আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানুন

জননী ও জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহঃ ১। বিশ্বের ২২০ মিলিয়নেরও বেশী মানুষ ডায়াবেটিস এ ভূগছে। ২। ২০০৫ সালে প্রায় ১.১ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস এ মারা গেছে। ৩।

প্রায় ৮০% ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যু স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে হয়েছে। ৪। ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই ৭০ বছরের নীচে হয়, ৫৫% ডায়াবেটিসজনিত মৃত্যুর শিকার হয় মহিলারা। ৫। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০০৫ সালের তুলনায় ২০৩০ সালে ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হবে।

৬। পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখা এবং তামাক থেকে দূরে থাকা- আমাদের ডায়াবেটিস হওয়া থেকে রেহাই দিতে পারে অথবা ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাবকে দেরী করিয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস কী? ডায়াবেটিস মেলাইটাস (diabetes mellitus), যা শুধু ডায়াবেটিস নামেই বেশী পরিচিত, এর বাংলা অর্থ বহুমূত্র রোগ। ডায়াবেটিস আসলে একটি মাত্র রোগ নয়। এটি অনেকগুলো রোগের সমষ্টি যেখানে প্রধান সমস্যা হচ্ছে রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশী থাকা।

দেহের বিপাক ক্রিয়ার (metabolism) অস্বাভাবিকতাই এর কারণ, এক্ষেত্রে দেহ ইনসুলিন (insulin) নামক হরমোন প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করতে পারে না অথবা দেহের কোষগুলোর ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে যায়। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয় হতে নিঃসৃত একটি হরমোন যা আমাদের বিপাকক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। ইনসুলিনের মূল কাজ হল রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা। ইনসুলিনের অভাবে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশী থাকলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

রক্ত ও রক্ত-সংবহন্তন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস-এর ব্যপকতাঃ বিগত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এর বিস্তার ব্যপক এবং নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। ১৯৮৫ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ মিলিয়ন। ২০০০ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭৭ মিলিয়ন-এ। এভাবে বাড়তে থাকলে ২০৩০ সালে সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৩৬০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

২০০০ সালে বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে ২.৮ জনের ডায়াবেটিস ছিল, ২০৩০ সালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৪.৪ এ। টাইপ ১ এবং টাইপ ২, এই দুই ধরণের ডায়াবেটিস রোগীর পরিমাণই বাড়ছে, তবে টাইপ ২ এর রোগী বেশী হারে বেড়ে চলেছে। শিল্পায়নের ফলে শারীরিক পরিশ্রম কম করা এবং স্থূলতা বৃদ্ধিকে টাইপ ২ এর হার বেড়ে যাওয়ার কারণ মনে করা হলেও দেখা গেছে যে শিল্পায়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে এর খুব একটা সম্পর্ক নেই। রোগীর সংখ্যা বিচারে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের ৬ টিই এশিয়া মহাদেশের, যেগুলো তেমন উন্নত দেশ নয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ছিল ৩.২ মিলিয়ন, সংখ্যার বিচারে সারা বিশ্বে দশম।

২০৩০ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১১.১ মিলিয়ন এ, যা সারা বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ডায়াবেটিস-এর প্রকারভেদঃ ডায়াবেটিসকে মুটামুটিভাবে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ ১। টাইপ ১ ডায়াবেটিসঃ এতে অগ্নাশয়ের বিটা কোষ (β cell) সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে দেহে ইনসুলিনের নিঃসরণ একেবারেই শূণ্য হয়ে যায়। আগে একে ইনসুলিন-নির্ভরশীল ডায়াবেটিস বলা হতো (IDDM: Insulin Dependent Diabetes Mellitus)। এর লক্ষণগুলো হচ্ছেঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বার বার পানির তেষ্টা পাওয়া, সবসময় ক্ষুধা লাগা, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্ত বোধ করা, চোখে কম দেখা ইত্যাদি।

এই সমস্যাগুলো হটাৎ করেই দেখা দিতে পারে। সাধারণত বাচ্চাদের এই ধরণের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ২। টাইপ ২ ডায়াবেটিসঃ এখানে দেহকোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা কম থাকে, একই সাথে ইনসুলিনের নিঃসরণও ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। আগে একে ইনসুলিন-অনির্ভরশীল ডায়াবেটিস বলা হতো (NIDDM: Non-Insulin Dependent Diabetes Mellitus)।

