আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থ্রিলার:: দি ডে উইথ দ্য জ্যাকেল



রহস্য আমায় চিরদিনই টানে। তাই ছোটবেলা থেকেই আমি রহস্য উপন্যাসের পোঁকা। অধিকাংশ লেখাই পড়া বাংলায়,তাই সমরেশ মজুমদারের থ্রিলারগুলো অসাধারন লাগে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পড়া একটি অসাধারন থ্রিলার, ফ্রেডরিক ফরসাইথ এর "দি ডে অব দ্য জ্যাকেল"। উপন্যাসটি আমাকে ২০ টাকা ভাড়া গুনিয়েছে,কিন্তু পড়ে যে মজা পেলাম,তা অসাধারন।

বইটির মলাটে একটি কৈফিয়ত আছে অনুবাদকের,যেটি আসলেই একটি ভাল তথ্য। আশির দশকে এফ.বি-আই এর মোষ্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল ছিলেন ভেনিজুয়েলার একজন আসামী। কিন্তু কোনভাবেই তাকে পাকড়াও করা গেল না। তার একটি আস্তানা থেকে গোয়েন্দারা উদ্ধার করেন ফরসাইথ এর এই বইটি। সেই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়,একজন টপ ক্রিমিনাল কি অসাধারন অনুপ্রেরণা পেয়েছিল বইটি থেকে।

বইটি বর্ণিত হয়েছে '৬০ এর দশকের প্রেক্ষাপটে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট তখন দ্য গল। তিনি আলজেরিয়া থেকে সরে আসছেন। কিছু দেশপ্রেমিক সৈন্য এবং অসামরিক জনগন তার এই পদক্ষেপ মানতে পারল না। জন্ম নিল গুপ্ত সংগঠন, ওএসএস।

যাদের মূল লক্ষ্য হল দ্য গলকে হত্যা করে আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের দখল বহাল রাখা। কয়েকবার চেস্টা হল প্রেসিডেন্টকে মারার। কিন্তু একবারও ভাগ্য সাথে থাকল না। এক এক করে তাদের নেতারা ধরা পড়তে লাগলেন। গোয়েন্দারা অনুপ্রবেশ করল ওএসএস এর ভিতরে।

ফলে,সংগঠনের কোন সিদ্ধান্তই আর গোপনীয় থাকে না। এদিকে লাগাতার ব্যর্থতায় যারা ওএসএস কে অর্থ যোগাচ্ছিলেন,তারাও পিছটান দিতে শুরু করলেন। সব মিলিয়ে ওএসএস এর অন্তিম দশা তখন। সেই সময়েই নতুন ওএসএসপ্রধান মার্ক রদিন তার পূর্বতন প্রধানের মৃত্যুর সংবাদ শুনতে শুনতে নতুন এক পরিকল্পনা আটলেন। তার অভিষ্ট অর্জনের জন্য একজন 'হিটম্যান' প্রয়োজন।

এবং সেটা তার সংগঠন জানবে না। জানলে সেটা ফাঁস হতে সময় লাগবে না। অতএব,খোজো একজন হাই প্রোফাইল এ্যাসাসিনেটর,যার কাজ সবার অলক্ষে কাংখিত ব্যক্তিকে মৃতুবাণ হানা। অনেক খুজে একজনকে পাওয়া গেল। একজন ইংলিশ,যাকে কেউ চেনে না।

তার নাম কোনও দেশের পুলিশের কাছে নেই। কিন্তু তার চাহিদা হল ৫ লক্ষ ডলার!!! এত টাকা একজনকে দিতে হবে! বেকে বসল রদিনের দুই সহকারী। কিন্তু রদিন অবিচল। তিনি যেন দিব্যচক্ষে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছেন। তাই টাকা কোনও সমস্যা হল না।

এর পর সোনালী চুলের অজ্ঞাত আততায়ী নেমে পড়ল তার মিশনে, সেই সময়ের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যক্তিকে হত্যার সুকঠিন কাজে। কিন্তু এত গোপনীয়তার মাঝেও ফরাসি কর্তৃপক্ষ জেনে গেল,"জ্যাকেল" আসছে!!! হ্যাঁ,তার কাজের জন্য কোডনেম ছিল জ্যাকেল। এর পরে শুরু হল ইঁদুর দৌড় খেলা। বার বার অবস্থান চিহ্নিত করার পরও জ্যাকেল তার মত বদলাল না,ফরাসি কর্তৃপক্ষও তাকে আটকাতে পারল না। ২৪শে আগষ্ট,ফ্রান্সের স্বাধীনতা দিবসেই কাজ শেষ করতে চায় জ্যাকেল,কেবল ওই দিনই প্রেসিডেন্টকে খোলা জায়গায় পাওয়া যাবে।

চারদিক ব্যারিকেড করে রাখা জায়গায় সে ঢুকল একটা ক্রাচ নিয়ে খোঁড়া হিসাবে,তারপর পৌছে গেল তার কাঙ্খিত জায়গায়। ক্রাচ খুলে কাষ্টমাইজড শক্তিশালী টেলিস্কোপিক রাইফেলের পাটসগুলো জুড়লো,তার পর ব্রিচে ঢুকাল একটা "এক্সপ্লোসিভ" বুলেট,যার একটা গুলিতেই যে কোনো প্রাণীর মৃত্যু নিশ্চিত। নির্ধারিত সময় এস গেল,প্রেসিডেন্ট দ্য গল মঞ্চে উঠলেন যুদ্ধাহতদের পদক পরিয়ে দিতে। ওদিকে সাততলার জানালা দিয়ে জ্যাকেলও তার শক্তিশালী রাইফেলের টেলিস্কোপের ক্রশহেয়ারে প্রেসিডেন্টের মাথাটা স্থির করল। আস্তে আস্তে ট্রিগারে চেপে বসতে শুরু করল আঙুল,...............শেষটা আর বলতে চাইনা,যদি আগ্রহ পেয়ে থাকেন তাহলে বইটা কিনে পড়ে নেওয়ার অনুরোধ রইল।

অবশ্যই ঠকবেন না। আর ডাউনলোডের লিংকও দিলাম,পড়ে দেখুন থ্রিলার কাকে বলে!! এখানে ক্লিক করুন অথবা নিচের সাইটে যান, http://www.boiRboi.blogspot.com

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।