এখানে গাধাদের প্রবেশ করা নিষেধ
আমার কবিতারা রাত জেগে জেগে জোৎস্না গেলেনা
এমন কি সাঝের বেলায় নদী তীরে হাওয়া খেতেও যায়না
তাই কোন উদাসীন পথিক আমার কবিতা বুক পকেটে আগলে রাখেনা।
আমার কবিতার শব্দেরা প্রেমিকার ঘন কালো চুলে
হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকেনা,
তারা বলেনা সুরঞ্জনা,বরূনা কিংবা বনলতার কথা
তাই কোন প্রেমাতুর তরুনের রাত জাগা পত্রে
আমার কবিতার শব্দেরা অবাঞ্চিত।
আমার কবিতারা আজো কোন তন্ত্রের শ্লোগান হতে পারেনি
তাই খবরের পাতায় তারা নিখোজ।
আমার কবিতায় আদিম উন্মদনা নেই,
নেই কোন অপার্থিব স্বাদ
তাই কোন কিশোর অথবা কিশোরী, মা-বাবার চোখ এড়িয়ে
বইয়ের পাতায় লুকিয়ে লুকিয়ে আমার কবিতায় আনন্দ খোজ়েনা ।
আমার কবিতায় অমৃতলোকের সন্ধান নেই
তাই কেউ স্বর্গের সিড়ির খোজ আমার কবিতায় করেন না।
আমার কবিতায় গোলোক ধাধা নেই
তাই দার্শনিকদের চায়ের আড্ডায় তারা অনাহুত।
আমার কবিতারা ভরা পুর্নিমা বা পঞ্চমীর চাদের কথা বলেনা,
বলেনা চাদের পাহাড়ের কথাও
তাদের পছন্দ,শতাব্দী প্রাচীন আধার
তাই কবিদের কাছেও তারা অস্পৃশ্য।
আমার কবিতারা চোখে, চোখ রাখার কথা বলেনা
শুধুই টিকে থাকার চিরচেনা গল্পটা বলে
তাও আবার কোন প্রকার মেদ,চর্বি বা ফ্যাটি এসিডের সহায়তা ছাড়াই।
আমার কবিতারা আমার মতই নির্বোধ,
তাই তারা না বুঝেই বলে ফেলে
অদ্ভুত সব স্বপ্নের কথা ,
যার যে কোন একটি সত্য হলেই
শান্ত সুবোধ এই গ্রহটাই হয়ে উঠবে ভয়ংকর,
বয়ে যাবে পারমিয়ান যুগের তান্ডব।
আর,আজ যারা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছো
অহং নিয়ে ভাড়িক্কি সাজে হেটে বেড়াচ্ছো
তার হবে পদদলিত।
আমার কবিতারা কখণো কবিতা হয়ে উঠেনা
কারন তারা নন্দন বাবুদের নান্দনিক মনকে জয় করতে পারেনা
তারা থেকে যায় কুৎসিত শব্দমালা হয়ে।
তবুও, তারা একেবারে হারিয়ে যায়না
মাঝে,মাঝেই ভেসে উঠে, মাঠে ময়দানে
রাজপথে। নগরীর দেয়ালে,দেয়ালে
ভিক্ষার থালায় অথবা গলিত লাশেদের আর্তনাদে
তারা জেগে থাকে,টিকে থাকে , প্রাচীন থেকে প্রাচীণ কোনে
কুৎসিত থেকে আরো কুৎসিত হয়ে উঠবে বলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।