বিশ্বের মোট ডায়াবেটিস রোগীর ৯০%ই টাইপ ২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। এর লক্ষণগুলো টাইপ ১ এর মতই, কিন্তু অনেক সময়ই খুব প্রকটভাবে দেখা দেয় না। ফলে এনেক বছর ধরেই অনির্ণীত থেকে যায়, এবং ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা হওয়ার পর এ রোগ ধরা পড়ে। সাধারণতঃ বড়দেরই এই ধরণের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে, তবে বর্তমানে শিশুদেরও এ ধণের ডায়াবেটিস দেখা দিচ্ছে। ৩।

অন্যান্য নির্দিষ্ট প্রকারের ডায়াবেটিস যা আরও কিছু কিছু কারণে হয়; যেমনঃ - অগ্নাশয়ের বিটা কোষের কাজের জীনগত সমস্যা। - ইনসুলিনের কাজের জীনগত সমস্যা। - অগ্নাশয়ের অন্যান্য রোগ যেমন সিস্টিক ফাইব্রোসিস (cystic fibrosis)। - অন্যান্য হরমোনজনিত রোগ যেমনঃ কুশিংস সিন্ড্রোম(Cushing’s syndrome), থাইরোটক্সিকসিস(Thyrotoxicosis), গ্লুকাগনোমা (Glucagonoma), ফিওক্রোমসাইটোমা(Pheochromocytoma)। - কিছু কিছু ভাইরাস, যেমনঃ জন্মগত রুবেলা ইনফেকশন, কক্সাকি বি ভাইরাস, সাইটোমেগালো ভাইরাস; বিটা কোষ ধ্বংস করতে পারে।

- বিভিন্ন ধরণের ঔষধ বা রাসায়নিক পদার্থের (যেমন, এইডস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ বা অংগ-প্রতিস্থাপনের) প্রভাব। ৪। জেস্টিশনাল ডায়াবেটিস মেলাইটাসঃ গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত যে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এর লক্ষণ টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর মত। রোগ নির্ণয়ঃ ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য কিছু নির্দেশনা (guideline) মেনে চলতে হয়।

এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণের পাশাপাশি রক্তের কিছু পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন প্রশ্রাব হওয়া, বার বার পানির তেষ্টা পাওয়া, সবসময় ক্ষুধা লাগা- এই তিনটিকে ডায়াবেটিস এর মূল লক্ষণ বলে ধরা হয়। এছাড়া সারারাত না খেয়ে সকালে রক্তের গ্লুকোজ, ৭৫ প্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর রক্তের গ্লুকোজ, যে কোন সময় রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ এবং হিমগ্লোবিন এ১সি নামক রক্তপরীক্ষা ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচের যে কোন অবস্থায় একজনের ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরা হয়ঃ ১। যদি রক্তের হিমগ্লোবিন এ১সি (HbA1C) ৬.৫% বা তার বেশী থাকে।

২। সারারাত না খেয়ে সকালে রক্তের গ্লুকোজ ১২৬ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (অথবা ৭ মিলিমোল/ লিটার) বা তার বেশী হলে। ৩। ৭৫ প্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর রক্তের গ্লুকোজ (OGTT নামক পরীক্ষায়) ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (অথবা ১১.১ মিলিমোল/ লিটার) বা তার বেশী হলে। ৪।

উপরে বর্ণিত ডায়াবেটিস এর মূল তিনটি লক্ষণ আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে যে কোন সময় রক্তের গ্লুকোজ পরিমাণ গ্লুকোজ ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (অথবা ১১.১ মিলিমোল/ লিটার) বা তার বেশী হলে। এছাড়া সারারাত না খেয়ে সকালে রক্তের গ্লুকোজ ১০০-১২৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (অথবা ৫.৬-৬.৯ মিলিমোল/ লিটার) হলে তাকে ইম্পেয়ার্ড ফাসটিং গ্লুকোজ বলা হয়। ৭৫ প্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর রক্তের গ্লুকোজ (OGTT নামক পরীক্ষায়) ১৪০-১৯৯ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (অথবা ৭.৮-১১.০ মিলিমোল/লিটার) তাকে বলে ইম্পেয়ার্ড গ্লুকোজ টলারেন্স। এই দুই অবস্থাকে স্বাভাবিক মানুষ এবং ডায়াবেটিক রোগী- এই দুইয়ের মধ্যাবস্থা বলে ধরা হয়। এদের টাইপ ২ ডায়াবেয়াটিস হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে।

ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাবঃ ধীরে ধীরে ডায়াবেটিক রোগীর হৃদপিন্ড, রক্তনালী, চোখ, কিডনী (বৃক্ক) এবং স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায়। ● ডায়াবেটিস হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, ডায়াবেটিক রোগীদের ৫০% এই ধরণের রোগে মারা যায়। ● পায়ে ডায়াবেটিসজনিত ঘা (diabetic foot) এবং অবশেষে পা কেটে ফেলা লাগতে পারে। ● ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (diabetic retinopathy) হলে চোখে রেটিনা নষ্ট হয়ে যায় যা অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারন। ১৫ বছর ধরে ডায়াবাটিস আছে এমন রোগীদের ২% অন্ধ হয়ে যায় এবং ১০% এর দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।

● ডায়াবেটিস কিডনীর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ, এ ধরণের অবস্থাকে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি (diabetic nephropathy) বলে। ১০-২০% ডায়াবাটিক রোগী কিডনীজনিত জটিলতায় মারা যায়। ● স্নায়ুতন্ত্রের কাজ নষ্ট করে দেয়ার জন্য যে অবস্থার উদ্ভব হয় তাকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি (diabetic neuropathy)বলে, প্রায় ৫০% ডায়াবেটিক রোগী এতে আক্রান্ত হয়। হাতে-পায়ে ব্যথা, অনুভূতিহীনতা, দুর্বলতা, শিন-শিন করা ইত্যাদি হতে পারে। ● ডায়াবেটিক রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে দ্বিগুরা প্রতিরোধঃ সুশৃংখল জীবনাচার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবকে দেরী করিয়ে দিতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং এর জটিলতা প্রতিরোধের জন্য যা যা করা উচিৎঃ ● আদর্শ শারীরিক ওজন অর্জন করা ও সেটি ধরে রাখা। ● শারীরিক পরিশ্রম- দৈনিক অন্ততঃ আধাঘন্টা নিয়মিত জোরে হাঁটা। ● স্বাস্থ্যকর খাবার- দৈনিক তিন থেকে পাঁচবার ফল ও শাক-সব্জি খাওয়া, চিনি এবং সম্পৃক্ত চর্বি কম খাওয়া। ● তামাক বর্জন, ধুমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস এর চিকিৎসাঃ ডায়াবেটিস এর চিকিৎসার প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমানো।

এছাড়া অন্যান্য যেসব অবস্থা রক্তনালীর রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সেগুলোও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ● রক্তের গ্লুকোজ কমানোর জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা মুখে খাওয়ার বিভিন্ন ধরণের ঔষধ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন ধরণের ইনসুলিন পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শমত ইনসুলিন নির্বাচন করতে হবে এবং সঠিক ডোজ এ সঠিক নিয়মে তা ব্যবহার করতে হবে। সকল টাইপ ১ ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ইনসুলিন নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়ও ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে। ● মুখে খাওয়ার ঔষধের মধ্যে মেটফরমিন, সালফোনাইলইউরিয়া গ্রুপের ঔষধ, গ্লিটাজোন জাতীয় ঔষধই আমাদের দেশে বেশী ব্যবহৃত হয়। তবে আরো নতুন নতুন উন্নতমানের ঔষধ বিশ্ববাজারে চলে এসেছে, আশা করা যায় সেগুলো অচিরেই আমাদের দেশে পাওয়া যাবে। মুখে খাওয়ার ঔষধ শুধুমাত্র টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে। ● রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে অন্যান্য যেসব বিষয় ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জরুরীঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মমত পায়ের যত্ন নেওয়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর চোখ পরীক্ষা করা এবং চোখের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর কিডনীর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা এবং সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

● ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় ঔষধের সাথে সাথে উপরে বর্ণিত জীবনাচার মেনে চলা আবশ্যক। ডা. এ.বি.এম. কামরুল হাসান রাঙা সহকারী সার্জন, পাইস্কা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ধনবাড়ী, টাংগাইল। (লেখক এন্ডোক্রাইনোলজী এন্ড মেটাবলিজম এ উচ্চশিক্ষারত) Email:

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.