আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা সমকালীন সঙ্গীতে জেন্ডার চিত্রায়ন ---------রাইসুল ইসলাম* মো: আশরাফুল আলম*



“হাজার র্দশক মন মাতাইয়া নাচে গো সুন্দরী কমলা প্রমেকি পুরুষ রহমি ময়িা রুপবানে নাচে কোমর দোলাইয়া” (যাত্রাবালা: মলিা চ্যাপ্টার-২, ২০০৭) সমকালনি আধুনকি বাংলা সঙ্গীতরে সনেসশেন- মলিা। হাজারো র্দশকরে মন মাতয়িে বাংলা পপ সঙ্গীতে একটি বশিষে জায়গা দখল করে নয়িছেে কন্ঠশল্পিী মলিা। মলিা শুধু গানইে জনপ্রয়ি হয়ে ওঠনেি বরং গানরে সাথে নাচ, অঙ্গভঙ্গ,ি পোশাক-আষাকরে নত্যি-নতুন স্টাইল ও ফ্যাশন বাংলা গানে নতুন মাত্রা যোগ করছেে বললওে বাড়য়িে বলা হবে না। র্দশক-শ্রোতার জনপ্রয়িতার বচিারে সঙ্গতি জগতে আসফি, হাববি, মমতাজ, বাপ্পা, মনরি খান, ফুয়াদ এবং হাল আমলরে ফজলুর রহমান বাবু (ইন্দুবালা গো) ও চঞ্চল চৌধুরীও কম যায় না। জনপ্রয়ি কন্ঠশল্পিীরা সমাজে এক একজন স্টার।

মডিয়িা সুপার স্টার। সুপার হটি। এইসব তারকাদরে চহোরা যমেন মডিয়িাতে অহরহ চোখে পড়ে তমেনি এদরে গানও পথ-েঘাট,ে সলেুন,ে গাড়তি,ে চায়রে দোকানে শুনা যায়। আসফিরে ‘ও প্রয়িা ও প্রয়িা তুমি কোথায়’, কংিবা মমতাজরে ‘বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়রি সামনে দয়িা রঙ্গ কইরা হাইটা যায়, ফাইটা যায়, বুকটা ফাইটা যায়’ যাতীয় গানরে কাটতওি কম নয়। জনপ্রয়ি এসব গানরে সুর, তাল, লয় কংিবা পরবিশেন যা-ই হউক, বশেরিভাগ গানরে কথা ও ভাব যে মোটওে জন্ডোর সংবদেনশীল নয় তা বুঝতে হয়তো খুব কমই অসুবধিা হয়।

নারীকে পাওয়ার অতৃপ্ত বাসনা কংিবা পুরুষকে প্রনোদতি করতে নারীর রঙ্গলীলা দখোনো বা নারীর জন্য পুরুষরে বুকফাটা হাহাকারই আজকরে সঙ্গতি দুনয়িার মূল উপজব্যি বষিয়। সঙ্গতি রচনা, গানরে সুর, তাল, লয়, পরবিশেনা সবকছিুই হয় পুরুষ দ্বারা, পুরুষরে হাতে এবং তাদরে ইচ্ছা ও র্স্বাথ। ে ফলস্বরুপ নারীর কাজ, ইচ্ছা, স্বপ্ন, বাসনা, আকাঙ্খাও ফুটে ওঠে পুরুষরে হাত ধরইে। গানরে লরিকিসে প্রকাশ পায় পুরুষালি সমাজরে নারীর প্রতি দৃষ্টভিঙ্গগিত বদ্ধমূল ধারনা। বড়েে যায় নারীকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উপস্থাপন করার প্রবনতা।

শুধু তাই নয়, নারীও চতেনে বা অবচতেনে সে বদ্ধমূল ভাবনায় সুর মলিায়। সবমলিয়িে সঙ্গীত সংস্কৃতরি যে কোন ধাপে চোখ রাখলে ধরা পড়ে জন্ডোর বষৈম্যরে নানা মাত্রকি চত্রি। সঙ্গীত, চলচ্চত্রি, নাটক ও বজ্ঞিাপণরে ভাষা, বক্তব্য, চত্রিায়ন, উপস্থাপনায় র্সবত্রই আজ পুরুষতান্ত্রকিতার ভূত চপেছে। ে কালচারাল ইন্ডাস্ট্রি নামে খ্যাত গনমাধ্যম সইে নতেবিাচক ও গৎবাধা চন্তিা-চতেনা লালনরে হাতয়িার হসিবেে ব্যবহৃত হচ্ছ। ে নারী মানইে বুঝানো হয় ততেুলরে অম্লত্ব, মরচিরে ঝাল, র্সপরে বক্রগত,ি হরনিরে কটাক্ষ, কুয়াশার অশ্র“, হীরকরে কাঠন্যি, ব্যাঘ্ররে নষ্ঠিুরতা, অনলরে উত্তাপ, ঘুঘুর ললতি স্বর, পাষানরে সহঞিুতা, নদ্রিার মোহ, কলহপ্রয়িতার মুখরতা, যুক্ত-িজ্ঞানহীনতার কুটর্তক, ময়ুররে বৃথা র্গব ইত্যাদ।

ি নারী জাগরনরে অগ্রদূত বগেম রোকয়ো সমাজে নারী-পুরুষরে বষৈম্যরে সইে চত্রিকে ফুটয়িে তুলছেলিনে চাবুকরে কশাঘাত কর। ে রোকয়ো তাঁর তীক্ষè ও জোরালো ভাষা এবং যুক্তি দয়িে পুরুষতান্ত্রকি সমাজে নারীর অবনমতি অবস্থানকে তুলে এনছেনে অত্যন্ত সাবলীল ভাব। ে ক্ষুরধার লখেনি দয়িে চষ্টো করছেনে সমাজরে লঙ্গিয়ি বষৈম্যরে ইতবিাচক পরর্বিতনরে। কন্তিু সমাজ কী বন্দিু মাত্র পাল্টছে?ে উত্তর- না। একুশ শতকরে পৃথবিীতে নারীর নচি অবস্থানরে ভীত বরং আরো মজবুত হয়ছে।

