আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেতনা দাও প্রভু

...জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কী ভুল, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে।

চেতনা দাও প্রভু চেতনা দাও প্রভু, চেতনা দাও। চোখ মেলে তাকাতে বড় ভয় লাগে আজ, চারপাশে কোন মানুষ দেখিনা, কোন মানবিক কোলাহল শুনিনা, যে দিকে তাকায় দেখি এক পাল হিংস্র চতুষ্পদ জন্ত, যে দিকে কান পাতি শুনি শুধু জান্তব চিৎকার, ওদের শরীর নিসৃত বোঁটকা পাশবিক গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়, নাড়ি-ভুঁড়ি উলটে আসে, মিনাক্ষী অপেক্ষা চকচকে ওদের লোভাতুর চোখ দেখে দেখে ভীষণ ক্লান্ত আমি। আর কী ভয়ানক অট্ট হাসি ওদের-লকলকে জ্বিব দেখানো, হায়েনাও বুঝি লজ্জ্বা পায়! কতদিন মানুষ দেখিনা, সুখ-দুঃখের কথা হয়না, কতদিন মানুষের ঘ্রাণ পাইনা! জম্ম বা মৃত্যু; একটি বা অসংখ্য মৃত্যুতেও ওরা নিশ্চঞ্চল নির্বিকার, অশ্রু আর জলের পার্থক্য যে দারুণ দুরুহ ওদের কাছে, পড়ে থাকা নিথর লাশের দিকে তাকিয়ে নষ্ট করার মত সময় ওদের নেই, ঠিক যেন শ্বাপদের মত শিকার অন্বেষণে নিরন্তর ব্যস্ততা। পশুরা তো স্বজাতির বিপন্নতায় থমকে যায়, পালিয়ে গেলেও অন্তত একবার পিছনে তাকায়, পিছুটানে; বিস্ময়ের চূড়ায় উঠে আমি দেখি, ওদের মধ্যে সেই বোধটুকুও নেই। প্রকৃতপক্ষে ওরা পশুর মত না, পশু বরং কিছুটা ওদের মত! আমি তাই হাঁসফাঁস করি এই ভয়াল অরণ্যে- চেতনা দাও প্রভু, চেতনা দাও!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।