আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমকালীন ৪ সাহিত্যিক



পল ডারকান আইরিশ কবি পল ডারকানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ বেরোয় ১৯৭৫ সালে। নাম ও ওয়েস্টপোর্ট ইন দ্য লাইট অব এশিয়া। অবশ্য এর আগেই ১৯৭৪-এ কবিতার জন্য পেয়েছেন পুরস্কারÑ প্যাট্রিক ক্যাভান্যাগ অ্যাওয়ার্ড। পল ডারকানের জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ১৬ অক্টোবর ১৯৪৪। পড়াশোনা করেছেন প্রতœতত্ত্ব ও মধ্যযুগের ইতিহাস নিয়ে।

পল ডারকানের অন্যান্য বইগুলো হচ্ছেÑ দ্য সিলেক্টেড পল ডারকান (১৯৮২), জিসাস অ্যান্ড অ্যাংগোলা (১৯৮৮), ক্রাইস অব অ্যান আইরিশ কেভম্যান : নিউ পয়েমস (২০০১)। ১৯৮৫ সালে বের হয় তার আরেকটি কাব্য সংকলন দ্য বার্লিন ওয়াল ক্যাফে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াÑ ব্যক্তিজীবনের পুরো হাহাকার উঠে এসেছে এ গ্রন্থটিতে। ১৯৮৯-তে তিনি আইরিশ আমেরকিান কালচারাল ইন্সটিউিট পয়েট্রি অ্যাওয়ার্ড পান। ড্যাডি ড্যাডি (১৯৯০) কাব্যগ্রন্থের জন্য পান হুইটব্রেড পয়েট্রি অ্যাওয়ার্ড।

তার সর্বশেষ বইয়ের নাম দ্য লাফটার অব মাদার্স (২০০৮)। কেট অ্যাটকিন্সন কেট অ্যাটকিন্সন পড়াশোনা করেন ইংরেজি সাহিত্যে ডান্ডি ইউনিভার্সিটিতে। ১৯৭৪-এ গ্রাজুয়েশনের পর আমেরিকান সাহিত্যের ওপর তিনি পিএইচডি করেন। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কেট অ্যাটকিন্সন লেখালেখি শুরু করেন গল্প দিয়ে।

১৯৮৬-তে একটি ম্যাগাজিনের গল্প প্রতিযোগিতায় তার ওমেন’স ওউন গল্পটি পুরস্কার জেতে। কেট অ্যাটকিন্সনের প্রথম উপন্যাস বিহাইন্ড দ্য সিনস অ্যাট দ্য মিউজিয়াম (১৯৯৫)। বইটি সে বছর সালমান রুশদির দ্য মুরস লাস্ট সাই’কে পেছনে ফেলে হুইটব্রেড বুক অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পায়। উপন্যাসের পটভূমি ইয়র্কশয়ারের রুবি লেনক্সকে কেন্দ্র করে। উপন্যাসের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে লেখক পরবর্তীতে এটিকে রেডিও, থিয়েটার ও টেলিভিশনের জন্য রূপ দেন।

তার দ্বিতীয় উপন্যাস হিউমেন ক্রোকেট (১৯৯৭)। কেট অ্যাটকিন্সন প্রচুর গল্প লিখেছেন, মঞ্চনাটকও লেখেন। তার দুটি নাটক নাইস এবং অ্যাবানডনমেন্ট এডিনবার্গ থিয়েটার ফেস্টিভল ২০০০-এ প্রদর্শিত হয়। কেট থাকেন এডিনবার্গে। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনেও লেখালেখি করেন।

তার অন্যান্য বইগুলো হলোÑ ইমোশনাললি ওয়ের্ড (উপন্যাস), নট দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (গল্প সংকলন), কেস হিস্টরিজ (থ্রিলার উপন্যাস), ওয়ান গুড টার্ন (থ্রিলার উপন্যাস)। মনিজা আলভি পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম মনিজা আলভির। জন্মের কয়েক মাস পরেই চলে যান ইংল্যান্ডে। তিনি বড় হয়েছেন হার্টফোর্টশায়ারে এবং পড়াশোনা করেন ইয়র্ক ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। মনিজা আলভির প্রথম কবিতার বইটির নাম পিকক ল্যাঙ্গুয়েজ।

সেটি মনিজা আলভি ও পিটার ড্যানিয়েলসের যৌথ কাব্যগ্রন্থ। ১৯৯১-তে এটি ‘পয়েট্রি বিজনেস প্রাইজ’ পায়। এ পুরস্কার মনিজাকে প্রচ- আতœবিশ্বাসী করে তোলে। এ পর্যন্ত মনিজার পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছেÑ দ্য কান্ট্রি অ্যাট মাই শুলডার (১৯৯৩), এ বউল অব ওয়ার্ম এয়ার (১৯৯৬), ক্যারিং মাই ওয়াইফ (২০০০), সোউলস (২০০২) এবং হাউ দ্য স্টোন ফাউন্ড ইটস ভয়েস (২০০৫)। মনিজা আলভি পেশায় শিক্ষক।

থাকেন লন্ডনে। কবিতার জন্য তিনি ২০০২ সালে চলমেনডেলি অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পান। লুসি এলম্যান মা ছিলেন লেখক আর বাবা একজন জীবনীকার। এমনি একটি লেখক পরিবারে লুসি এলম্যানের জন্মÑ ১৯৫৬ সালের ১৮ অক্টোবর ইলিনয়েসের ইভানস্টোনে। লেখক পরিবারে জন্ম আর লেখালেখি করবেন না, তা কি হয়? লুসি এলম্যানের প্রথম উপন্যাস আত্মজীবনীমূলক, নাম সুইট ডেজার্টস (১৯৮৮)।

বইটি গার্ডিয়ান ফিকশন প্রাইজ পায়। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ভেরিং ডিগ্রিস অব হোপলেসনেস (১৯৯১) এবং তৃতীয় উপন্যাস ম্যান অর ম্যাংগো? (১৯৯৮) জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল প্রাইজের শর্টলিস্টে মনোনীত হয়। লুসি এলম্যান ১৩ বছরে বয়সে চলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানেই পড়াশোনা। পড়েছেন চারুকলা নিয়ে।

১৯৮০-তে এ্যাসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ এবং ১৯৮১-তে কার্টল্ড ইন্সটিটিউট অব আর্ট থেকে এমএ করেন। লুসি এলম্যান গার্ডিয়ান, নিউ স্টেটসম্যান, লিসেনার, টাইমস লিটারেরি সাপ্লিমেন্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। তিনি একজন চিত্রনাট্যকারও। তার সর্বশেষ উপন্যাস ডক্টরস অ্যান্ড নার্স (২০০৬)।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।