ে নারীকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহাররে মাত্রা যমেন বড়েছে,ে পুরুষকওে নানাভাবে নতেবিাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছ। ে সঙ্গীত মনরে খোরাক, ব্যবসারও খোরাক: ‘গঁংরপ ধহফ ৎযুঃযস ভরহফ ঃযবরৎ ধুি রহঃড় ঃযব ংবপৎবঃ ঢ়ষধপবং ড়ভ ঃযব ংড়ঁষ' -------চষধঃড় মানুষরে মনোজগতে সঙ্গীতরে প্রভাব কল্পনাতীত। মানুষকে ব্যপকভাবে আলোড়তি করার মতো ক্ষমতা হয়তো কবেল সঙ্গীতরেই রয়ছে। ে সঙ্গীত মানুষরে মন ও মানসকিতায় পরর্বিতন আন। ে এটি একটি দশেরে সংস্কৃতরি ধারক-বাহক ও বট।

ে আমরা বাঙ্গালরিা সঙ্গীতপ্রয়ি জাতি বললওে বশেি বলা হবে না। কারন আমাদরে সঙ্গীতরে ঐতহ্যি খুব সমৃদ্ধও। রবীন্দ্রনাধ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, ডি এল রায়, রজনীকান্ত ছাড়াও লালন ও বাউলসঙ্গীত, ভাওয়াইয়া-ভাটয়িাল-িমারফতি গানরে বশিাল এক লোকসঙ্গীত আমাদরে। সঙ্গতির্চচার মধ্য দয়িইে একটি জাতীর রুচবিোধ ফুটে ওঠ। ে এর মধ্য দয়িইে পরচিয় মলিে মনন, চন্তিা, মানসকিতা, ববিকে-নীতি বোধরে।

বশে কয়কে বছর আগ র্পযন্ত সঙ্গতি একটি অডওি র্আট হসিবেইে পরচিতি ছলি। তখন গান শুধু শোনার বষিয় ছলি। র্বতমানে সঙ্গতি একটি অডওি-ভজ্যিুয়াল র্আটে পরনিত হয়ছে। ে গান যমেন শোনা যায় তমেনি দখোও যায়। সঙ্গীতরে বাণী, সুর, গায়কীতওে নতুনত্ব এসছে।

ে পঞ্চাশরে দশকরে মাঝামাঝি সময় ‘সইে চম্পা নদীর তীর'ে (শল্পি:ি আবু বকর) থকেে শূরু করে গত কয়কে দশকরে পথ পরেয়িে র্বতমানে আমাদরে দশেরে আধুনকি গান বশ্বিায়নরে র্পযায়ে চলে এসছে। ে ইন্টারনটে প্রযুক্তরি মধ্য দয়িে বাংলা গান এখন বশ্বিরে বভিন্নি দশেে ছড়য়িে পড়ছে। ে গান এখন শুধু শ্রফে বনিোদনরে মধ্যইে সীমাবদ্ধ নয়। এটি এখন ব্যবসা বা বাণজ্যিরেও একটি বশিাল অংশ হয়ে দাঁড়িয়ছে। ে তপন চৌধুর,ি শাকলিা জাফর, আজম খান, ববেি নাজননি, আইয়ুব বাচ্চু, আজম খানরে হাত ধরে আশরি দশকরে শষে ভাগে অডওি অ্যালবামরে বাজার কাটতরি সূচনা ঘট।

ে র্বতমানে সঙ্গীত নয়িে চলছে রমরমা এবং জমজমাট ব্যবসা। গড়ে ওঠছেে বশিাল শল্পি প্রতষ্ঠিান। গানরে ব্যাকরন কংিবা সুর, তাল, লয় এখন বড় কথা নয়। বড় কথা হলো কোন শল্পিি কত অল্প সময়ে কত বশেি গানরে সডিি উন্মোচন করতে পারনে। সঙ্গতি নয়িে চলছে নানা প্রতযিোগতিাও।

চলছে এসএমএসরে মাধ্যমে জনপ্রয়িতার বচিারে শ্রষ্ঠেত্ব যাচাইয়রে লড়াই। যার মধ্য দয়িে মুনাফার ষোল আনাই আদাই করে নচ্ছিে টলেফিোন কোম্পানগিুলো। চলছে বাংলা ফোক গানরে আধুনকি সংস্করন, রমিক্সি। রয়ছেে মক্সিড অ্যালবামরে সংস্কৃত। ি আবার নয়িমতি গায়কীর বাইরে রয়ছেে জমেস, হাসান, আইয়ুব বাচ্চু, খালদি, ফজল, বাবনাসহ অনকে ব্যান্ড তারকা।

জনপ্রয়িতা আছে আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড মউিজকিরেও। অতি স¤প্রতি কাটতি বড়েছেে ফচিারংি অ্যালবামরে; ‘বালাম ফচিারংি জুল’ি, ‘ফুয়াদ ফচিারংি মলিা’, ‘ফুয়াদ ফচিারংি সুমন ও অনলিা’। দশেরে সঙ্গীত জগতে পরর্বিতনটা বশে জোরে সোরইে ঘটে চলছে। ে দশেরে সঙ্গতি জগতরে এতো বরিাট পরর্বিতন (!) কন্তিু রাতারাতি হয়ন। ি আঠারো শতকরে প্রথম দকিে ইউরোপরে শল্পি বপ্লিব নগরায়ন ঘটায়।

