আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে না।



সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করবে না সরকার। এ ছাড়া সংবিধান থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ শব্দ বাদ যাবে না। তবে যে কাউকে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীতিমালা মেনে চলতে হবে। রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসি তার আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। দল বাতিল করার এখতিয়ার ইসির।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গ তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনোই বলিনি, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হবে। আমরা সব সময় বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছি। বলে আসছি, সব সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এমন কিছু করবে না, যাতে অন্য রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি ঘোলাটে করার সুযোগ খুঁজে পায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে নির্ধারিত আলোচনা শেষে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সংবিধান সংশোধনের ফলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দেওয়া বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্পর্শকাতর বিষয়ে এভাবে মন্তব্য না করার পরামর্শ দেন তিনি। স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই এ বিষয়ে বিতর্কিত কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়।

আর আমরা কোনোভাবেই বিদ্যমান বাস্তবতা থেকে আলাদা হতে পারব না। ’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্ত্রীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, সংবিধানের বিষয়ে একেক জনের কাছ থেকে একেক ধরনের বক্তব্য না আসা বাঞ্ছনীয়। কেননা, এ ধরনের বক্তব্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হবে। সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার ইসির।

আবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, সরকার কোনো দলকে নিষিদ্ধ করলে তবেই ইসি সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। বৈঠকে পোশাকশিল্পের অস্থির অবস্থা কাটিয়ে পরিবেশ শান্ত করতে সবাইকে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়। সভায় বলা হয়, পরিস্থিতি শান্ত করার দায়িত্ব শুধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের নয়, সাংসদদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বৈঠকে বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণাসহ যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। Prothom Alo


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.