আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচ্ছু



আমার বড়ভাইয়ার পিচ্চিটার বয়স তিন। সবেমাত্র প্লেগ্রুপে যেতে শুরু করেছে। ২/৩ মাসেই সে এক গাঁদা বন্ধু বানিয়ে ফেলেছে। আর এত বক বক করতে শিখেছে! এক মুহূর্ত চুপ থাকেনা। একদিন ওর আম্মু ডক্টরের কাছে গেলেন।

যথারিতী আমার উপর ভার পড়লো বিচ্ছুটাকে দেখে রাখার। আমি ওকে নিয়ে ঘুম পাড়াতে চাইলাম। গান গেয়ে গেয়ে ঘুম পাড়াতে চাচ্ছিলাম ওর মায়ের মত করে আর সে কিনা না ঘুমিয়ে চোখ পাকিয়ে উঠে বসে বলে, থামো তো ফুপী। গান গাবেনা। আমি বললাম কেনো? সে বললো খাপ লাগে।

আমি বললাম খাপ কি ? খাপ লাগা কিরে? সে বলে আরে বাবা খাপ খাপ। খাপ লাগে মানে তোমার গান পঁচা। মেজাজটা চরমে উঠলেও সেটা কন্ট্রোল করে বললাম ওকে চলো গল্প করি। তোমার স্কুলের গল্প। বলো তোমার কয়টা ফ্রেন্ড? সে বলে একশোটা।

বললাম তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডের নাম কি? সে উত্তর দিলো আরিবাবা। আমার তো চক্ষু চড়কগাছ। আরিবাবা সেটা কেমন নাম রে বাবা? আমি যত বলি এটা কোনো নাম হলো ? সে বলে হোলো হোলো ওর নাম আরিবাবা। ( পরে ভাবীর থেকে জানলাম আরিবাবা=আরীবা) শেষে ওর থেকে গল্প শোনার আশা বাদ দিয়ে বললাম ওকে আমি তোমাকে একটা ছড়া শুনাই ওকে? সে রাজী হলো। আমিও শুরু করলাম..... যদি কুমড়ো পটাশ নাচে খবরদার যেওনা কেউ আস্তাবলের কাছে।

সে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলো পুরোটাই। এমন সময় তার মায়ের কলিং বেলের শব্দে তড়াক করে লাফ দিয়ে দরজার কাছে দৌড়ে গেলো । দরজা খুলতেই মাকে বলতে শুরু করলো মা মা ফুপী কবিতা শুনিয়েছে আমি এখন শুনাই ? মায়ের পারমিশনের ধার না ধেরেই শুরু করলো .. যদি কুমড়ো পটাশ নাচে খবরদার যেওনা কেউ রাস্তাবলের কাছে...। রাস্তাবল! সরবনাশ! মান সন্মান ডুবাই দিলো । যত বলি রাস্তাবল না আস্তাবল।

সে তত চিল্লায়, না না রাস্তাবল। দেখোনা ঐ যে বাসার সামনে রাস্তা......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।