নগরায়নরে ফলে গণসমাজরে বস্তিার হয়। সাথে সাথে বশিাল এই জনগোষ্ঠীর গণচাহদিা মটোতে গড়ে উঠে গণসংস্কৃত। ি যার মূল উদ্দশ্যেই ছলি মানুষকে হালকা বনিোদন প্রদান। পাশাপাশি প্রযুক্তগিত উন্নতরি ফলে বাজারে আসতে থাকে সস্তা চলচ্চত্রি, সঙ্গীত, বই প্রভৃত। ি যার উদ্দশ্যে ছলি গন চাহদিা পূরণ।

এভাবইে গড়ে ওঠে গণসংস্কৃত। ি এসব সহজলভ্য সস্তা জনিসি কম দামে গ্রহণ করার ফলে মৌলকি লখোগুলো হারয়িে যতেে থাক। ে মানুষরে সংস্কৃতওি হয়ে পড়ে সস্তা। সংস্কৃতরি যে অংশগুলো গ্রহণ করতে কষ্ট লাগে বা গ্রহণ করতে চন্তিা শক্তরি দরকার হয় তা আস্তে আস্তে বাদ পড়তে থাক। ে (রহমান, ২০০৮) স্প্যনশি র্দাশনকি ঔড়ংব ঙৎঃবমধ ণ মধংংবঃ মত দনে যে গনসংস্কৃতি সকল ভন্নি মত ও পথরে ধারনাকে অস্বীকার কর।

ে এটি ভাল এবং স্বতন্ত্র বষিয়গুলোকে ধবংস কর। ে বঞ্জোমনি, ২০০৭) যদওি গণমানুষরে চাহদিা মটোতইে এসছেলি গণসংস্কৃত। ি সময়রে বর্বিতনে গণসংস্কৃতি উৎপাদন, বতিরন একটি বশিষে শ্রনেীর হাতে চলে যায়। পুঁজবিাদী র্অথনীতি পরচিালনাকারী শাসকশ্রনেীর র্স্বাথইে পরচিালতি হতে থাকে গনসংস্কৃত। ি গণসংস্কৃতরি নব্য সংস্করণ হল পপুলার সংস্কৃত।

ি এটি খুবই হালকা, সস্তা এবং চটুল। যার মুল উদ্দশ্যেই হলো জনগনকে খাওয়ানো। বনিমিয়ে মুনাফা আদাই করে নজিরে পকটে ভারি করা। বশ্বিায়নরে যুগে পপুলার সংস্কৃতরি বকিাশ যত ঘটছ,ে গণসংস্কৃতরি উপাদানে তত বশেি অসঙ্গত,ি বষৈম্য ও ভারসাম্যহীনতা লক্ষ করা যাচ্ছ। ে (ঞড়হম, ১৯৯২) পপুলার সংস্কৃতরি অন্যতম একটি উপাদান হলো সঙ্গীত।

সঙ্গীতে নারী-পুরুষরে উপস্থাপনে লঙ্গিয়ি সংবদেনশীলতা থাকছে না। নারীর নয়িতি ও ভূমকিা নর্ধিারতি হচ্ছে নারীর ইচ্ছায় বা তাদরে র্স্বাথে নয়, হচ্ছে পুরুষরে হাত,ে পুরুষরে র্স্বাথ। ে সঙ্গীতরে বভিন্নি উপাদানে নারীকে করা হচ্ছে অধীনস্ত আর পুরুষকে দয়ো হচ্ছে র্কতার পদ। প্রকৃতগিতভাবে সব সঙ্গীতরেই নজিস্ব ভাষা ও র্অথ থাক। ে র্বতমান সঙ্গীতরে রপ্রিজেন্টেশনে ভাষাও জন্ডোর অসংবদেনশীল ডসির্কোস তরৈি করছ।

ে সস্তা গান মানুষরে চতেনা ইন্দ্রীয়কে নথির করে দচ্ছি। ে মুনাফা কন্দ্রেীক সঙ্গীত মানব মনে স্থায়ী দাগ কাটতে তো পারছইে না বরং অতি মাত্রায় মুনাফা নর্ভির হতে গয়িে মুনাফা লাভরে হাতয়িার হসিবেে নারীকে সক্সে অবজক্টে রূপে তুলে ধরা হচ্ছ। ে সোনালী অতীত ও মলনি র্বতমান: “আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে সাখে সাখে পাখি ঢাকে কত শোভা চারি পাশে আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাস। ে” (‘হরিক রাজার দশে’ে: সত্যজৎি রায়) গান মনে দোলা দয়ে। হৃদয়ে প্রশান্তি সৃষ্টি কর।

ে আমাদরে ভাবনার জগতে ঝড় তোল। ে গানরে আধয়ে হয় কখনো ভালবাসার, কখনো বরিহরে, কখনোবা দশেপ্রমে ইত্যাদ। ি ১৯০৫ সালে ব্রটিশি বরিোধী আন্দোলনে বাংলা সঙ্গীত বশিষে ভুমকিা রখেছে। ে “একবার বদিায় দাও মা ঘুরে আস”ি এই সঙ্গীতে উদ্দীপতি হয়ে ক্ষুদরিামসহ অনকেে শহীদ হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রমাকান্ত সনে, অতুল প্রসাদ সনে প্রমুখদরে উপাদানওে জাতীয়তাবোধ খুঁজে পাওয়া যায়।

