আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্হিতি সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি

সময় বদলায়, মানুষ বদলাই, হয়ে যায় ভীসন রকম হিসেবী, শুধু আমি পারি না।

বিগত প্রায় ০৩ (তিন) বছর যাবৰ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সৈয়দ আলী নকী (মরহুম) ও তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর পক্ষীয় কর্তৃপক্ষ এবং প্রফেসর মনিরুল হক ও তাঁর পক্ষীয় কর্তৃপক্ষ উভয়েই নিজেদেরকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ কর্তৃপক্ষ বলে দাবী করে আসছেন এবং এ ব্যাপারে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলাও করেছেন যা এখনও নিষ্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া সম্প্রতি জনাব মোহাম্মদ আবুল হোসেন নামে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে দারুল ইহসান ট্রাস্ট/বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবী করে উত্তরাস্হ বিএনএস সেন্টারে তাদের ঠিকানায় যোগাযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। উপরোক্ত ৩টি পক্ষ ছাড়াও জনাব আকবরউদ্দিন আহমদ নামে জনৈক ব্যক্তি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর দাবী করে এলজি, বিডিবিএল ভবন (৭ম তলা), ১২ কারওয়ানবাজার ঠিকানায় ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও কমিশনে পত্র যোগাযোগ করছেন। বিদ্যমান বিভিন্ন পক্ষ কর্তৃক পরিচালিত বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান পরিস্হিতি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি পত্রিকায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির আউটরীচ ক্যাম্পাসেও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ০২/০৯/২০০৭ জারীকৃত প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সকল আউটার ক্যাম্পাস এবং দূরশিক্ষণের মাধ্যমে বিএড, এমএড, এমবিএ ও ইংরেজিসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকার যদিও গত ১১/১০/২০০৬ তারিখ শিম/শাঃ১৪/অভিযোগ-৩/২০০৪/৫৩৭ নম্বর প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রফেসর মানিরুল হককে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, তথাপি ভাই-চ্যান্সেলরের নিয়োগের বৈধতা নির্ধারণের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিবেচনাধীন আছে। এ ছাড়াও উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে পরিচালনা ও ব্যবস্হাপনা কমিটির বিবাদমান বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে।

এমতাবস্হায়, আদালতের রায়ের মাধ্যমে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ভাইস-চ্যান্সেলরের বিষয়টি ও ব্যবস্হাপনা কমিটির বিষয়টি নির্ধারিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃপক্ষ মনে করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবদমান বিভিন্ন পক্ষের বিভেদ ও মামলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্হিতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণকে ভেবে-চিন্তে নিজ দায়িত্বে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। মোঃ সামসুল আলম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ, ইউজিসি ফোনঃ ৮১২২৭৫৭ সূত্র: www.varsityadmission.com ও প্রথম আলো, ১২ মার্চ ২০১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.