আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতিরিক্ত তৈল মর্দনে তেল এর দাম বৃদ্ধি । একটি শিক্ষক এর লাশ , একটি মুক্তিযোদ্ধার ভিক্ষা চাওয়ার দৃশ্য



আমি লেখক নই । আমি সাংবাদিকও নই আমি পাঠক বরাবরি আমি পাঠ করি , কিছুদিন লেখার চেষ্টা করেছি , বাংলা বেশ কঠিন মনে হয় , ভাষার সাবলিলতা বজায় রাখতে পারিনা বলে লিখিনা । কিন্তু কমেণ্ট করি , ইদানিং আবার কমেন্ট ও করি না কি থেকে কি লিখবো কে আবার ছাগু বা ভাদা বলে ফেলবে । এই দেশে যে সত্য বলা পাপ , ব্রম্যচারি নেতারা আমাদের যা শিখিয়ে দিচ্ছে আমরা তাই বুলি আওরাই । আর তা দিয়ে ছাগু আর ভাদা নির্বাচন করি ।

যত পারি একে অপর এর ১৪ গুষ্ঠি উদ্ধার করি । যুক্তির ধার ধারি না । তাই লিখতে বসলাম কিন্তু শেষ করতে পারবো কিনা তা জানি না । শেষ তো করতেই হবে তেলের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে , কিছু দিন পর তো নিজের শরির এর তেল বের করে মাখতে হবে যেখানে যাই খালি তেল আর তেল । তেল এর চোটে রাস্তায় হাটাও কষ্ট হয়ে পরেছে ।

দুর্গা পুজার সময় বাড়িতে ছিলাম , আমার বাড়ি আবার হিন্দু পাড়াতে সবে ৩ ঘর আমরা মুস্লিম র পুরটাই হিন্দু । ওদের দেবি কে ডুবাতে আবার আমার বাড়ির পাশে নদিতে আস্তে হয় । দুর্গা পুজাতে বাড়িতে থাকার আর একটা কারন হল নারু ,মুয়া । আমাদের বাড়িতেও বানায় পুরো পাড়ার টাও পাই পাড়ার প্রতিটা ঘরে আমার বেশ উঠা বসা সেই ছোট বেলা থেকে । কিন্তু এইবার পুরো চেহারাই চেঞ্জ , যা দেখে মাথা ঘুরে পরে যাবার যো ।

আমি কোথায় আছি তা বুঝে উঠতে আমার সময় লেগেছে কয়েক মিনিট । কারন এইবার প্রতিটা নৌকাতে দেবি দুর্গার সাথে শেখ হাসিনার ছবি ছিল । কারন হিসাবে মাসিরা যা বলল , এইবার পুজার কয়টা দিন নাকি কারেন্ট যায় নাই । পুজাতে বড় রকমের সাহায্য করেছে এলাকার মন্ত্রি , এবং সব গুলো পুজাতে তার লোক জন দিয়ে নাকি পাহারার বেবস্থা করেছিল( আমাদের এলাকার মন্ত্রির দের কাহিনি পরে একসময় বলব) তার জন্য তারা এতো তেল , তাদের আরেক দেবির ভোগে দিচ্ছে । আর যে যে দেবি যে ভোগ চায় তার ভোগ দেয়াই উচিত , তাতে নাকি শান্তি থাকে ।

আমার প্রশ্ন এখানে নয় , আমার প্রশ্ন তাদের , যারা আদর্শ এর কথা বলে তারা কি সে আদর্শ নিজেদের মধ্যে রাখতে পারে এই কি ধর্ম নিরেপক্ষতার নমুনা । নাকি তাদের সব আদর্শ শুধু ভোট এর বাক্স ভরার আদর্শ ( তোরা যে যা বলিস ভাই আমার ভোটের বেঙ্ক ঠীক থাকা চাই ) । আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার ৯৫ বছর এর দাদি এইবার ২৬ তম রোজা রেখেছে পানি খেয়ে শুধু কারেন্ট না থাকার কারনে , আর আমরা ঐ রোজা রাখতে পারি নাই । আমার তো প্রশ্ন জাগতেই পারে ৯৫% মুস্লিম এর দেশে আমরা রমজান মাসে কারেন্ট পাই না কেনো । হিন্দুরা কেনো কারেন্ট পেলো ।

