরু করলো- এখন কিছু কথা বলবো দয়া করে কথা গুলো বুদ্ধিমানের মতো পুরোটা না শোনা পর্যন্ত কোন কথা বলবেন না- এইটা কি আপনার কাছে আশা করতে পারি ??? আমি বললাম হ্যা- তখন ও আবার শুরু করলো- আপনার কাছে অনেক আগের বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে যা দিবেন দিবেন বলে আর দেন নি , এখন যদি বলেন এইটা দিতে আপনি অক্ষম !!! তাহলে ধরে নেবো আপনি দারিদ্র সীমার ও অনাক নিচে বসবাস করেন আর এমন একজন মানুষকে যে কেঊ সাহায্য করতে চাইতে পারে !!! আমি ও এর ব্যাতিক্রম নই- তো যাই হোক আমার কাছে বেশ কিছু টাকা আছে যা অবৈ্ধ পথে আয় করেছি। অর্থাৎ, আমি আর আমার কিছু বন্ধুরা মিলে প্রায় দু বছর আগে একটি সুমিতি করেছিলাম- যার অর্থ সুদের ঊপর ছারা হতো।

এখন এমন এক অবস্থা হয়েছে যে সময় না দিলে ও প্রতি মাসে গরে প্রায় ২-৩ হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু আমি আর এই সুদের কারবারের মধ্যে থাকতে চাই না কেনোনা আমি আমার জীবনে যা যা চেয়েছি আল্লাহ তা আলা আমাকে তাই তাই দিয়েছে- সুমিতি বাদ দেওয়ার ফলে অখান থেকেই আমার মোটা অংকের একটা টাকা পেয়েছি যার পুরূটাই হারাম। তাই এই টাকা গুলো আপনার মতো লোকদের দান হিসাবে দেব যাতে করে আমার বাকি টাকা গুলো ঊঠে আসে । আর এই বিষয়টা সম্পুর্নই গোপন থাকবে। এতে আমার লাভ দুই দিক দিয়ে- বাকি টাকা গুলো যেমন ঊঠে আসবে তেমনি হারাম টাকা গুলো হালাল হয়ে আমার কাছেই চলে আসবে।

এবং আপনার মতো সবাইকে এইভাবেই বলবো। এমনিতেই আমি আপনার খুব ভক্ত তাই আপনাকে দিয়েই শুরু করলাম আর কি ??? আমার কথা শেষ হয়েছে- এইবার আপনি বলেন, কি করবেন ??? তারপর আর কিছু না বলে আমি বললাম- যত টাকা পাস বিকেলে এসেই দিয়ে যাচ্ছি তবে ভূলটা তোর কখনো ওভাবে চাস নি তাই আর কি ? তবে তোর এই প্রস্তাবটা রাখতে পারলাম না । তখন ও বল্লো যাদের আপনার মতো আত্বসম্মানে লাগবে তারা এমনি দেবে আর তা না হলে আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে টাকা গ্রহন করবে। তবে যে যাই করুক আমি আমার ক্ষেত্রে সাকসেস কি বলেন ??? সত্যি আমি সেদিন অবাক হয়েছিলাম ওর এই সৎ মনোভাব দেখে - আমি কি পারতাম ওর মত করে চিন্তা করতে ??? এই বর্তমান সমাজের - আমাদের মতো যুব সমাজ কি পারতো - নিশ্চিত ২-৩ হাজার টাকার একটি ঊৎসকে এভাবে হাত ছারা করতে ??? কিংবা আগামি ৩-৪ বছরের মাথায় কত টাকার মালিক হতে পারতো, এইটা জানা সত্তেও !!! আমাদের দেশের তথা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ গুলি কি পারে এভাবেই চিন্তা করতে ???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.