আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিড়ালের পানি পান রহস্যউদ্ধার



বিড়াল জিভ দিয়ে পানি পান করার সময় পানিতে কোনো আলোড়ন তৈরি হয় না। অভিনব কৌশলে বিড়ালের পানি পানের রহস্য সম্প্রতি উদঘাটন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। খবর বিবিসি অনলাইন এর। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-এর গবেষকরা শক্তিশালী ক্যামেরার মাধ্যমে একটি পোষা বিড়ালকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। গবেষণার দেখা গেছে, বিড়াল জিভ দিয়ে পানি পানের সময় পাত্রের পানিতে তেমন কোনো কম্পন সৃষ্টি হয় না বললেই চলে।

আর কিভাবে কোনো রকম কম্পন সৃষ্টি না করেই বিড়াল জিভ দিয়ে চেটে পানি পান করে সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে বলেই বিজ্ঞানীরা দাবী করছেন। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স সাময়িকীতে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কুকুর যখন পানি পান করে তখন তা আশপাশে ছড়িয়ে ফেলে। কিন্তু বিড়ালের বেলায় তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কুকুরের তুলনায় তরল পদার্থের উপর বল প্রয়োগ বিষয়ে বিড়ালের জ্ঞান বেশী বলেই জানা গেছে।

আমেরিকার মাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ড. রোমান স্টোকার তার পোষা বিড়াল ‘কুটা কুটা’র পানি পানের বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং এ বিষয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। ড. স্টোকার জানিয়েছেন, ‘সাধারণ একটি বিড়ালের পানি পান করার সময়ও বায়োম্যাকানিজম রয়েছে’। গবেষকরা জানিয়েছেন, ঘোড়া বা অন্য কোনো প্রাণী পানি পান করে তখন তারা তাদের জিহ্বা সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে তার সাহায়্যে পানি তুলে মুখ নেয়। কিন্তু বিড়াল পানি পানের সময় জিহ্বা সামনের দিকে না ঠেলে পিছনের দিকে নিয়ে যায় আর অস্বাভিক দ্রুততার সঙ্গে জিহ্বা দিয়ে পানি তুলে নেয়। আর এ কারণেই বিড়ালের পানি পানের সময় কোনো আলোড়ন সৃষ্টি হয় না।

সূত্রঃ বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/অদ্বিতী/মিন্টু/এইচবি/নভেম্বর ২০/১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।