তাহলে কি আওয়ামিলিগ দেশের মানুষদের কে ২ ভাগে বিভিক্ত করে ফেল্লো না হিন্দু মুস্লিম নামে । যদিও এম্নিতেই বিভক্ত হয়ে আছি আমরা , আমার কি প্রশ্ন জাগতে পারেনা রমজান মাসে বিদ্যুত কই ছিল , যে বিদ্যুত রমজান মাসে উতপাদন নেই সেই বিদ্যুত পুজার সময় উতপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে । আমার এত সব বলার খারাপ কোন উদ্দেশ্য নেই বা বা হিন্দু মুসলিম এর মধ্যে বিভক্তি করার ও কোন উদ্দেশ্য নেই , আমার বলার উদ্দেশ্য নাগরিক সুবিধা নিয়ে । রাজনৈতিক হিন সার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যে বিভিক্তির স্রিষ্টি , সেটাই আমার বলার উদ্দেশ্য । ইদানিং কিছু লিখলেই ছাগু বিশেষনে ভুষিত করা হয় ।

আর যারা সমকামিতা , অবাধ মেলা মেশা , অবাধ সেক্স কে ফেস্যান হিসাবে ভাবেন তাদের সমর্থন করলে প্রগতিশিল হিসাবে ধরা হয় । কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারিনা প্রগতিশিল এর সংগা কি ? আর যদিও বুঝি তার যুক্তি দিয়ে বুঝাতে গেলে ছাগু হয়ে যেতে হয় । দুনিয়ার তাবত সমকামিরা প্রগতিশিল আর দুনিয়ার তাবত রক্ষন শিল রা ছাগু । কুয়োড় ব্যাং যেমন বাইরে আসলে বেশি লাফা লাফা করে ঠিক তেমন । যেখান থেকে প্রগতিশিল নামক শব্দ এর আমদানি তারাও এখন ছাগু হয়ে গেছে বাংলাদেশ এর রোদেলাদের কাছে ।

গতকাল অনেকদিন পর আমার গ্রামের কলেজ এ গিয়েছিলাম । এখন আর আমার সেই আগের স্যার রা নেই , এখন যারা আছে তারা অধিকাংশ আমার বন্ধু বা ছোট ভাই এর মত । গত কাল এর আলোচ্য বিষয় ছিল নাটোর এ শিক্ষক হত্যা । আমার এক বন্ধু তো বলেই উঠলো , চোখের সামনে যা খুশি হোক আর কিছু বলা যাবেনা , নিজের ও বউ বাচ্চা আছে , বলতে গিয়ে কিছু হলে বিচার তো হবেই না বরং বউ বাচ্চার দেখার মত কেও থাকবেনা । এখন কে যে মন্ত্রির লোক কে বলবে ।

শুনে আমার ১৮ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেলো , তখন আমি এইচ-এস-সি পরিক্ষা দিব তার আগে আমি আর ঐ বন্ধু এক স্যার এর সাথে বেয়াদপি করেছিলাম বলে আমার মা কলেজ মাঠেই আমাকে আর বন্ধুকে গোলা বেত দিয়ে পিটাইছিল ( আমার মা হেড মিস্ট্রেস ) এখন ও চোখের নচে দাগ আছে । আমার বন্ধুর কথা শুনে আমি পুরো হতাশ , তুমরা শিক্ষক রাই তো প্রগতিশিল এর নামে ধুয়া তুলো । কলেজ এ ছাত্রি রা বোড়কা পরে আস্তে পারবেনা ( রায় একভাবে হয়েছে তার প্রয়োগ আর একভাবে হচ্ছে ইচ্ছা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ) আবার কেও কিছু বললে এগিয়ে যাবেনা । তাহলে আমার মেয়েরা কোথায় যাবে । নিজের আব্রু তুকু বাচানোর অধিকার কি নেই এই মানুষ্য সমাজে ।

