আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে মালাউন কালীদাস

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

এই ব্লগে একজন মালাউন আছে, বিশিষ্ট মালাউন। এই মালাউনের নাম কালীদাস। সামু ব্লগে অবশ্য মালাউনের অভাব নাই। এইখানে অনেক মালাউনই ব্লগায়। কোনো কোনো মালাউন নাকি মুসলমান নাম ধইরা ব্লগায়।

তয় পারভেজ আলম মালাউন না, কারণ ওনার নামই বলে উনি মালাউন না, উনি মুসলমান। ওনার লেখা পইড়া অবশ্য ওনারে মুসলমান মনে হয় না, নাস্তিক মনে হয়। এই কারণে কেউ কেউ ওনারে প্রশ্ন করেন, আপনে যদি নাস্তিকই হইবেন তইলে এই পারভেজ আলম নাম কেন রাখছেন, বদলায়া ফেলান। পারভেজ আলম নামের প্যাটেন্ট মুসলমানের। নিজের পাছায় নিজে লাত্থি মারা মনে হয় বেসম্ভব কাম, তয় বাঙালি এই কামে ওস্তাদ।

দ্বি শহস্র বৎসরেরও বহু আগে এতদ্বা ভারতবর্ষে যেই সময় সাদা চামড়ার আর্যগণের আগমন ঘটছিল পশ্চিম এবং উত্তর ভারতে তখন পূর্বদেশীয় বাঙালিদের পূর্বপুরুষ অনার্যগনেরে ওনারা আদর কইরা ডাকতেন “অসুর”। ওনাদের মতে অসুরেরা বড়ই বদমাইস, আর ওনারা দেওরা বড়োই ভালো। ওনাদের দেওরাজ ইন্দ্র দেও বহু অসুরপূরি ধ্বংস কইরা মাটির সাথে মিটাইয়া দিতে বড়ই সিদ্ধহস্ত ছিলেন। কিন্তু কালের পরিহাস বড়ই নিদারুন। একদিন বাঙালিও কইল দেওয়েরা বড়ই ভালো আছিল, অসুরেরা বদমাইস।

মহাভারতে বঙ্গ আর প্রাগজোতিষএর রাজা বাঙালির পূর্বপুরুষ ভগদত্ত্ব পান্ডব ভাইগোরে কি ডলাডাই না দিছিলেন, ভিম ব্যাটা পলায়া বাঁচলো আর অর্জুন লুইচ্চার জীবন বাঁচাইলো কৃষ্ণ, ছলনা কইরা হত্যা করলো ভগদত্ত্বরে। বাঙালি এককালে কৃষ্ণের মহিমা প্রচার করা শুরু করলো, ভগদত্ত্বরে মনে রাখে ক্যাডা? দেড় শহস্র বৎসর পূর্বে ভারতবর্ষে একজন কবি ছিলেন। ভারতবর্ষের সাহিত্যে এই মহাকবি অতটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ ফিরিঙ্গী সাহিত্যে কবি শেক্সপিয়ার। ওনার নাম ছিল কালীদাস। মোটামুটি একি সময়ে পারস্যে খসরু নামক একজন সম্রাট ছিলেন।

রোমানদের হাত হইতে ব্যাবিলন বীজয়ের পর উনি নিজের নাম রাখেন পারভেজ, ফারসী ভাষায় যার অর্থ ‘বিজয়ী’। পারস্যে তখনো ইসলাম পৌছায় নাই, পারভেজ ছিলে একজন অগ্নিপূজক, একজন পৌত্তলিক, ভারতবর্ষে কালীদাসও পৌত্তলিকই ছিলেন। তয় ঐ যে বললাম নিজের পাছায় নিজে লাত্থি মারার চেষ্টায় রত বাঙালির ইতিহাসে কালের পরিহাস বড়ই নিদারুন। পারস্য থেইকা আগত পৌত্তলিক নাম পারভেজ বাঙালির কাছে মুসলমান নাম, আর কালীদাস মালাউন। আমার নামের দ্বিতীয় শব্দ ‘আলম’, এইটাও কোন আরবী শব্দ না, তুর্কিশ শব্দ, এর অর্থ ‘দুনিয়া’।

ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হইছিল আরব দেশে। শুরুর দিকের মুসলমানদের নাম তাই আরবী, এরপরে ইসলাম গ্রহণ করলো ক্রমাগতভাবে ফারসী, সিরিয়, কপটিক, তুর্কিশ ইত্যাদি ভাষাভাষীর লোকজন। নিজেগো বাপ দাদা পূর্বপুরুষের নাম বজায়া রাইখাই তারা মুসলমান হইলেন। হইতে পারলো না খালি অভাগা বাঙালি। পাকিস্তান আমলে বাঙলা ভাষারে পাকিস্তানীরা মালাউনের ভাষা কইতো, বাঙলা নামরে হিন্দুয়ানী নাম।

৫২তে এই মালাউনের ভাষারে তারা মুইছা ফেলতে চাইছিল। একাত্ত্বরে ওনারা বাঙালিরে মালাউন কইয়া খুন ধর্ষন আর গণিমতের মাল লুন্ঠন ফরয কইরা নিছে। কিন্তু ঐযে কইছিলাম, বাঙালির ইতিহাসে কালের পরিহাস বড়ই নিদারুন। নিজের ভাষার নামেরে নিজের পাছায় লাত্থি মারার চেষ্টায় রত বাঙালি এখন কয় মালাউন নাম। ব্লগার কালীদাস, আপনে সামু কর্তৃপক্ষরে কন আপনের নামটা বদল কইরা ফিরিঙ্গি নাম শেক্সপিয়ার কইরা দিতে।

------------- মালাউন শব্দের অর্থ খুব সম্ভবত অভিষপ্ত। যেই জাতির মানুষ নিজের ভাষার শব্দরে মালাউন শব্দ মনে করে সেই জাতির চেয়ে বড় মালাউন জাতি এই দুনিয়ায় খুইজা পাওয়া দুস্কর হবে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে চাই এই মগজহীন পশুগুলা বাঙালি না। -----------------

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.