আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেড়ি কুকুরের ফ্যান্টম দর্শন ।

সম্মান জানাই তাকে আমার বিরুধ্যে সত্য বলে যে

নিম্ন প্রজাতীর প্রাণী যেমন" কুকুর" "শুয়োর" এ দের কাছ থেকে উচ্চমানের কোন বিলাস বস্তুর "খোঁজ" বিবরণ জানতে চাইলে কি রকম তথ্য আসতে পারে ? একটা "নেড়ি কুত্তা" কে প্রশ্ন করলাম "রোলস রয়েস ফ্যান্টম" গাড়ি টা কেমন ? গেস কুকুর কি জবাব দিতে পারে? একটা শু্য়োর এক "ফারারী" কার দেখলো সে তার বন্ধু শুয়োর টাকে কি ভাবে বুঝাবে সে কি দেখলো ? যাই হোক "মহা মূর্খ" এক ব্লগার ইসলাম দর্শন শেষে ইসলাম নিয়ে লিখতে এসে বলছেন ক্বোরআন মুসলমান দের কে নিষেধ করেছে ইহুদী এবং খৃস্টান দের সাথে বন্ধুত্ব (ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব) করতে । না বুইঝা রেফারেন্স দিছে "O you who have believed, do not take the Jews and the Christians as allies.(protectors, helpers) They are [in fact] allies of one another. And whoever is an ally to them among you - then indeed, he is [one] of them. Indeed, Allah guides not the wrongdoing people" http://quran.com/5/51 allies. শব্দের অর্থ "ব্যাক্তিগত" বন্ধুত্ব এরকম নলেজ নিয়া উনি পোস্ট দিছেন। এখানে (বিধর্মীদের) বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না । এটা ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব উদ্দেশ্য নয় । এটা রাস্ট্রের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কে বুঝানো হয়েছে।

এখানে যারা আরো গভিরে এর অর্থ জানতে চান বা রেফারেন্স জানতে চান মূল আয়াতে মূল আরবী শব্দ (আওলিয়া) যার অর্থ চলিত বাংলায় "বন্ধু" অনুবাদ করা হয়েছে । সেই শব্দের মূল অর্থ দেখুন । ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব নিরুৎসাহীত করার জন্য আরবী শব্দ (হাবিব/সাদিক ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব বোঝায়) এর কোন ব্যাবহার সম্পুর্ণ ক্বোরআন বা হাদিসে একবারের জন্য ব্যাবহার হয়েছে এমন কোন রেফেরেন্স নাই। উনি আরো বলেছেন কুরআনে সুরা মুমিনুনঃ ৫-৬-৭ নং আয়াতঃ And those who guard their chastity (i.e. private parts, from illegal sexual acts) (http://quran.com/23/5) Except from their wives or (the captives and slaves) that their right hands possess, for then, they are free from blame এখান থেকে উনি বুঝেছেন যে কাজের মেয়ে বা দাসী আর ক্রীতদাস সবার সাথেই "যৌন সম্পর্ক" কে ইসলাম বৈধতা দিয়ে থাকে । ক্রীতদাস কাকে বলে এটা যার জানা নাই তাকে ক্রীতদাসী/দাসী/সেবিকা আর কাজের মেয়ের পার্থক্য বোঝানোর চেস্টা "গু" মাছি কে "মৌ মাছি" বানানোর চেস্টা সমার্থক ।

ক্রীতদাসীর সাথে "যৌন" সম্পর্ক ১৯০০ সাল পর্যন্ত সামাজিক "স্বীকৃত" যৌন সম্পর্ক ছিল । যেমন আজকের স্বামী/স্ত্রী সম্পর্ক। এর প্রয়োজন এবং যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য। "মুর্খ" দের অবগতির জন্য Alex Haley র বাস্তব প্রেক্ষাপট অবলম্বনে জগদ্বিখ্যাত রচনা Roots পড়তে বলবো । দিনের শেষে ক্রীতদাসী একজন মানুষ এবং ক্ষুধার মত তার যৌন চাহিদা থাকা টা স্বাভাবিক ছিল ।

ক্ষুধার ক্ষেত্রে যেমন "মনিব" খাবারের ব্যাবস্হা করতো যার যৌন চাহিদা পূরনের ব্যাবস্হা করাও সমাজ এবং "মনিব" এর দায়িত্ব ছিল । পার্থক্য হলো ইসলাম সর্ব প্রথম "ক্রীতদাসী" কে যৌন সম্পর্কের প্রশ্নে "সন্মান" দেয় । ইসলাম ই সর্ব প্রথম একই "ক্রীতদাসী " র সাথে পিতা/পুত্র বা দুই ভাই এর যৌন সম্পর্ক কে "হারাম" করে । ইসলাম "ক্রীতদাসী" র সন্তান কে "সন্তান" এর মর্যাদা দেয়। একমাত্র ইসলাম ই ক্রীতদাসী কে "ত্যাজ্য" সম্পত্বি র "অংশিদারিত্ব দেয় ।

ইসলাম ক্রীতদাসী র সাথে যৌন সম্পর্ক কে "আবিস্কার" করে নাই। এবং ইসলাম এটা কে বৈধ করেছে বিনিময়ে এই সম্পর্কের "কমিটমেন্ট" এবং স্বীকৃতি দিয়েছে। এক মাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম বা শাষন /সমাজ ব্যাবস্হা "ক্রীতদাস/ক্রীতদাসী" কে "ভোট" "সাক্ষ" "সম্পদের মালিকানা" "অংশিদারিত্ব" "যৌন নিরাপত্বা" দেয় নাই। এরপর উনি বলছেন ৪। সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩১১: আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (দঃ) যখন তাকে বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ছিল সাত বছর, এবং বউ হয়ে তিনি যখন তার (রাসুলের) ঘরে যান তখন তার বয়স ছিল নয় বছর, এবং তার পুতুলগুলি তার সাথে ছিল; এবং যখন তিনি (রাসুল) ইন্তেকাল করেন তখন তার বয়স ছিল আঠার বছর।

এখান থেকে উনার ধারণা হয়েছে "হযরত আয়েশা(রাঃ)" এর বিয়ের বয়স হবার আগেই উনার বিয়ে হয়েছিল । অথচ বিয়ের বয়স বোঝার জন্য প্রথম শর্ত হলো "বৈধ সম্পর্কের ভিত্তি তে গড়া যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করা" অর্থাৎ বৈধ পিতা/মাতার ঔরসে জন্ম গ্রহন করা সন্তান দের দাদা/দাদী নানা/নানী থাকে এবং নিজেদের নানী বা দাদীর বিয়ের গল্প শুনলেই জানা যায় দাদী র বিয়ে বাংলাদেশেও ১০ বছর বয়সে হয়েছিল এই ৭০-৮০ বছর আগেও । নিদেন ভাগ্যের ফেরে "বৈধ পিতা মাতার "ঔরসে জন্ম হয় নাই যাদের, তাদের জন্য "বিয়ের বয়স" বা Age of consent কাল এবং স্হান ভেদে ১০০ বছর আগেও ১০-১৩ বছর যে সামাজিক ভাবে স্বীকৃত বয়স ছিল তা তারা জানবেই বা কি করে ? এরকম পরিবারবিহীন জন্ম গ্রহন করা সন্তান দের "নলেজ বৃদ্ধি"র জন্য রেফারেন্স In the twelfth century Gratian, who was the influential founder of Canon law in medieval Europe, accepted age of puberty for marriage to be between 12 and 14 but acknowledged consent to be meaningful if the children were older than seven. Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.