আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবনার গায়ে কুয়াশাভেজা জোৎস্নার আস্তরন!

^^^^^^^^^

একটু আগে দেখলাম ডিমের কুসুমের মত রংয়ের বিশাল একটা চাঁদ উঠছে নতুন হওয়া এয়ারপোর্ট রোডটার শেষ সীমানা হতে, মেরিয়ট এর পাশ ঘেঁষে। একটু কুয়াশাও ধরেছে। ফ্লাইওভারটার উপরে নিচে ছুটে চলা গাড়িগুলো এসব খেয়াল করুক আর নাই করুক আমি ফিরে যাই আমার অতীতে। শেষ বিকেলে কেটে বিলেই শুকাতে দেয়া ধানের গন্ধটা আমার নাকে এসে লাগে। বিশাল একটা ঈদগাহ, তার তিন কি চার ফুট উঁচু দেয়ালগুলোতে শুয়ে শুয়ে কত সন্ধ্যা পার করেছি।

খোলা পা গুলোর নিচে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিতাম অথবা বাইক থেকে পেট্রোল লাগিয়ে দিতাম যাতে মশা কামড়াতে না পারে। অদ্ভুত ভালো কাজ করত জিনিসটা। মশারা কাছেই রাগে-দুঃখে ভোঁভোঁ আওয়াজ করত কিন্তু পায়ে বসার সাহস পেতনা। হঠাৎ হঠাৎ পূবদিকে পাহাড়ের যে সারিগুলা দেখা যায় তার উপর থেকেও বিশাল চাঁদটা উঠত, ঠিক আজকের মত করে। আমি অপলক চেয়ে থাকতাম।

সন্ধ্যাটা একটু গাঢ় হলে মৌসুমি দি'কে ফোন দিতাম। আমার এক বান্ধবীর সিনিয়র রুমমেট ছিলেন তিনি। ফোন ধরেই বলত, "গান শুনতে ইচ্ছে করছে, এই তো? কিন্তু আমার যে এখন গান করতে ইচ্ছে করছেনা। " পরে ঠিকই আমাকে গান শোনাতেন। মৌসুমি ভৌমিক, কৃষ্ণকলি, সুন্দর সুন্দর নজরুল সংগীত।

মাঝরাত পর্যন্ত কুয়াশায়-ঠান্ডায় কাশি বাধানো, আর বাসায় আসলে কাশি চেপে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা। কারণ কোনভাবে যদি বাসার লোকজন বুঝে যায় টাহলে মাঝরাতের ব্যাডমিন্টন খেলাটা আর হয়ে উঠবেনা। খেলতে গিয়েও বিপত্তি, কখনো কারেন্ট যায় তো আবার মাঝে মাঝে পল্লীবিদ্যুৎ ওয়ালাদের রেউড। সে দিনগুলো, মানুষগুলো, সে সময়টাকে মিস করি খুব.......


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।