আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি কি সত্যি সত্যি কোন আন্দোলন করতে পারবে?

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজকে নয়াপল্টনের জনসভা থেকে থ্রেট দিয়েছেন ঈদের পরপরই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। ইতোপূর্বে রমজান মাসে বলেছিলেন- ব্যাপারটা রোজার ঈদের পরপরই শুরু হবে! হতভাগ্য কোটিকোটি বাংলাদেশী আওয়ামীলীগের অত্যাচার নিপীড়নে টিকতে না পেরে বারংবারই বিএনপিকে ঠেলেঠুলে ক্ষমতায় পাঠিয়ে দেয়। আর আজকের থ্রেটদাতা জনাবা আরামদায়ক চেয়ারে বসেই অখ্যাত অজ্ঞাত কোটি কোটি হতভাগ্যকে বেমালুম ভুলে যান। বাংলাদেশে যোগ্য মানুষের সত্যিই অভাব, তাই তিনি ফালু, হারিস, বাবর, তারেক, গিয়াস, সাঈদ, ডিউক প্রমুখ "অচেনা" মানুষের বাচ্চাদেরকে মন্ত্রী, উপদেস্টা, সচিব বানিয়ে "চিরচেনা" শুয়োরের বাচ্চাতে পরিণত করেন! বুড়া বুড়া জ্যান্ত সচিবদের ওনার পছন্দ হয়না, কবর থেকে তুলে আনেন কামাল সিদ্দীকিদের। উনি প্রশাসনে খাঁটি বিএনপি খোঁজেন।

মগজে একবারও আসেনা এখনকার সচিবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ১৯৭৫ সালের আগে। আর বাংলাদেশ বা পূর্বপাকিস্তানে তখনো বিএনপি নামক কোন দল ছিলনা!! অগত্যা সাবেক ছাত্রলীগ, ছাত্রসংঘ (শিবির) বা ছাত্রইউনিয়নের "বিশ্বস্ত" সমাবেশকে বেগম জিয়া "নির্ভেজাল বিএনপি" বলে ঠাউরাতে থাকেন! বাইরে তখন চলতে থাকে বিএনপি নামক সার্বজনীন মামুর ডেকচির শিরনী নিয়ে সদ্যজাত ভক্ত আশেকানদের কাড়াকাড়ি। বালুমহাল, গরুরহাট, জলমহাল, ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের স্কুলঘর, পুল কার্লভাট যে যেভাবে যততাড়াতাড়ি লুটপাটটা সেরে নিতে পারে। পাছে আবার মাজারের দখল বেদখল হয়! আর 'হতভাগ্য' জনতা চেয়ে চেয়ে অশ্রু ফেলে। আসি দৃশ্যের অপর পর্বে।

হালুয়া-রুটির মাজার থেকে বিএনপি উৎখাত। পূন:দখলের জন্য আয়োজন, হম্বিতম্বি। এ কাজটা তারা করেছে ২ বার, লেজেহুমু এরশাদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩-৯০, আর আ'লীগের বিরুদ্ধে ১৯৯৬-২০০১। প্রথমবার তারা সফল হতে লেগেছে ৮ বছর। ১৯৮৬ সালে লীগ ও জামাতের বেঈমানীকে ক্ষমা করলে বাদবাকী সময়টা তারাও অদ্যকার বেগমের সাথে ছিল।

ছিল বামধারা। সংখ্যায় তুচ্ছহলেও গানবাদ্য, কবিতা, দেয়ালিকায় তারা পারঙ্গম। ছিল ঢাবি ছাত্রদের প্রবল অংশগ্রহন। অপরপক্ষে আগাগোড়া মিলিটারী এরশাদের "পোষা" গুন্ডা ও ভাড়াটে "লোকজন" ছাড়া সে অর্থে তার লোকবল থাকার কথা না। তবুও তা ১৯৯০ অবধি গড়িয়েছে।

২য় কিস্তিতে বেগমজিয়ার ভরসা "মাথা" হিসেবে ভাড়া করা মিছিলকারী। আর "মাগনা" লোক সাপ্লাই দেয়ার বিখ্যাত ফার্ম "জামায়াতে ইসলামী। " আরও স্পেসেপিক বললে সম্পূর্ন বিনামূল্যে বেসরকারী "সেনা" সরবরাহের অতি-বিশ্বস্ত "বাহিনী" ছাত্রশিবির। ১৯৯৩-৯৬ আওয়ামীলীগের কাধেঁকাধঁ মিলিয়ে বিএনপি বিরুধী তত্বাবধায়ক "জিহাদ" শেষ হতে না হতেই করিৎকর্মা জামাত আর রেস্ট নেয়নি। বিএনপির সাথে আল্লাহর ওয়াস্তে "নৌকা বিরোধী" জিহাদ শুরু করে দেয়! বিনিময়ে তাদের নেতৃবৃন্দ দু'খানা মন্ত্রনালয় পেলেও লক্ষ লক্ষ কর্মীরা প্রতিশ্রুত "আল্লাহর সন্তুস্টি" ও "জান্নাত" অদ্যাবধি বুঝে পেয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি! তবে এতসব যুদ্ধ করেও ২০০১ সালের নির্ধারিত সময়ের ১দিন আগেও আ'লীগকে মাজারচ্যুত করা যায়নি।

সে বরকন্দাজ জামাত এখন হোলসেল জেলে, গর্তে বা দৌড়ের উপর! সুতরাং দেখা যাক কি হয়?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.