আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুফাঁদ!!



বর্তমানে ঢাকায় যেন concrete এর পাহাড় বানানোর প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। আকাশচুমবী দালান নগরীর সর্বত্র নির্মানাধীন। কয়েকদিন আগে বাসে যাওয়ার সময় একটি দৃশ্য দেখে পুরনো একটি সংবাদের শিরোনাম মনে পড়লো। খবরটির শিরোনাম ছিলো “মাথায় ইটের আঘাতে পথচারীর মৃ্ত্যু”। ঢাকায় প্রায় প্রত্যেকদিনই হাজার হাজার লোকজন কোনো না কোনো নির্মানাধীন ভবনের নীচদিয়ে চলাচল করেন।

অনেকেই নির্মানাধীন ভবনের ঝুকি সর্ম্পকে অবগত থাকলেও আমলে নিতে চান না । আবার অনেকে অজ্ঞতা বশতঃ কিংবা উপায় না দেখে ঝুকি নিয়ে চলাচল করেন। কারন যাহাই হোক, নির্মানাধীন ভবনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো সময় তা যে কারোরই জীবন কেড়ে নিতে পারে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা বলতে নির্মানের সময় যাহাতে কোনো প্রকারে উপর থেকে কোনো loose material বা ইট,লোহা,কাঠ,পেরেক ইত্যাদি নিচে পড়তে না পারে তার ব্যাবস্থা থাকা। এগুলোর যে কোনো একটি কয়েক তলা উপর থেকে মাথায় পরলেই ভবলীলা সাঙ্গ হবে যে কাররই।

নির্মানাধীন ভবনের ছায়া আবার অনেকেরই প্রিয়। যেমন আমি অনেক পুলিশ ভাইকে দেখেছি তার ছায়ায় দাঁড়িয়ে অলসভাবে বসে থাকতে(ঝিমাতে!!)!!!অথচ উপরে মত্যুদূতের মতো কত ভারি ভারি জিনিস উঠানামা করছে সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই!!!শুধু নিজের কিংবা পথচারীর নিরাপত্তা চাইলেই আসলে গন্ডমূর্খের মতো চাওয়া হবে যদি শ্রমিকদের নিরাপত্তা না চাই। ২০-২৫ তলা উপরে রঙ করা কিংবা কোনো কিছু স্থাপন করার সময় তাদেরই নুণ্যতম ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম থাকে না। safety harness, lifeline, helmet, overall, safety shoe শ্রমিকদের জন্য দাবি করা অনেকটাই বোকামির পর্যায়ে পড়ে। তবুও কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা কিংবা পথচারীর নিরাপত্তা চাইতেই হবে।

অন্তত শুরু করতে দোষ কি!!! “লোহাখোর” নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামান্যচিত্র অনেকগুলি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে, প্রশংসা কুড়িয়েছে। সীতাকূন্ডের ship breaking yard গুলোতে সামান্য অর্থের বিনিময়ে শ্রমিকদের উপর যে অমানুষিক পরিশ্রম এবং নির্যাতন করা হয় এতে তার ছুচাগ্রপরিমাণ চিত্র উঠে এসেছে মাত্র। কয়েক টন ওজনের ভারী plate, cylinder, boiler হাত দিয়ে টানা অনেকটা ইংরেজী সিনেমার দাস-দাসীদের স্বার্থক প্রতিচ্ছবি। আর shipyard এ অগ্নিকান্ডে অথবা বিস্ফোরণে মৃত্যূর ঘটনাতো অনেকটাই ডাল,ভাতের মতো ব্যাপার!!! আরো অনেক হইতো লেখা যাবে কিন্তু তাতে সরকারের কিছুই যাই-আসে না। তা নাহলে, নিমতলার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরও সেখানে রাসায়নিক গুদাম থাকে কিভাবে!! যাত্রাবাড়িতেও অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত সেই একই কারণে।

(বাংলা ফন্ট ব্যবহারের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার দরুন কিছু ত্রুটি রয়ে গেলো!)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।