আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাকিলের পরিণতিতে অনুতপ্ত শাহনাজ গাজী!

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।

চাকরির পর এবার সরকারি বাসাও ছাড়তে হচ্ছে! দুলাল আহমদ চৌধুরী ও আবুল বাশার নূরু: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব পদ থেকে পদত্যাগকারী মাহাবুবুল হক শাকিলকে সরকারি বাসা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল তিনি ঘনিষ্ঠজনের মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিতে খোঁজাখুজি করেছেন। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক শাহনাজ গাজীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শাকিলের পরিণতিতে তিনিও অনুতপ্ত।

শাকিলের এরকম ক্ষতি হয়ে যাবে তা তিনি তাৎক্ষণিক কল্পনাও করতে পারেননি। ২৭ সেপ্টেম্বর গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে অপ্রীতিকর ঘটনার পর শাহানাজ মিডিয়ার কাছে খুব দৃঢ়তার সঙ্গে ঘটনার কথা অস্বীকার করেছিলেন। নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, সেদিন কিছুই ঘটেনি। মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ ছেপে শাকিলের ক্যারিয়ারের ক্ষতি করেছে। তবে কিছু না ঘটে থাকলে তিনি কেন নিরাপত্তা রক্ষীদের কল করেছিলেন এপ্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।

২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্ক থেকে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগ করার সুবাধে শাকিলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে কোনো রিপোর্ট করা হলে আমি বসে থাকবো না, দেখে ছাড়বো’। গতকাল মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, শাহনাজ গাজী ও তার বন্ধু নিউইয়র্কে ইউএন মিশনে কর্মরত সারোয়ার মাহমুদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শাকিলের বিভিন্ন অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী পপি নালিশ করেছিলেন শেখ হাসিনার কাছে।

তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন। নিজ স্ত্রী ছাড়াও দলের একাধিক নারীকর্মীও শাকিলের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন একাধিক শীর্ষ নেতার কাছে। কিন্তু শাকিল প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার পর অনেক নেতাই তাকে সমীহ করে চলতেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে ঘটনার পর শাকিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন, পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। সূত্রমতে, শাকিলের দাপটের কাছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনেকেই অসহায় ছিলেন।

পদবীতে ওপরে, সেই সঙ্গে বয়সেও বড় একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন। ছাত্রলীগ নেতা থাকাবস্থায়ও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। হোটেল শেরাটন ও সোনারগাঁওয়ে নিয়মিত মদ্যপান এবং উশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। নানা অভিযোগ থাকলেও সরাসরি ছাত্রলীগ থেকে আসা সেইসঙ্গে মেধাবী হওয়ায় দলের প্রভাবশালী এক নেতার কল্যাণে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব পদে নিয়োগ পান।

এই পদে নিয়োগ পাবার পরই ১/১১’র সময় শাকিলের আত্মগোপনে চলে যাওয়া এবং শেখ হাসিনাপন্থী নেতাদের সঙ্গে কোনোরূপ যোগাযোগ না রাখা নিয়ে দলের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন। সূত্র আরো জানায়, উপ-প্রেসসচিব হওয়ার পরও শাকিল তার পূর্বের আচরণ পরিবর্তন করতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফুওয়াং ক্লাব ও উত্তরায় একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার আলোচনা বিভিন্ন মহলে শোনা যায়। এদিকে গতকাল আমাদের সময়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানের কারণে পদত্যাগ করতে হলো ডিপিএস সাকিলকে’ শিরোণামে ভূল বশতঃ লেখা হয়েছে শাকিল জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। প্রকৃত পক্ষে শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন।

ছাত্র রাজনীতি থেকেই শাহানাজ গাজীর সঙ্গে তার সম্পর্ক। এই শাহানাজ গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কোনো কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, শাকিলদের মতো লোকজনের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাধে তিনি অনেক কর্মকর্তার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন। মূল নিউজটি পড়ুন এখানে: Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.