আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং বাংলাস্থান

সস্যারের কথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে হরতাল হবে বিষয়টি বেশ প্রথম আমাদের দেশে। এর আগে সভা-সম্মেলন, মিছিল- মিটিং হয়েছে কেবল মাত্র। হরতালের সমর্থ্যনে আজ ঢাকা বিপোর্টার্স ইউনিট মিলনায়তনে অনেক বক্তারা বক্তব্য দিয়েছেন যার সারাংশ নিন্মরুপ: * সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম যোগ করায় বাংলাদেশ বাংলাস্থান এ পরিনত হয়েছে। * ধর্মভিত্তিক অর্থনীতির বৃত্তায়ন চলছে। * দেশ অনাকাক্ষিত দিকে যাচ্ছে তাই ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মূলোৎপাটন জরুরী।

বাম দল গলোর উদ্দ্যোগে এবং ক্ষমতাশীল দলের সাহায্যে যারা ধর্মভিাত্তক সকল কিছ্ু বিতাড়িত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাদেরকে দেখে একটি প্রবাদ বাক্য মনে পরে "নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা"। বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটির ও বেশি মানুষ দরিদ্র, যাদের আয় মাথা পিছু আয় ২ ডলারের ও কম, প্রায় ২ কোটির ও বেশি মানুষ অতি দরিদ্র বা এক্্রট্রিম পোর, যাদের মাথা পিছু আয় মাত্র ১ ডলারের ও কম। বাংলাদেশ জন্মের পর গত ৪১ বছর কোন দিনই ধর্মভিত্তিক অর্থনীতি রাষ্ট্র বা এর অবকাঠামো কে নিয়ন্ত্রন করে নাই। ধর্মহীন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদ্ধতি দ্বীর্ঘ এই সময়ে মানুষকে হতাশা ছাড়া কিছুই দিতে পারে নাই। এই ব্যার্থতা তাদের , যারা আজ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার জন্য সোরগোল করছেন এবং তাদের প্রভু রাজনৈতিক বড় দল গলো।

নিজেরা হাজার হাজার অর্থনৈতিক বৃত্তায়নের জন্ম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু কারার পর বলছেন ধর্মীয় অর্থনীতির বৃত্তায়ন?? আপনারা কী প্রমান করতে চান? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, আর বিসমিল্লাহ আপনাদের সব অর্জন কেেড় নিলো? বাম এই সব নেতারা জানে তারা কি করছে। কি করে সত্যকে উপেক্ষা করে অসারের আমাবস্যায় জাতিকে আড়াল করা যায়? পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো যাদের সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম আছে এবং মুসলীম দেশ এমন কয়েকটি দেশের বিষয়ে জানার আহ্বান রইলো, কেমন তাদের অর্থনীতি? যেমন- মালয়শীয়া, ইউনাইটেড আরাব আমিরাত, তিউনেসিয়া, গাম্বিয়া( আফ্রিকার সব চেয়ে দ্রত উন্নয়নশীল দেশ), সৌদি, কাতার, কুয়েত, মালদ্বীভ, মিশর এবং তাকর্ি। ( তার্কির রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না হলেও গত ২০১১ সালে গন ভোটের মাধ্যমে সকল ধরনের ধর্মীয় বা সেকুলার রাজনীতির লেভেল প্লেইং গ্রাউন্ড করা হয়েছে আর এ বছর ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তার্কীর অর্থনিতি এবং রাজনৈতীক স্থিতিশীলতার কারনে জার্মানী বড় হলায় সমর্থ্যন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আনার জন্য ) যে সব ব্যাংকার রা ধর্মভিত্তিক অর্থনীতির বৃত্তায়নের কথা ব‌লছেন তাদের জানার কথা জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে গত ১০ বছর ধরে ইসলামিক অর্থনির্ভর প্রতিষ্ঠানেরই বেশী ভুমিকা( সরকারের সহযোগীতা ছাড়াই)। দাতা ব্যাংক হিসেবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চেয়েও ইসলামীক উন্নয়ন ব্যাংক( অাই ডি বি ) এর অবদান বাংলাদেশে বেশী। অতএব আপনারাই শুধু মাত্র টিভি টক শো তে কথা বলার জন্য নিমন্ত্রন পান বলে জাতীকে অার বোকা বনাবেন না দয়া করে।

আর আওয়মী লীগ কে বুঝতে হবে যে বঙ্গ বন্ধু ইসলামের জন্য অনেক কাজ করে বাংলাদেশের সকল মানুষের সন্মানে শিক্ত হয়েছে, গুটি কয়েক পচা আদর্শের মানুষের জন্য গন বিচ্ছিন্ন হবেন না। এদের প্রতিহত করুর যদি ভবিষ্যতে মানুষের ম্যানডেট চান। সময় হলে পশ্চিমা বিশ্বে কাদের সংবিধান এবং অর্থনীতিতে ধর্ম কিভাবে আছে সে বিষয়ে লেখার প্রয়াস করবো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.