দ্বজিন্দ্রেলাল রায়রে সইে বখ্যিাত গান “বঙ্গ আমার, জননী আমার কংিবা ধনধান্যে পুস্পে ভরা আমাদরে এই বসুন্ধরা” আজও অম্লান। স্বদশেী আন্দোলনে বশ্বিকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে “ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাস”ি জনমনে দাগ কাট। ে ১৯৭০ সালে জহরি রায়হান তার “জীবন থকেে নয়ো” ছবতিে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে ব্যবহার করনে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তযিুদ্ধে বাংলার দামাল ছলেদেরে সাহস দয়োর জন্য স্বাধীন বাংলা বতোর কন্দ্রে থকেে এই সঙ্গীত প্রচার করা হত। তৎকালীন বাংলা সঙ্গীতে উঠে আসতো সমাজরে বষৈম্যরে চত্রি।

বদ্রিোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামরে “জয় হোক সত্যরে জয়” বা “কারার ঐ লৌহ কপাট” সঙ্গীতে ফুটে ওঠে তৎকালীন বষৈম্য। কংিবা মহান ভাষা আন্দোলনরে সইে অমর গান “আমার ভাইয়রে রক্তে রাঙানো একুশে ফব্রে“য়ারী, আমি কি ভুলতিে পার”ি। সময়রে বর্বিতনে সবকছিুই বদলে গছে। ে বাংলা সঙ্গীতরে উজ্জল প্রতভি লালন, হাসন রাজা, রবীন্দ্রনাথ, আব্দুল আলমি, রজনীকান্ত সনে, দ্বজিন্দ্রেলাল রায় প্রমুখদরে গান ও সুররে মৌলকিত্ব এখন আর পাওয়া যায়না। পাওয়া যায়না মন ছুয়ে যাওয়া লরিকিস।

এখন লরিকিস মানইে প্রমে ভালোবাসার মাধ্যমে নারীকে ‘ছলনাময়ী’ ‘পাষানী’ ‘হৃদয় হীনা’ রূপে আর পুরুষকে ‘প্রমেকি’ ‘বশ্বিস্ত’ ‘ত্রানর্কতা’ হসিবেে তুলে ধরা। র্বতমানে সঙ্গীত দুনয়িা অতি মুনাফা লপ্সিায় ডুবে যাওয়ায় গানরে কথা নয়িে কোন শল্পিী মাথা ঘামায় না। আমাদরে গানরে প্রধান বষিয় হয় প্রমে, ভালবাসা (জমেসরে “হে হে সুরাইয়া, বধিি নষিধে যা আছে তুলে নাও”, ‘যাও পাখি বল তারে সে যনে ভূলে না মোর’ে)। গানরে কথায় থাকে ‘আমি তুম’ি, ‘তুমি আম’ি, প্রমে, বরিহ, নারীর মন, শরীর, স্বপ্ন, কল্পনা, হারয়িে যাওয়া ইত্যাদি সব আর্বজনা। কংিবা আকাশে উড়াল দবোর মতো অদ্ভুতুরে হুমকী বষিয়ক (আইয়ুব বাচ্চুর আর বশেি কাদালে উড়াল দবেো আকাশ)ে।

সাধারণ ভাবে এ জাতীয় জনপ্রয়ি সঙ্গীত পুঁজবিাদী সমাজে মানুষকে অতশিয় ‘পলায়ন বৃত্ত’ি ও ‘স্বস্তরি ভাব’ প্রকাশে প্রণোদতি কর। ে কন্তিু যে তৃপ্তি ও মুক্তি এখানে পাওয়া যায় তা মুলত: অলীক সন্তুষ্টরি। এই অলীকতা ধরে রাখার জন্য বনিোদন ব্যবসাকে প্রতনিয়িত নতুন ধারনা এবং ব্যতক্রিমী কাজরে সূচনা করতে হয়। (রহমান, হাববিা, ২০০৮:২৩) র্কপােরটে পুজবিাদী র্বতমান বশ্বিে যে কোন শল্পি মাধ্যমরে মত গানও চটকদারী পণ্য হসিবেে ববিচ্যে হয়। মহেনতি মানুষরে মনোজগতরে এলাকাগুলো যা এতদনি দখল করছেলি তার নজিরে সংস্কৃত,ি তার আপন সুর, পুঁজবিাদী যান্ত্রকি উৎপাদন ব্যবস্থার বষিাক্ততায় সগেুলো হয়ে যাচ্ছে বষিাক্ত।

পপুলার সংস্কৃতি অভজিাত ও লোক সংস্কৃতি থকেে মূল প্রতপিাদ্য গ্রহণ করে সহজ কর,ে আর্কষনীয় ভাবে উপস্থাপন কর। ে এর ফলে উৎপাদতি পণ্য হয়ে পড়ছে বষিাক্ত। এ সমস্ত পণ্য আবার এখন বশে জনপ্রয়িতা পাচ্ছ। ে তাই ঝনিাইদহরে লোক কবি পাগলা কানাইয়রে গান“ আমি কোন বা পথে বন্ধুর দশেে যাই” জনপ্রয়ি না হয়ে জনপ্রয়িতা পয়েছেলি ডলি সায়ান্তনীর “আমি কোন বা পথে নতিাইগঞ্জে যাই” গানট। ি পপুলার সংস্কৃতরি সঙ্গীতরে উদ্দশ্যেই থাকে ব্যাপকভাবে জনসাধারণরে মনোযোগ আর্কষন করা।

