Hope is immortal
দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ও মৌলবাদীদের জন্য রাজনীতি করার পথ উন্মুক্ত করেছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া সেই পথকে আরো উন্মুক্ত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রীত্ব দিয়েছিল আর দেশে মৌলবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল। তার পরিণাম বাংলার ধর্মভীরু জনগণ গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল।
ভেবেছিলাম, যাক, এবার শিক্ষা হয়েছে। আর যাই হোক, মৌলবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীদের তথা জামায়াতের রাহুগ্রাস থেকে দূরে থাকবে।
দলের অধিকাংশ ত্যাগী নেতা-কর্মীও তাই চাচ্ছিল। কেননা, জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে যতটা না বিএনপি'র লাভ হয়েছে, তার চে' বেশি ক্ষতি করেছে জামায়াত দলটির এবং দেশের তো অবশ্যই।
বিএনপির ঘাড়ে চড়ে জামায়াত নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে।
কিন্তু যেই লাউ, সেই কদু। নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পরও দলের নেত্রীর শিক্ষা হয় নি।
বরং, জামায়াতের সাথে সখ্যতা আরো বেড়েছে। এমনকি, দেশে-বিদেশে জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাইছেন।
যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ, সেখানে তিনি এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিপক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন যদিও মাঠ পর্যায়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীরা বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না। তারা মনে করেন, এখনই সময়, জামায়াতের আঁচলের তল থেকে বের হয়ে আসা এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচারে সরকারকে সহায়তা করা।
এতে একদিকে দেশের জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। অন্যদিকে হারানো গৌরব ও ভাবমূর্তিও ফিরে আসবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
দেখা যাক, আমাদের খালেদা খালা কী করেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।