আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর্গা মা কি জয়



শুরু হচ্ছে শারোদীয় দুর্গাৎসব এ বছরের সুদর্শন পঞ্জিকায় আছে - দেবীর দোলায় আগমন, ফল : মড়ক এবং গজে গমন, ফল : শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। পল্লীবাসীগণ দেবীকে দোলায় আগমন, গজে গমন কোনটাই করানো সম্ভর হয় না। বরাবরের ন্যায় সুদুর আচার্য বা পাল বাড়িতে প্রস্তুতকৃত দেবী প্রতিমা নৌকায় করে এনে বোধনের বেদীমূলে বসিয়ে মাতৃ বন্দনায় সমবেত হয়। বাস্তবচিত্রে গজে গমন করাতে সম নয়। প্রতিবারের ন্যায় বিজয়া দশমীর দিন মাকে, অপরাহ্ণে শোভাযাত্রা সহকারে নৌকায় বহন করে ক্রীড়া, কৌতূক, জলকেলী এবং গ্রাম থেকে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রতিমা প্রদর্শনীতে যোগদান শেষে স্রোতজলে অশ্র“সিক্ত নয়নে দেবীকে বিসর্জন বা বিদায় জানানো হয়। দেবীর বিসর্জন প্রসঙ্গে বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণে বলা হয়েছে : নৌযানৈর্ণবযানৈবা নীত্বা ভগবতীং শিবাম। স্রোতজলে প্রেিপয়ঃ ক্রীড়াকৌতূকমঙ্গলে\ বিসর্জনের পর রাতে পুরোহিত মহাশয় শান্তিমন্ত্র পাঠ করে ভক্তগণের মাঝে মায়ের অস্ত্রসহ সিঞ্চন করেন শান্তির পবিত্র জলধারা। এ শান্তি মন্ত্রে কেবল হিন্দু জাতির জন্য নয়; দ্যুলোকের, ভূলোকের, অন্তরীরে সকল প্রাণীর জন্য করা হয়। রূপং দেহি, জয়ং দেহি, যশো দেহি .............(শ্রীশ্রীচণ্ডী)।

অর্থাৎ মা তুমি আমাদেরকে রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও এবং আমাদের সকল শত্র“ ধ্বংস কর। দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা অত্যাচারীকে নাশ করেন। আসুরিকতা, অপবিত্রতা দূর করে সর্বত্র সুরতা- পবিত্রতা এনে আমাদের মধ্যে যে দেবতা আছে তার বিকাশ ঘটাও। মা-মাটি-মানুষ নিয়ে আমরা বাংলা মায়ের সন্তান - এই গর্ববোধে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে শান্তি দান করুন। বিজয়ার আনন্দ সকলের মাঝে শান্তির সুবাতাস বয়ে দিক - এই প্রার্থনা।

সকল দেব- দেবীর পূজাতে ধ্বনী দিয়ে শ্রীহরিকে স্মরণ করা হয়, কেন? দেব- দেবী হলেন অব্যক্ত, অদৃশ্য পরমব্রহ্ম বা ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ। হরি হলেন- সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হরিনাম করলে দেব- দেবীগণ প্রীতি লাভ করেন। এ জন্যই বলি “শ্রীশ্রীদুর্গা দেবী প্রীতে হরি হরি বল-বল হরি। ” সবাইকে শুভেচ্ছা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।