এই ধরনরে সঙ্গীতে থাকে কৃত্রমি স্বপ্নময়তা, ফলে নতুন প্রজন্মরে মাঝে এ সমস্ত গানরে চাহদিা সৃষ্টি হয়। তাদরে মাঝে দখো যায় রুচি বকিৃত। ি মমতাজরে গাওয়া গানরে কথা-‘ভালবাসার টোপ দয়িা/বুকে প্রমেরে কুপ দয়িা/ছাইড়া গলে প্রাণ বন্ধু আমার'ে। রুচি বকিৃতরি আরো একটি ভালো উদাহরন হতে পারে ২০০৭ সালে বরে হওয়া ফুয়াদ ফচিারংি মলিার অ্যালবাম ‘মলিা চ্যাপ্টার-২’। (শুকনো পাতার নূপুর: ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়/েনাচছিে র্ঘূণবিায়’)।

মলিার গানে নারীর প্রথাগত চরত্রিরে ষোল আনাই উঠে এসছে। ে নারী মানে হবে সুন্দরী, সুন্দর মনরে অধকিারী, র্নতকী, রুপবান, মনহরনিী এবং র্সবােপরি ‘কমলা’র মতো। র্অথ্যাৎ কমলার মতো হবে নারীর গায়রে রুপ। নারী নাচব,ে গাইব,ে হাজারো-লাখো পুরুষরে মন তৃপ্ত করব। ে নারী রূপবতী হব,ে সুন্দরী হব,ে হবে পরীর মতো আর্কষনীয়।

নারীর রূপে পাগল হয়ে ময়ূর পঙ্খি ঘোড়ায় চড়ে আসবে রাজপুত্র। স্রষ্টা যখন পুরুষ হয়: পুরুষ র্কতৃক চন্তিতি, লখিতি এবং পরকিল্পতি হচ্ছে বাংলা জনপ্রয়ি সঙ্গীতরে কথা, সুর, তাল, লয় - - --। পুরুষই থাকে স্রষ্টার ভূমকিায়। সডিি শরিোনাম শল্পিি গীতকিার/কথা সুরকার ১ চ্যাপ্টার টু মলিা শাহান কবন্ধ ফুয়াদ-আল-মুকতাদরি ২ বরিহী হৃদয় আসফি ও মনরি খান প্রদীপ সাহা রাজশে ৩ ইন্দুবালা ফজলুর রহমান বাবু চন্দনা মজুমদার মমতাজ দলেোয়ার আরজুদা শরফ প্লাবন ৪ তুফান জমেস বশিু শকিদার জমেস ৫ র্সূযস্নানে চল বাপ্পা মজুমদার শাহান কবন্ধ, রাসলে ও নীল, রানা, ইন্দ্রনীল, আনোয়ার হোসাইন, তানবীর সজবি, সঞ্জীব চৌধুরী (উল্লখে নইে) ৬ লাল শাড়ী মমতাজ দলেোয়ার আরজুদা শরফ মান্নান মোহাম্মদ ৭ বলছি তোমাকে হাববি সুসমতিা বশ্বিাস সাথী (উল্লখে নইে) ৮ বন্ধু আমার রসয়িা মমতাজ আহমদে রজিভী, মলিন খান, ইথুন বাবু প্রণব ঘোষ, মান্নান মোহাম্মদ, ইথুন বাবু ৯ কন্যালো মমতাজ ও পলাশ দলেোয়ার আরজুদা শরফ পংকজ ১০ দূরবীন ২০১ জাহদি, নয়ন, শহদি, সাব্বরি সোহলে আরমান, শফকি তুহনি, মারজুক রাসলে, শাহান কবন্ধ, তানভীর তারকে রুম,ি ফোয়াদ, ইবরার টপিু, টংিকু আজজিুর রহমান ১১ ঘটক মমতাজ, এন্ড্রু কশিোর দলেোয়ার আরজুদা শরফ, আরমান খান, টপিু সুলতান, অনুরুপ আই আরমান খান ১২ প্রমেরে হাওয়া মমতাজ (উল্লখে নইে) (উল্লখে নইে) ১৩ তুফান জমেস বশিু শকিদার, শফকি তুহনি (উল্লখে নইে) আকস্মকি নমুনায়ন পদ্ধততিে বাছাই করা ১৩টি আধূনকি গানরে সডিরি গীতকিার ও সুরকারদরে তালকিা বশ্লিষেন করে মাত্র একজন নারী গীতকিার পাওয়া যায়। গান রচনার কাজটি যখন পুরুষরে হাত ধরে এগয়িে চলে তখন গানরে কথায় খুব ভালোভাবইে পুরুষরে ইচ্ছা-কল্পনা, চাওয়া-পাওয়া প্রতফিলতি হয়।

পুরুষতান্ত্রকিতার ছাপ ফুটে ওঠে গানরে লাইনে লাইনে ও সুরে সুর। ে পুরুষরে কামুক ভাবনা, কুৎসতি চন্তিা-চতেনা, নারীর প্রতি তাদরে হীন দৃষ্টভিঙ্গি ইত্যাদি বষিয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে গানরে কথায়। পুরুষ নারীদরে যভোবে দখেতে চায় এবং যে ভুমকিায় দখেতে চায় সভোবইে তাদরেকে র্দশক-শ্রোতার কাছে তুলে ধর। ে নারী হয় প্রমে-ভালবাসার সস্তা বস্তু, ভোগ্য পণ্য, ভোগরে উপাদান। গানরে কথায় থাকে নারীর মন, শরীর, চুল, চহোরার র্বননা।

