আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে না

ভালো ..তবে কালো

সংবিধান সংশোধন করলেও সরকার কোনো ইসলামী দল নিষিদ্ধ করবে না। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেছেন বলে একাধিক মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান পুনর্মুদ্রণকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় সেজন্য ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে উপস্থিত একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে তিনি তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোনো ইসলামী দলকেই নিষিদ্ধ করা হবে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও অক্ষত থাকবে। থাকবে বিসমিল্লাহও। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিককে একজন মন্ত্রী বলেন, "পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায়ের আলোকে বর্তমানে সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করা হবে। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটি সংসদে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমিটির প্রতিবেদনের ওপর সংসদে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে পরে আবারো সংবিধান ছাপানো হবে। " মন্ত্রিসভার ৫৫৪ সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত ৪৮৮ এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারের সর্বশেষ তিনমাস এবং পুরো ২২ মাস মেয়াদের কর্মতৎপরতা পর্যালোচনা এবং আগামী ২০১১ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। এ ব্যাপারে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়েজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমান সরকারের সর্বশেষ তিন মাসে মন্ত্রিসভার ১০টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৫৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর মধ্যে ৩০টি ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকী ২০টি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ২২ মাসে মন্ত্রিসভা ৮৪টি সভা করে ৫৫৪টি সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ৪৮৮টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকী ৬৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময়ে ১২৬টি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও প্রেস সচিব জানান। এজন্য প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী ও সচিবদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরো দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিগত জোট সরকারের সময় প্রথম ২২ মাসে মন্ত্রিসভার ৭৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯২টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সময়ে তারা মাত্র ৬৯টি আইন প্রণয়ন করে।

নতুন পঞ্জিকা বর্ষ ২০১১-এর জন্য ১৪ দিনের সরকারি ছুটি, আটদিনের নির্বাহী আদেশের ছুটি এবং তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটির তালিকা অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এ তালিকা চলতি ২০১০ সালের মতোই রয়েছে। ১৪ দিনের সরকারি ছুটির মধ্যে তিনটি সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। এরমধ্যে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার এবং জুমাতুল বিদা ও বিজয় দিবস শুক্রবার পড়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.