আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেউ আমায় একটু সান্ত্বনা দাও.........।।

স্বপ্ন বিলাসী আমি । স্বপ্নে নিজেরে খুঁজি । কল্পনায় বেঁচে থাকি । বাস্তবতা ভুলে যাই বারবার ।

ফোনটা বাজতেই স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেল হৃদযন্ত্রের কম্পনটা ।

অনেক দিন পর । ফোনটা হাতে তুলে নিলাম । _ কেমন আছেন ভাইয়া ? _ ভাল । কেমন আছ তুমি ? _ ভাল আছি । আপনি আমাদের একদমই ভুলে গেছেন ।

_ না সেরকম কিছু না । এই ব্যস্ত ছিলাম একটু । ওকে কেমন করে বুঝাই, আমি যে নিজে নিজেই জয়ী হতে চাইছি আমার পরাজিত শূন্য ভুবনে । ভুলে থাকতে চাইছি সমস্ত কিছু । ব্যস্ততায় শ্বাসরুদ্ধ করে রাখতে চাইছি আমার শূন্যতাকে ।

- তোমাদের কি খবর বল । - এইতো ভাইয়া, আমরা সবাই ভাল আছি । একসাথেই আছি । - ও কেমন আছে ? - খুব মিস করেন ওকে । না ? - নাহ ! একদমই না ।

আজকাল কি করছে ও ? - বেশ ভাল আছে । - কারো সাথে কোন রিলেশন হয়েছে কি ? - (অনেক্ষন চুপ থেকে) কেন ? হটাত এই কথা বলছেন ? - না । এমনি । জানতে ইচ্ছে করছে । আর কেন জানি মনে হচ্ছে .........।

। - দুইজনের সাথে কথা বলতে দেখি প্রায়ই । রিলেশন-টিলেশন হয়েছে কিনা জানি না । - কাদের সাথে কথা বলে কিছু জানো ? - একজনের কি যেন নাম......ওমমম......ডাবি’তে পড়ে । অন্যজন আমাদের রুমের এক আপুর ভাই ।

কি জানি ব্যবসা করে । - তাই ? কেমন কথা বলে ? - এইতো প্রায় সারাদিনই কথা বলে । - ওর ভাই এখন কিছু বলে না ? ওর বাসায় থেকে কোন সমস্যা হয় না । - হ্যা ! আমরাও তো সেটাই ভাবি । - আমার সাথেই ছিল যত সমস্যা ।

তাই না ? - আসলে.........! (অনেক্ষন চুপ করে রইল) সেই ২০০৮ সাল থেকে । টেনে টেনে ২০১৩ এঁর মাঝামাঝি পর্যন্ত এনেছিলাম । আর বেঁধে রাখতে পারিনি । মাঝে যতটা সময় ছিল, কোন দিন, কোন দিনও আমার সাথে নির্ভয়ে কথা বলতে দেখিনি ওকে । সারাক্ষণই বলত, ওর ভাই বোঝে ফেলবে ।

ওর বাবা বোঝে ফেলবে । এখন আর কথা বলা যাবে না । আজ কথা বলা যাবে না । কাল কথা বলা যাবে না । আগামী এক মাস কথা বলতে পারব না ।

বোঝতে চেষ্টা করো । নয়তো আমাকে হারাতে হবে । শুনে আমি ভয় পেয়ে যেতাম । এই হারানোর ভয়ে সব কথাই মেনে নিতাম ওর । অথচ আজ...............!! অনেক্ষন কোন কথাই বলতে পারছিলাম না ।

ভালই তো ছিলাম আমি । ও চলে যাবার পর থেকে যতটুকু সম্ভব নিজেকে বিভিন্ন দিকে ব্যাস্ত রাখার চেষ্টা করেছি । সকাল ১০ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত অফিসে কেটে যায় । যত ভয় ৬ টা থেকে ঘুমোবার আগ পর্যন্ত এই ৭-৮ ঘণ্টা সময় নিয়ে । অফিস থেকে বেরুবার আগেই রাশেদ আর সোহাগ’কে ফোন করে দিতাম ।

হাতির-ঝিল চলে আয় । রাত ৯ টা ১০ টা, আবার কোন কোন দিন ১২ টা ১ টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাসায় যেতাম । মন চাইলে খেতাম, নয়তো এমনি ঘুমিয়ে পড়তাম । পরদিন সকালে উঠে আবার একই রুটিন । এবাবেই চলছিল আমার সময়টা ।

সবসময় ভয় হত আমার । ভাবতাম, এভাবে আর কত দিন দম বন্ধ করে ছুটব ? হয়ত একদিন আমি ঠিকই গুড়িয়ে পড়ব । খোলে যাবে মনের সমস্ত দরজা জানালা । ঝড়ো বাতাস বইবে আমার চারিধারে । লণ্ডভণ্ড করে দিবে আমার সবকিছু ।

চুরমার হয়ে যাব আমি । আমি ভাবতে পারছি না ...!! আমার খুব খারাপ লাগছে, বিশ্বাস কর, খুব খারাপ লাগছে । কেউ আমায় একটু সান্ত্বনা দাও । কেউ আমার বুকে লাতি মেরে সব ভেঙ্গে চুরমার করে দাও, যেন আমি অনুভূতিহীন হয়ে যাই । আমি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে চাই, কে আছ আমায় একটু সান্ত্বনা দাও ।

সমস্ত প্রাণশক্তি এক করে বলিতে চাই আর ভালবাসি না তোমায় । তবুও হেরে যাই আমি, বারবার হেরে যাই । কেউ আমার ঘাড় থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন করে দাও যেন আমি প্রানহীন হয়ে যাই । যেন আর না বাজে টিকটিক করে বাঁজা মাতাল ঘড়িটা । কেউ আমায় এতটুকু সান্ত্বনা দাও ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।