আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁশি



মহুয়ার মাতাল করা ঘ্রান রাতের কোষে কোষে ছরিয়ে আছে। মগজের রুদ্রে রুদ্রে শূন্যতার হিম কূয়াশার মত গাহ্র হয়ে নামছে। দূর আকাশে তৃষ্নার্ত চাঁদ ধূশর আলো ছরাচ্ছে। গাছপালা নিঃপ্রান নির্জিব। মনে হয় আমারই মত রিক্ত হয়েছে ওরা।

চা বাগানের চৌকিদার ঢং ঢং রাতের ঘন্টা পেটায়। দূরে ডাহুকির হতাশ, আমার বুকের ভিতর তরমুজের ফালির মত কেঁটে কেঁটে ঢোকে যায়। আমি অস্পষ্ট স্বরে বলি ওহে ডাহুকি কেন মোরে ডাক। ওপাশ থেকে কোন উত্তর আসেনা, শুধু নিস্তব্ধতা রাতের বাতাশে ভেশে বেরায়। চা বাগানে মাঝে মাঝে আসি, শহরের যান্ত্রিকতা ছেরে একটু নীবির প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে আমার এই ফেরা।

মাঝে মাঝে ঘুম আসেনা, তখন একাকি রাত জাগি। বাঁশের বাঁশি এখনও মাঝে মাঝে বাজাই, তাই মনের গৃহ ব্যথা ঢাকার জন্য বাঁশিতে ফুঁ দেই, বাঁশি কাঁদে রাতের বুকচিরে। শাড়ির খশ খশ আওয়েজ কিনবা মানূষের পদধ্বনীতে আমার শরীরে কাঁটাদেয়। যদিও স্বৃতি বিজরিত চেনা পথ ঘাট,বন,গাছপালা,আকাশ সব কিছুই আমার চেনা। তবুও রাতের নিস্তব্ধতায় অদ্ভূত রকম অপরিচিত হয়েওঠে আমার চেনা এলাকা।

আমি বাঁশি বাজিয়ে চলি। যদি অশরিরী আত্মা হয়, তবে সুর বন্ধকরা জিবনের জন্য রিস্কি। বাঁশি কাঁদে রাতের বুকচিরে। চাঁদের আলোর চাদর মেখে ছায়া মূর্তি যখন আমার সন্নিকটে, তখন তার মুখে আমার নাম শোনে আমি থমকে যাই বাঁশি থেমে যায় আপনিতেই। আধো অন্ধকার আধো জোসনায় আমি তাকে চিনতে পারি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।