র্বননাকে আরো রসালো করতে ব্যবহার করা হয় বশিষে বশিষে বশিষ্যে -সুন্দরী র্নতকী, নীলাঞ্জনা, পাষানী, পাখ,ি কবতিা ইত্যাদ। ি জনপ্রয়ি ব্যান্ড শল্পিী জমেসরে ‘তুমি কাঁদলইে’ (সডি:ি তুফান) গানটওি কম যায় না- “তুমি কাঁদলইে ফুল ঝরে যায়/ ঝরে যায় সব সুখ তুমি হাসলইে/নদী বয়ে যায় ভুলে যায় সব সুখ/পৃথবিী আমার ভরে যায় জোছনায়”। কংিবা মমতাজ ও পলাশরে গাওয়া গানট-ি ‘কন্যা লো/তোর কাজল কালো চোখ/রূপ দখোইয়া পাগল করল/িসারা দশেরে লোক’। (অ্যালবাম: কন্যালো) গানটতিে নারীর রুপরে র্বননা দওেয়া হয়ছেে চাঁদরে মতো, পায়ে পড়ানো হয়ছেে নূপুর, ঠোট হয়ছেে গোলাপি লাল, চুল হলো দীঘল কালো, হাতে বাজে রশেমি চুড়ি আর কানে মাটরি দুল ও গলায় মতরি হাড়। নারীর থাকবে হলুদ বরন অঙ্গ, মুখটি হবে মায়া ভরা।

নারীকে দখো মাত্রই পরান জুড়াবে এবং মনে সুখ লাগব। ে এখানইে শষে নয়, কন্যার হাসওি হতে হবে সুন্দর এবং হতে হবে হাজার গুনে গুনান্বতি। পুরুষতান্ত্রকিতার বড়োজালে নারী গীতকিাররাও আটকে গছে। ে নজিদেরে হারয়িে বসছেনে পুরুষতান্ত্রকি সমাজ ব্যবস্থায়। প্রমে-ভালবাসা, আবগে ইত্যাদরি বাহরিওে যে নারীর পদচারনা থাকতে পারে সটেি কখনো মনে করনে না নারী গীতকিাররা।

অন্তত তাদরে গানরে কথায় সটেি পাওয়া যায় না। যসেব নারী গানরে লরিকিস লখিনে পুরুষ গীতকিারদরে মতো তারাও নারী সত্তাকে বকিয়িে দনে বাজার র্অথনীতরি কাছ,ে মুনাফার কাছ। ে ফলে বাংলা গানে নারী চরত্রি হয় পুরুষরে মনোরঞ্জনরে বস্তু। নারীর রুপ হয় পুরুষনর্ভির, নজিস্ব অস্তত্বিহীন, অসাড়, অর্কমক, প্রয়িতমা, সুন্দরী, রুপসী, কোমল, নরম ইত্যাদ। ি গীতকিার সুসমতিা বশ্বিাস সাথীর ‘বলছি তোমাক’ে অ্যালবামে (শল্পিী: হাববি) মোট নয়টি গান রয়ছে।

ে গানরে শরিোনামগুলো ছলি এরকম: আকাংখা, শুভ্র চাঁদ, র্সূযমুখী প্রমে, নশিি কাব্য, একজন,ে এক মুঠো ভালবাসা, কৌতুহল, প্রান বন্ধুয়া ও গোধূলি লগন। ‘প্রান বন্ধুয়া’ শরিোনামে গানরে কথাগুলো ছলি এরকম- প্রান বন্ধুয়া..../ আজও তোমার আশায় থাক/িপথ চহয়িা..... সুখরে তরে ছড়েছেো ঘর/আমি কি তবে হলাম পর/দূরদশেে থকেে দখেো নি তো/এই মনরে দুনয়িা/প্রান বন্ধুয়া.....’। সুসমতিা সাথীর লখো হাববিরে আরো একটি সুপার হটি বাম্পার গান হলো ‘গোধূলী লগন’। গানরে কথাগুলো হলো- ‘একসাথে দু’জনে বৃষ্টতিে ভজিে একাকার/ভালবাসা নয়নে আজ তোমার আমার/এখন গোধূলী সময় মন যনে কছিু চায়/চলো না পাখি হয়ে উড়াল দইি অজানায়। ’ বাংলা মূলধারার জনপ্রয়ি সঙ্গীতে নারীর উপস্থাপন অনকে বশেি আবদেনময়ী এবং বশেরিভাগ ক্ষত্রেইে ঠুনকো, চটুল ও অপ্রয়োজনীয়ও বট।

ে গানরে কথায় থাকে নারীর শরীর ও মনরে র্বননা। নারীর র্বননা হয় ছলনাময়ী না হয় পাষানী, হৃদয়হীনা। নারী ফাঁকি দয়ে, কথা দয়িে কথা রাখে না। নারী প্রতারনা করে ইত্যাদ। ি নারীকে ধরইে নওেয়া হয় যে সে পুরুষরে মন ও শরীররে আশা মটিাব।

ে শুধু পুরুষই এটি ভাবে না বরং অতি সুক্ষভাবে নারীকওে এটি ভাবতে বলা হয়। গানরে কথা লখিে থাকনে পুরুষ। নারী শুধু কন্ঠ দয়ে। তাই স্বাভাবকিভাবইে কন্ঠশল্পিী নারী হলওে নারী অবচতেন মনে পুরুষরে ভাবনা ও চন্তিাগুলোই নজিে প্রকাশ কর। ে তাই নারী কন্ঠশল্পিীর গানওে আমরা দখেতে পাই- নারীর স্বপ্ন,ে অস্তত্বি,ে আশা-ভরষা সবকছিুর কন্দ্রেে থাকে পুরুষ এবং পুরুষরে চাহদিা মটোনো।

