আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নির্বাচনের থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসছে...........



"ম খা আলমগীরের সংসদ সদস্যপদ বাতিল" আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার সংসদ সদস্যপদ হারাচ্ছেন। শাসক দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের এ সদস্যের এমপি পদ বাতিল করে চাঁদপুর-১ আসন (কচুয়া) শূন্য ঘোষণা করা হতে পারে আজ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে কমিশনের দেয়া রায় উচ্চ আদালতে বহাল রাখা সংক্রান্ত আদেশের কপি গতকাল নির্বাচন কমিশনে পৌঁছেছে। আজ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতেই হবে।

শূন্য ঘোষণার পর ৯০ দিনের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) জসিম উদ্দিনের সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচন করেছিল কমিশন। এছাড়াও মহাজোটের আরও চারজন এমপির সদস্যপদ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হচ্ছে। নির্বাচনের আগে ৩ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৫১ ধারা অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

পরে ড. আলমগীর রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আপিল করলে কমিশনও রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর মহীউদ্দীন খান আলমগীর হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে রায় দেয়; কিন্তু নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ বিচারপতি জয়নুল আবেদীন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ঘোষণা করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি আবেদন) করলে প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ বছরের ১৫ জুলাই তা খারিজ করে দেন। এই রায়ের সার্টিফাইড কপি গতকাল নির্বাচন কমিশন পেয়েছে।

প্রসঙ্গত নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। তিনি পেয়েছিলেন ৮০ হাজার ৮৭২ ভোট। সবেমাত্র শুরু হয়েছে শাসক দলের গত জাতীয় নির্বাচনে ডিজিটাল জালিয়াতির প্রকাশ। দেখা যাক আরও কত আসনে এমনি ডিজিটাল নির্বাচন হয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.