আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রুথ ইজ স্ট্র্যাঞ্জার দ্যান ফিকশন!

প্রবল রোদ্দুরের ফার্মগেট! 
ঘর্মাক্ত অবস্থায় এক দোকানে ঢুকে বললাম, প্রিন্ট দেওয়া যাবে? 
দোকানের আপু সন্দেহজনক গলায় বললেন, যাবে!
পেনড্রাইভ দিলাম_ আপুও ঝটপট ফাইল খুলে প্রিন্ট কমান্ড মেরে দিলেন_
ইন্কজেটের পুরনো প্রিন্টার_ খসখসে শব্দ হচ্ছে বারবার! কাগজ বের হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই! 
এবার বুঝলাম, আপুর কথায় কেন সন্দেহের পারফিউম?
এ সময় দোকানের দরজায় তাকতেই দেখি_
মস্ত সাপ! এক বেদেনীর কোমর-গলা পেঁচিয়ে মুঠোপাকানো হাতে ফণা তুলে হিসহিস করছে...
তপ্ত শহুরে দুপুরে বেদেনী সাপ নিয়ে কোত্থেকে হাজির হলো কিছুই বুঝলাম না। ফার্মগেটের আশপাশে তো নদীও নেই যে নৌকা নিয়ে চলে আসবে।
ইয়া লম্বা সাপ দেখে প্রিন্টারটাও 'ট্যাট ট্যাট' জাতীয় ভীতস্বরে কাগজ টানতে শুরু করেছে...
তখনই দোকানে প্রবেশে উদ্যত হলো-এক মেয়ে!
হাস্যরত আনন্দময় মুখ-মহাসুখী মুডে দোকানে ঢোকার মুহূর্তে ডানপাশে তাকাতেই চোখে আটকে গেল বিশাল হিসহিসে সাপের ফণায়....
ফলাফল-অতর্কিত 
আর্তনাদ!
আমি
হতবাক, তবু্ও 
পূর্ণদৈঘর্্য ছায়াছবির ওপর ভরসা রেখে বলেছিলাম, 
কোনো ভয় নেই! কোথায় যাবেন? চলুন বাড়ি পেঁৗছে দিই!
২.
'পানি খেতে চাচ্ছিলাম..
ফুটানো ঠাণ্ডা পানি তো সব শেষ! একটু অপেক্ষা করতে হবে। '
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। পঁয়তালি্লশ মিনিট ধরে পরিচিত যাকে পাচ্ছি তাকেই এ প্রশ্ন করে যাচ্ছি।

কিন্তু উত্তরের কোনো হেরফের হচ্ছে না।

ভয়াবহ বিচিত্র ব্যাপার। টেবিলের জগে কিংবা কফির মগে কোথাও পানি নেই। আমি অবশ্য বুদ্ধি খাটিয়ে ফ্রিজটাকে খুলে দেখেছিলাম। সেখানে কিছু ভাবধরা টাইপ বোতল পেয়ে গেলাম।

মানে পরিপাটি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ভেতরটা একদম ফাঁকা। একটা পেটমোটা বোতলকে দেখে কেন যেন মনে হলো ওটা দিয়ে পিটিয়ে কারও মাথা ফাটিয়ে দিই।  

বোতলটা হাতে নিয়ে এসব এলোমেলো চিন্তায় কীভাবে যেন একটা রুমে ঢুকে পড়লাম। ঢুকে দেখি, একগাদা পিচ্চি-কাচ্চি সেখানে বিশাল চেঁচামেচি করছে। আমিও কি ভেবে ওদের সঙ্গে চেঁচামেচি শুরু করব বলে ঠিক করলাম।

খানিকক্ষণ চিৎকার করার পর দেখি এক মেয়ে ড্যাবড্যাব চোখে আমার দিকে তাকিয়ে। শুরুতে অবশ্য মেয়েটা রুমে ছিল না। কোত্থেকে যেন চলে এসেছে। আমি চিৎকার থামিয়ে মেয়েটিকে শান্তভঙ্গিতে বললাম, এই যে খুকি, তুমি কি আমায় একটু জল খাওয়াতে পার? মেয়ে তার স্মোকি আইয়ের ধারালো দৃষ্টি দিয়ে স্ট্রেইট চুলের ঝামটা দিয়ে চলে গেল।  

রীতিমতো চমকে উঠলাম।

পানির দাবিতেই এত রাগ! শরবত চাইলে কী হতো কে জানে? হয়তো বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিত। আমার সব ধারণার খ্যাতা পুড়ে একটু পরেই মেয়েটি ঝকঝকে পানিভর্তি কাচের জগ নিয়ে হাজির। পরম যতনে গ্লাসে পানি ঢেলে আমার হাতে ধরিয়ে দিল।  

আমিও গটগট করে গলায় ঢেলে দিলাম।  
সঙ্গে সঙ্গেই আমার মুখ থেকে ম্যাঙ্মিাম পানি বেরিয়ে আমার শার্ট-প্যান্ট ভিজে একাকার অবস্থা।

পানি অসম্ভব রকমের গরম।  

জিভ পুড়ে আশি টাকা প্লেটের হাফ কাবাব হয়ে গেল।
স্মোকি আই মুখে হাতচেপে হাসতে হাসতে ভেঙে পড়ছে! 
বুঝলাম মস্ত ভুল হয়ে গেছে!
পানিটা কুলিকুচির ভঙ্গিতে মেয়েটির দিকেই ছুড়ে মারার দরকার ছিল!

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.