তার মননে ভাবনায়ও শুধুই পুরুষরে প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরা হয়। মলিার ‘ষোলআনা মন’ গানরে কথায় পাওয়া যায় তারই প্রমান: “পথ চাইয়া বসে থাকি তোরই আশায় পাইলে বন্ধু জুড়াইতাম আমার অন্তরা এ মনরে আশা কমেনে মটোই” পুরুষতান্ত্রকি সমাজরে ভাবনা ও আবহে নজিকেে বলিনি করে নজিরে অজান্তইে নজিকেে হারয়িে ফলেছেনে নারী কন্ঠশল্পিীরা। পশ্চমিা পোশাক, সাজগোছ আর নৃত্যরে আবহে নজিকেে বলিনি করে দয়িে প্রচলতি জন্ডোর বষৈম্যমূলক সমাজকইে সাদরে গ্রহন করছেনে। মলিার ‘চ্যাপ্টার টু’তে নারীকে বুঝাতে কংিবা নারীর র্বননায় যসেব জন্ডোর অসংবদেনশীল যসেব শব্দ পাওয়া যায়: নারী চরত্রিরে র্বননায় নারীর বশৈষ্ট্যি  সুন্দরী কমলা  রুপবান  মনহরনিী  ইরানী বালকিা  মরুচারনিী  মাতাল  পাগলনিী  চাঁদরে বুড়ি  নীল নয়না  হৃদয়হীনা  পাষন্ড  ঘরনী  আবগেময়ী কী আছে গানরে আধয়েতে ?: “বন্ধু আমার রসয়িা/ অন্ধার রাতে আসয়িা/টনিরে চালে মাটরি ঢলিা মাও”ে কংিবা “ভালবাসার টোপ দয়িা/বুকে প্রমেরে কুপ দয়িা/ছাইড়া গলে প্রাণ বন্ধু আমার"ে (অ্যালবাম: “বন্ধু আমার রসয়িা, শল্পিী: মমতাজ) সঙ্গীতে নারী-পুরুষরে চত্রিায়নই শষে কথা নয়। আমরা যদি সমসাময়কি জনপ্রয়ি গানরে আধয়ে বা কথাগুলো খতয়িে দখে,ি তাতওে আপত্তরি শষে নইে।

কউে যদি সংগীতা, অগ্নবিীনা, সাউন্ডটকে, লজোর ভশিন কংিবা সি এম ভ’ির প্রযোজনায় প্রকাশতি কয়কেটি গানরে সডিি মোড়ক পরীক্ষা করনে তাহলইে যথষ্টে বলে মনে হয়। বাংলা গানরে আধয়ে বুঝতে পাঠক আপনার সুবধর্িাথে নম্নিে কয়কেটি অডওি ও ভডিওি সডিরি একটি সংক্ষপ্তি তালকিা তুলে ধরছ:ি শল্পিী মমতাজ (বন্ধু আমার রসয়িা) আসফি ও মনরি খান (বরিহী হৃদয়) মলিা (মলিা চ্যাপ্টার টু) হাববি (বলছি তোমাক)ে জমেস (তুফান) গানরে শরিোনাম বন্ধু আমার রসয়িা মন বলে বাবুরাম সাপুড়ে আকাংখা উঠছেে তুফান মধু খাইতে বাধা দওি না বরিহী হৃদয় বলে মঘেরে দোষ শুভ্র চাঁদ নাগর আলী দু'চোখরে ইশারায় ব্যাথা দওিনা যাত্রাবালা র্সূয্যমুখী প্রমে এই বুকটা চড়িে আমার সোনার বন্ধুরে ভঙ্গেনা শুকনো পাতার নূপুর নশিি কাব্য একমুখি রাস্তা প্রমে জানে না বন্ধু জীবন নষ্ট শ্রাবন একজনে সুরাইয়া বাবার সাথে ইস্টশিনে মন কারগির চাঁদের বুড়ি এক মুঠো ভালবাসা অবরোধ প্রমেরে যাদুকর সাধ্য নাই চুপি চুপি কৌতুহল শারাবী গাও গরোমরে পোলা বারোটি বছর অভমিান প্রান বন্ধুয়া কূলহারা নাইট কোচরে হলেপার একি করে গলেে ষোলআনা মন গোধূলি লগন যদেকিে তাকাই তুই যে আমার এখনও বসে আছি শুকনো পাতা Ñ তুমি কাঁদলইে খলোর সাথী ছঁেড়া পাল Ñ Ñ তুমি আমার মনরে ড্রাইভার Ñ Ñ Ñ Ñ গানরে শরিোনামগুলো থকেে কয়কেটি বষিয় প্রতীয়মান। গানরে বষিয়গুলো স্পষ্টতই অতি সাধারন, সস্তা ও হালকা বনিোদনর্ধমী। কখনোবা কুৎসতিও বট। ে বষিয়গুলো বাস্তবকি জীবনরে বাস্তবতা থকেে অনকে দূর।

ে গানরে কথায় কখনো পুরুষ চরত্রিরে নয়িন্ত্রন ক্ষমতা (‘বাবার সাথে ইস্টশিন’ে) প্রকাশ পায়। কখনো নারী চরত্রিরে পণ্যায়তি (ভোগ্য পণ্য হসিবে)ে উপস্থাপন করা হয় ( তুমি কাঁদলইে’, ‘ সুরাইয়া’ ‘ষোলআনা মন’) একদকিে শল্পিী মমতাজরে কুরুচপর্িূন গানরে কথায় (‘মধু খাইতে বাধা দওি না’) নারী চরত্রি বকিৃত উপস্থাপনরে মধ্য দয়িে নারীকে পুরুষরে কাছে বকিয়িে দওেয়া হচ্ছ। ে অন্যদকিে সুইট কন্ঠশল্পিী আসফিরে নারী সঙ্গ না পাবার কাতরতা (‘বরিহী হৃদয় বল’ে, ‘ব্যাথা দওিনা’) পুরুষ চরত্রিকওে করা হয়ছেে অপমানতি। গানরে কথা অশ্ললি কংিবা কুৎসতি হলে বশেরি ভাগ সময়ইে আমরা শুধু কন্ঠশল্পিীদরে দোষারোপ করে থাক। ি কন্তিুু আমাদরে এটওি মাথায় রাখা উচতি- বাজার র্অথনীতরি এই যুগে বশেরি ভাগ কন্ঠ শল্পিীই শুধু গানরে কথায় সুর দয়ে।

