আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমাজের পতন........ যারা যায় সংবাদ আনতে তারাই হয়ে যায় সংবাদ!

রাজারাকারদের বিচার চাই....... সকাল সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে গিয়ে প্রথম ক্লাসে স্যার না আসায় তা আর করা হয়নি। চলে যাই সকালের নাস্তা করতে...পরাটা আর সবজি দিয়ে শেষ হয় নাস্তা। এরই মাঝে সকাল ৯টা ১০-এ দ্বিতীয় ক্লাসের সময় হয়ে আসে। প্রবীণ শিক্ষকের ক্লাস মন দিয়ে করতে থাকি। কিন্তু না....তার স্থায়ীত্ব বেশী হয়নি।

মোবাইল ফোনে বারবার কল আসছে এটিএননিউজ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এছাড়াও তাদের দাবি..বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য টাকা নিয়েও তাদের নিয়োগগ আটকিয়ে দিয়েছে। এমন সংবাদ পাওয়ার পরে আর ক্লাসে মন আটকাতে পারিনি। স্যার ক্লাস থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে চলে যাই প্রশাসন ভবনে।

সেখানে গিয়ে পেয়ে যাই ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক পরাগ ভাই কে। তার মাধ্যমে জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিএনপি পন্থী চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরাগ ভাইয়ের মোটর সাইকেলে করে চলে যাই সেখানে। গিয়ে দেখি চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ মাসিউল আলম বাহিরে টেবিলে বসে রোগিকে দেখছেন। জানতে পারি..আওয়ামী পন্থী ডাক্টাররা তার কক্ষ ভেঙ্গে দুটি করার জন্যে মাঝ দিয়ে পার্টীশন দিতেছে।

তাকে না বলে কক্ষ ভাঙ্ড়ার জন্যে সকল অফিসাররা তাদের কর্ম বিরুতি করে। বিশ্ববিদ্যালয মেডিকেল সেন্টারের টিকিত্সক ও অফিসার সমিতির সহ-সভাপতি ড. মসিউল আলম কক্ষে গত বুধবার হরতাল চলাকালিন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংস্কারের নাম করে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর ড. মসিউল আলম চিকিত্সা কেন্দ্রের প্রধান ড. তবিবুর রহমান শেখকে বিষয়টি জানান। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ডাক্তাররা এর প্রতিবাদে শনিবার চিকিত্সা কেন্দ্রের বাইরে বসে স্বেচ্ছায় চিকিত্সা সেবা দিতে থাকেন। এ সময় বিএনপি পন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ডাক্তারদের বাইরে বসে চিকিত্সা প্রদান করছেন দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠেন।

এতে ডাক্তারদের অসম্মান করা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তারা চিকিত্সা কেন্দ্রের প্রধান ড. তবিবুর রহমান শেখের কক্ষে গিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। এ সময় আওয়ামী পন্থী কর্মচারীরা সংঘটিত হয়ে তাদের উপর হামলা করে। তারা বিএনপি পন্থী কর্মচারীদের বেধড়ক মারপিট করে মেডিকেল সেন্টার থেকে বের করে দেয়। এ সময় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকেও তারা পেটাতে থাকে। এতে ঢাকা নিউজের রাবি প্রতিনিধি জাকির হোসেন তমাল, দৈনিক বার্তার রাবি প্রতিনিধি নাছরুল ইসলাম নাবিলসহ ৮ জন কর্মবারী আহত হয়।

আওয়ামী পন্থী কর্মচারী রকি ও সুমনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন কর্মচারী সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তমালের মাথায় ও চোখে বেধড়ক ভাবে কিল-ঘুসি মারতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তমালকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে রামেকের ১৪ ওর্য়াডে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিন্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যারা যায় সংবাদ আনতে তারাই হয়ে যায় সংবাদ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.