আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলমান রাজনীতি........

আমি ব্লগ রাইটার না, কিন্তু ..... অনেক দিন ধরেই ভাবছি কিছু লিখবো কিন্তু হয়ে উঠছে না, কিছুটা সময়, কিছুটা বিষয়বস্তু আর কিছুটা কর্ম চঞ্চলতার অভাব। আজ অনেকটা অলস সময় পেয়েছি। অফিস থেকে তারাতারি বাসায় চলে এসেছি। ইচ্ছে করছে চলমান রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখি কিন্তু কি লিখবো ? রাজনীতির যেদিকেই হাত দেই সেদিক থেকেই দুরগন্ধ বের হয়, তারপরও চলমান রাজনীতি নিয়েই লিখতে ইচ্ছে করছে। কারন এটা এখন হট বিষয়।

আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে যখন আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল তখন স্বাগত ভাষণ দিয়ে লিখেছিলাম। আজ হয়তো সঙ্গত কারণেই তার বিপরীত হতে পারে। আমি আবারও বলি আমি particular কোনো দল করিনা। যাইহোক চলুন এবার মূল বিষয়ে যাই। একটা ঝুড়িতে অনেকগুলা আম আছে তার মধ্যে একটি আম পচা, সবাই কিন্তু পচা আমের গন্ধই বেশি পাবে।

তেমনি এই সরকারের বেশকিছু ঘটনা ভাল কাজকে ম্লান করে দিয়েছে। ইলিয়াসের মত অনেকের গুম, বিশ্বজিৎ হত্যা, রেলের থলের কালো বিড়াল,পদ্মা সেতু, শেয়ার বাজার, হলমার্ক আরও জানা অজানা অনেক কিছু। কিছুদিন আগেই ভারতের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করলো। একজন রেল মন্ত্রী (পওন কুমার বনশাল) অন্যজন আইন মন্ত্রী (আসওয়ানি কুমার)। রেল মন্ত্রীর ভাতিজা ভিজয় সিংলা রেলওয়ে বোর্ড থেকে প্রমোশনের ব্যাপারে ৯০০ মিলিয়ন রুপি ঘুষ নেওয়ার কারনে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে ।

আর সেই অপমানের কারনে রেল মন্ত্রী পওন কুমার বনশাল পদত্যাগ করেছে। আর আমাদের বাবুর কথা চিন্তা করেন এতগুলা টাকা পাওয়ার পরও তিনি দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হওয়া যে কতটা অপমানের তা হয়তো আমাদের বাবু সাহেব মনে করেন না। বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনা আমরা সবাই জানি শুধু জানেনা আমাদের মন্ত্রী এমপিরা অথবা জেগে ঘুমান। আমি এ নিয়ে আর কিছু বললাম না।

এবার আসাযাক যুদ্ধ অপরাধী বিষয়ে। স্বাধীন দেশের আমরা সবাই এর বিচার চাই। আমরা এতটাই অভাগা জাতি স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও তাদের বিচার করতে পারিনাই, বরং তারা নানা ভাবে সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। একজন যুদ্ধ অপরাধী যখন মন্ত্রিত্ব পেয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরতে পারে, স্বাধীন জাতি হিসাবে এর চেয়ে অপমান আর হতে পারেনা। এ সরকার যুদ্ধ অপরাধীর বিচার শুরু করলেও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টির করেছে।

কেউ কেউ বলছে ন্যয় বিচার হচ্ছে না আবার কেউ বলছে বিচার যাই হোক চিহ্নিত যুদ্ধ অপরাধীর বিচার হয়েযাক অন্তত জাতি কলঙ্ক মুক্ত হোক। এ নিয়েও চলছে নষ্ট রাজনীতি, মনে হলো আইন তার নিজ গতিতে চলছে না, তৈরি হলো গণজাগরণ। সবাই চাইছে যুদ্ধ অপরাধী তথাকথিত জামায়াত শিবিরের দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। এ সরকার চাইলেই তাদের রাজনীতি বন্ধ করতে পারে। কিন্তু তাতেও চলছে নষ্ট রাজনীতি।

আওয়ামী লীগ মরেগেলেও অন্তত এখন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেনা। প্রশ্ন আসতে পারে কেন ?? ভাবুনতো কেন ?? আমিই বলছি, ইসলামিক দলগুলা স্বভাবগত কারনে আওয়ামী রাজনীতি পছন্দ করেনা। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ভোটের একটা অংশ চলে যাবে তাদের বিপক্ষে আর বিপক্ষে চলে গেলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত। সঙ্গতকারনেই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে না। নিজে শুদ্ধ হতে না পারলে দেশের, দশের বা জাতির ভাল করা কোন ভাবেই সম্ভব না।

ভালকে ভাল আর মন্দকে মন্দ বলতে সৎ সাহস থাকতে হবে। প্রতি হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। চলুন অন্যকে না বলে আগে নিজে সুদ্ধ হই তবেই ভাল কিছু করা সম্ভব। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।