আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমপি আসলামের জমি দখলের বিষয়ে :

কালের সাক্ষী

ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলামের ভুমি দখল বিষয়ে : আসলামুল হক আসলাম এর বাড়ি মীরপুরে । সে সেখানকার এমপি । কয়েকদিন যাবত সে একটি জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । বর্তমান অবস্থা হল সে সেই জমির মালিকের নামে দারুস সালাম থানায় একটি মিথ্যা মামলা করেছে । এছাড়া জমির মালিকের ভাড়া দেয়া ঘর গুলো সে এখন দখল করেছে ।

এর মধ্যে রয়েছে হানিফ কাউন্টার , শ্যামলি কাউন্টার সহ বিভিন্ন দোকান ঘর । আর জমির মালিক এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে । তার নাম আবুল কাশেম (লাবু মুন্স) । তার জমির দাগ নম্বর--- সিএস/এসএ -৪২ ---------১.৫৩ একর সিএস/এসএ-৪৪-----------১.৪৯ একর বর্তমানে জমির পরিমান ৪২ নং দাগে ১৩.৫ শতক ৪৪ নং দাগে পুরো জমি জমির পরিচিতি : মৌজা ---নন্দার বাগ থানা --দারুস সালাম ( পূর্বে মীরপুর) জেলা---ঢাকা অবস্থান : ১০ নং নন্দার বাগ গাবতলী বাস টার্মিনাল ও টেকনিক্যাল মোড়ের মোহনা পেট্রোল পম্পের পাশে । পশ্চিম পাশ ঘেশে মূল রাস্তার দক্ষিনে ।

বর্তমানে বিভিন্ন বাস কাউন্টার ও দোকান ঘর , ইট বালু সিমেন্ট ব্যাবসাস্থল । ইতিহাস : জমির মালিক ছিল জনাব আঙ্গুর মিয়া বর্তমানে তার ওয়ারীশ আমির হোসেন । ১৯৪৮ সালে সরকার ঢাকা আরিচা সড়ক নির্মানের জন্য সড়ক বিভাগের অনুকুলে ৪৪ নং দাগের ৩০শতক এবং ৪২ নং দাগের পুরো জমি অধিগ্রহন করে । এবং উভয় ক্ষেত্রে জমির মালিক আংগু মিয়া ও তার ওয়ারীশগন ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে রেকর্ডভূক্ত হন এবং সেমতে গেজেট প্রকাশিত হয় । ৪২ নং দাগের ৮০ শতক জমি সড়ক নির্মানের কাজে লাগে ।

অবশিষ্ঠ ২৭.৫ শতক জমি সরকার মোহনা পেট্রল পাম্পকে লিজ দেয় । সব কিছু করার পর মাত্র ১৩.৫ শতক জমি মারিকে দখলে রয়েছে । ৪৪ নং দাগের পুরো জমি হতে মাটি কেটে সড়ক নির্মানের পর তা মালিকে দখলে রয়েছে । ১৯৪৮ সালে প্রনীত হুকুম দখল আইনে অদিগ্রহনকৃত জমি অব্যাহৃত থাকলে তা মূল মালিকানায় ফেরত যাবার বিধান মতে, ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে উক্ত জমি দাবী করে আবেদন করলে সড়ক বিভাগ উক্ত দুই দাগে অব্যবহৃত ও পতিত ১.৩০ শতক মূল মলিক আংগু মিয়ার পক্ষে আমির হোসেন গং তথা আবুল কাশেম ওরফে লাবু মুন্সির নামে ছাড় করনের সিদ্ধান্তের শুপারিশ করে । কিন্তু বিষয়টি গেজেট করনে ভূমি মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাষক, ঢাকা গড়িমসি করতে থাকলে আবেদন কারীগন হাই কোর্টে ৯৭৫/৯৯ নং রীট করে ।

হাই কোর্ট শুনানী ও রেকর্ড পত্র দেখে উভয় দাগের ১.৩০ শতক জমি অবমুক্ত কওে গেজেট প্রকাশের জন্য এক আদেশ দেন । সর্বশেষ , এই অবস্থার পর সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় কিছু ভুমি দস্যু দখল করার চেষ্টা করলে তাকে চ্যালেজ্ঞ করে ৬৩৫২/২০০২ সিভিল রিভিশন মামলা করলে আদালত আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত দেয় । এর পরও কিছু লোক দখলের চেষ্টা করলে আদালত স্থায়ী নিশেধাজ্ঞা আদেশ দেয় । জমির মালিক দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করে কিন্তু কোন লাভ হয় নি । বরং আসলাম জমির মালিক আবুল কাশেম(লাবু মুন্সি)’র নামে কেস করে তাকে হয়রানী করছে ।

থানার নম্বর ০১৭১৩৩৯৮৩৩৪ টিএনটি ৮০৩২৩৩৩ জেলা পরিষদের নামে জমির উপর আসলাম একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে । কিন্তু আমি জেলা প্রশাষক মুহিবুল হকের সাথে দেখা করে জেনেছি এটা তারা করে নি। জেলা প্রসাশকের । আর এটা যে আসলাম করেছে । তা আ সে স্বীকার করেছে ।

এবং এটি সে করে ছাড়বে বলেও স্বীকার করেছে । আর আইনের মাধ্যমে কেন করছেন না এমন প্রশ্নে সে বলেছে , আইনের মাধ্যমে করলে অনেক সময় লাগে । তাই সে নিজে তার লোক দ্বারা এটি করছে । এবং এর আগেও সে এস এ খালেকের জমি জোর করে দখল করেছে এমন কথাও বলেছে । ০৮/০৮/১০ তারিখে জমির মালিক জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিল ।

কোন লাভ হয় নি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.