প্রযোজনা প্রতষ্ঠিানগুলো তাদরে নজিস্ব গীতকিার দয়িে প্রথমে গান রচনা করয়িে ননে এবং পরে জনপ্রয়ি (র্দশক বচিার)ে কন্ঠশল্পিীর সাথে গানরে কথায় সুর দওেয়ার জন্য কন্ঠশল্পিীদরে সাথে ব্যবসায়কি চুক্তি করনে। র্অথ্যাৎ একদকিে প্রযোজনা প্রতষ্ঠিানগুলো ব্যবসায়কি চন্তিা মাথায় রখেে গানরে লরিকিস লখিয়িে থাকনে। অন্যদকিে শল্পিীরাও নজিদেরে কাটতি বাড়ানো, র্দশক-প্রয়িতা বৃদ্ধ,ি বশেি রোজগার, টভিি র্পদায় উপস্থতিি ইত্যাদসিব ববিচেনায় নয়িে অন্যকছিু না ভবেে যতো বশেি গানে কন্ঠ দওেয়া যায় তাতে হুমড়ি খয়েে পড়। ে ফলে শ্রোতারা অনকে বশেি সংখ্যক গানর শুনার সুযোগ পায়, শল্পিদিরে র্দশক প্রয়িতা বাড়,ে প্রযোজনা প্রতষ্ঠিান ও সংশ্লষ্টি ব্যক্তদিরে ব্যবসায়কি র্স্বাথ হাসলি হয়। কন্তিু গানরে মান বাড়ে না।

ভালো মানরে গান হয় না। র্দশক-শ্রোতাদরে মুখে মুখে মমতাজ, বালাম, হাববিরে গান শুনে পাঠক আপনি হয়তো বলতে পারনে - এগুলো ভালো গান না হলে কী লোকমুখে এত জনপ্রয়ি হতো? পাঠক আপনার হয়তো এটওি জানা আছ,ে ‘জনপ্রয়ি গান’ আর ‘ভালো গান’ দু’টি ভন্নি বষিয়। একটি অশ্ললি কংিবা কুৎসতি গানও যমেন জনপ্রয়ি হতে পারে তমেনি একটি ভালো মানরে গানও অত বশেি জনপ্রয়ি নাও হতে পার। ে তাই ভাবার সময় এসছেে আমরা কী জনপ্রয়ি গান চাই না-কী ভালো গান চাই। গান যহেুতু একটি বনিোদন মাধ্যম, তাই এর জনপ্রয়িতাকে অস্বীকার করার উপায় নইে।

কন্তিু একটি ভালো গানও যে জনপ্রয়ি হতে পারে তাও বলার অপক্ষো রাখে না। বর্তিক উঠতে পারে ভালো-মন্দরে বাছাই নয়ি। ে কোনটকিে আমরা ভালো বলব, কোনটকিে মন্দ বলব- তা নয়ি। ে ব্যাখ্যা অতি পরস্কিার। যসেব গান সমাজকে কুলোষতি করে না, যুব সমাজকে অন্ধকার পথে ঠলেে দয়ে না, নারীকে বকিৃতভাবে উপস্থাপন করে না তাকইে আমরা ভালো সঙ্গতি হসিবেে ধরে নচ্ছি।

ি শষেকথা: “আহা সাগররে, দখে চয়ে/ে দখে ঢউেয়রে পরতেে ঢউে আমে ধয়ে/েদখে চয়ে/েদখে আকাশে জলতেে মশেে হল একাকার/কী বাহার কী বাহার কী বাহার। ” (সত্যজৎি রায়: “হরিক রাজার দশে”ে) সঙ্গীত শ্্রুতি শল্পি হসিবেইে খ্যাত। গান শুনতে ও বুঝতে মন ও কান দুয়রেই প্রয়োজন। সমসাময়ীক গানগুলো কান ছুতে পারলওে মন ছুতে পারছে না। গানরে সাথে ভজ্যিুয়ালটিি যোগ হওয়ায় মন র্পযন্ত গান পৗেঁছানোর সুযোগও অনকে কমে গছে।

ে গানরে লরিকিসে থাকছে না গুরুগম্ভওি, চন্তিাশীল বা মননশীল কোন আধয়ে। অডওি গানরে সাথে যোগ হয়ছেে ভডিওি দৃশ্যাবল,ি অশ্ললি নাচ। ফলে এখনকার গান মানুষরে সাথে মনোকন্দ্রেকি কংিবা ভাবনাকন্দ্রেকি যোগাযোগ করতে পারে না। যা পারে তা হলো শরীরকন্দ্রেকি যোগাযোগ। সব মলিয়িে সঙ্গতি জগতরে অন্ধকার বদিুরনে এখনই উদ্যোগ না নওেয়া হলে অবস্থা যে কোথায় গয়িে দাঁড়াবে সটেি হয়তো সময়ই বলে দবে।

ে ------------------- *লখেকদ্বয়: লকেচারার, র্জানালজিম এন্ড মডিয়িা স্টাডজি ডপর্িাটমন্টে, স্ট্যামর্ফোড ইউনর্ভিাসটিি বাংলাদশে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।