নাকি তোরা যে যা করিস ভাই আমার বলার কিছু নাই , বলে প্রগতিশিল দের কাতারে নাম লিখাবে । এই পরিস্থিতির জন দায়ি কে ? বোরকা নিষিদ্ধ নাকি সমাজ বেবস্থা । আমরা যুদ্ধঅপরাধির বিচার করবো আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে এটাই আমার প্রত্যাশা । কিন্তু তার আগে আমার প্রশ্ন যুদ্ধ অপরাধির সংগা কি ? তা জানার অধিকার আমার আছে , এই দেশের একজন নাগরিক হিসাবে । আমি যা জানি তা হলো যুদ্ধে যারা ক্ষমাহিন অপরাধ করেছে তারাই হলো যুদ্ধপরাধি ।

আর যুদ্ধপরাধির সংগা যদি তাই হয় তাহলে একজন যুদ্ধ অপরাধি কিভাবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হতে পারে কিভাবে মন্ত্রি হতে পারে । মুক্তিযুদ্ধের সময় কি খালি রাজাকার রাই ঘর বাড়ি পুরিয়েছে নাকি মুক্তিযোদ্ধারাও করেছে , মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ডাকাতি করেছে হিন্দুদের বাড়ি দখল করেছে তাদের সম্পদ লুন্ঠন করেছে । যে অপরাধে তাদের মুক্তি যুদ্ধ থেকে বহিস্কার ও করা হয়েছিল । যাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বহিস্কার করা হয়ে ছিল , যারা ইন্ডিয়াতে গিয়ে সুখের সাগরে ভেসে ছিলো তারাই আজকে মুক্তি যুদ্ধের ধারক বাহক । আর আজ পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধা গাড়িতে গাড়ীতে ভিক্ষে করা ফকির ।

লজ্জা লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে, গলায় ঝুলানো তার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট । আমি তাকে ভিক্ষে দিতে পারিনি । একজন মুক্তিযোদ্ধা কে ভিক্ষে দেয়ার মত ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেয় নি । সে সাহস আমার নেই ভিক্ষে করার জন্য উনি মুক্তি যুদ্ধ করেনি । যাকে সন্মান টুকু দিতে পারলাম না তাকে ভিক্ষে দিয়ে অসন্মান করি কি ভাবে এই দুর্ভাগ্য তো আমাদের , এই দেশের এই জাতির ।

আমি মরে গেলে আমার কফিন এর উপর জাতীয় পতাকা থাকবেনা কিন্তু উনি মরে গেলে জাতিয় পতাকা থাকবে উনার কফিন এর উপর । কিন্তু মরে যাওয়ার পর সন্মান দিয়ে কি লাভ । তাকে যে প্রতিদিন বেচে থেকে হাজার বার করে মরতে হচ্ছে । একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য সন্মান টুকু আমরা দিতে পারলাম না অথচ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেব্যসা করতে পারলাম কি নির্ম্ম পরিহাস । মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য শুধু অসন্মান লাঞ্ছনা আর যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর ভারতে কাটিয়ে দিল তাদের জন্য পুরো দেশ টাই দিয়ে দিলাম ।

আর আমাদের জন্য রাখলাম রক্তাত্ত ধর্ষিত দেশ , যে দেশ কে রাজনিতিক রা বার বার ধর্ষন করে যাচ্ছে প্রতিকার করার কেও নেই । প্রশ্ন গুলো রেখে দিলাম …………………। । কথা শেষ হয় নি আরো অনেক অনেক প্রশ্ন জাগে কিন্তু করতে পারি না । ভয় হয়


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.