আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিযুক্ত ৯ জনই গ্ল্যাডিয়েটর্সের

তারা হলেন গ্ল্যাডিয়েটর্সের মালিক সেলিম চৌধুরী এবং তার বড় ছেলে ও দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রাওয়াদ, বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক এবং পাঁচ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, মাহবুবুল আলম রবিন, মোশাররফ হোসেন রুবেল, ইংল্যান্ডের ড্যারেন স্টিভেন্স ও শ্রীলঙ্কার কৌশল লোকুয়ারাচ্চি। গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। এদের মধ্যে শুধু আশরাফুলই ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শাস্তি মেনে নিয়ে মাঠে ফেরার আশাবাদও জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে শতক করার অনন্য রেকর্ডের মালিক। তবে পেসার রবিন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সেলিম চৌধুরীও। গ্ল্যাডিয়েটর্সের মালিক বলেন, “এটা একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আমরা কোনো অন্যায় করিনি। আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।

” অভিযুক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্টিভেন্স। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব কেন্টের এই অলরাউন্ডার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি নিশ্চিত, গত ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর প্রস্তাবের কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে না পারায় আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ” “আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। এবং দুর্নীতির জন্য অভিযুক্তও নই। আমি আইসিসি ও আকসুকে বিপিএলের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত ও বিচার কাজে সহায়তা করেছি।

” মাইনর কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে এখন ইংল্যান্ডে আছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের জবাব দিতে কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে ফিরছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুই বিদেশি ক্রিকেটার স্টিভেন্স ও লোকুয়ারাচ্চির বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো জটিলতা আছে কিনা তা জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমি কারো নাম বলতে চাই না। তবে বিদেশি কোনো ক্রিকেটার অভিযুক্ত হলে তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ” ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের বিরুদ্ধে সরাসরি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠেনি।

তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জেনেও রিপোর্ট না করার অভিযোগ উঠেছে। আশরাফুলের স্বীকারোক্তির পর গত ১ জুন এক প্রতিক্রিয়ায় রফিক জানান, “২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স-চট্টগ্রাম কিংস ম্যাচের আগে গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপকের কক্ষে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল। আমি সে সব বৈঠকে ছিলাম না। কয়েক জন খেলোয়াড় ও মালিক পক্ষের কয়েক জন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে কয়েক জন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে জানতে পারি, মালিক পক্ষ নাকি তাদের ম্যাচটি ছেড়ে দিতে বলেছিল।



সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।