আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধোকা

নিজেকেই খুজছি, বহু দিন ধরে।

মুসলমান, খৃস্টান, ইহুদি ধর্মাবলম্বি রাকম বেশি কারুন এর নাম শুনেছে খোদার শত্রু হিসাবে। কিন্ত কিভাবে সে একজন আবেদ(ইবাদাত কারি) থেকে পথভ্রস্ট হল, সেটা নেয়েই মুলত লেখাটা শুরু করেছি। পরে আর একটু ধোকা নেয়ে আলোচনা করব। কারুন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত পাহাড়ে , আল্লাহর ইবাদাতে মসগুল ছিল, এবং শয়তানের অনেক রকম প্ররোচনা অগ্রাহ্য করে নামাজ-রোজা তে ব্যস্ত থেকে ,তার গৌত্রের সকল কে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে, ইবলিশ স্বয়ং চলে আসলো, তাকে বিভ্রান্ত করার জন্য। প্রথম দিকে, ইবলিস কারুন এর পাশে বসে শুধুই ইবাদাত-বন্দেগী করতে লাগলো, এক পর্যায়ে তারা একসাথে ইবাদাত শুরু করে, একসাথে ইফতারি করে......। কিছুদিন পর, ইবলিস তাকে বলল, আমারা ( কারুন+ছদ্ববেশি ইব্লিস) জনবিচ্ছিন্ন থাকার কারনে অনেক ভাল কাজ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছি, যেমন জানাযার নামাজ নামাজ পড়তে পারছি না, সরল বুঝে, কারুন রাজী হল। তারা লোকালায়ে ফিরে আসলো, একটা গির্জাতে অবস্থান নিল। এলাকার মানুষরা তাদের খাবার দেয়ে যেত, তারা ইবাদাতে মগ্ন থাকত।

এরপর ইবলিস, কারুন কে বোঝাল যে, এলাকার মানুষ এর উপর বড় চাপ পড়ে যাচ্ছে, চলো আমারা ( কারুন+ছদ্ববেশি ইব্লিস) একদিন কাজ করি, ছয় দিন ইবাদাত করব। কারুন আবারও রাজী হল, এবার ব্যবসা তে লাভ হতে থাকল, সম্পদ যড় হতে থাকল, কারুন এর লোভ বেড়ে যেতে লাগলো............। এমাতোবস্থায় ইব্লিস তার assignment কম্পলিট করে ফিরে গেল। এই কারুন এর শেষে এতটা অবনতি হল যে, সে যাকাত দিতে আস্বিকার করল। অবশেষে, আল্লাহ তার সম্পদসহ তাকে ধ্বংশ করে দিলেন (আল্লাহ আমাদের কে হেফাযাত করুন শয়তান থেকে)।

এব্যপারে, হযরত ইহাইয়া (আ) এর একটা ঘটনা বলা প্রয়জন। তিনি একবার ইবলিস কে দেখেন, পিঠে নানান জিনিসের বোঝা। তিনি জিজ্ঞাষা করলেন মাথায় কি? ইবলিস বলল কামনা-বাসনা, যা দিয়ে আমি মানুষ শিকার করি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমার কি কোনও বাসনা আছে? শয়তান বলল না নাই। তবে আপনি যখন পেট ভরে আহার করেন, তখন আমি আপনার ক্ষূধা বাড়িয়ে দিই, পরে আপনি বিশ্রাম নিতে চলে যান ইবাদাত বাদ দেয়ে।

তখন ইহাইয়া (আ) জিজ্ঞাসা করলেন আর কিছু? ইব্লিস বলল না, আর কখনো আমি আপনাকে ধোকা দেয়ার চান্স পাই নি। তখন ইহাইয়া (আ) , আল্লাহর কসম দিয়ে বললেন, আর কখনো পেট ভরে আহার করবো না। সূফি মতবাদে স্বল্প আহারের উপর খুবিই গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আহসান উল্লাহ (র) এ ব্যপারে বলেছেন যে, “With excess eating, the capacity to retain the spiritual feeling diminishes. The heart is invigorated due to the influence of hunger, and human being can feel elevated by repeated remembering of Allah and prayer. ......... Satisfaction over meal brings pride and negligence, turns the heart rough and tough, and gives no scope to ventilate kindness to the hungry people. Even desperate animals can be tamed and trained by hunger. Hunger can be a key stage to control the desperate human passions. If full stomach meal is taken, prayer becomes burdensome and all sorts of urges become dominant.” এছাড়া শয়তান এর বড় হাতিয়ার হলও বিপরীত লিংগ। এটা, শয়তানের জন্য সবচেয়ে বড় অব্যর্থ হাতিয়ার।

একজন বুজুর্গানে দ্বীন( সম্ভবত নবীজ্বির কোনও সাহাবি) একদম বৃ্দধ বয়েসে এসেও আল্লাহর কাছে বিনিত ভাবে প্রাথনা করছেন, যেন আল্লাহ তাকে কাম(সেক্স) থেকে হিফাযাত করেন। তখন, তাঁর সঙ্গিরা জিজ্ঞয়াসা করল, জনাব, এই বৃদ্ধ বয়েসেও কি আপনি , বিপদের আশংকা করেন? তিনি উত্তর দিলেন, আমি বৃদ্ধ হয়েছি, শয়তান তো বৃদ্ধ হয়নি। আর একটা ছোট কিন্তুর মজার বিষয় বলে , লেখা শেষ করছি, শয়তান আনেক সময় ই মুমিন দের কে প্ররচিত করতে ব্যার্থ হএয়ে, খারাপ লোকদের কে বিভ্রান্ত করে, তারপর তারা গোলযোগ শুরু করলে, মুমিন রাও বাধ্য হয়ে গোলমাল এ জড়িয়ে পড়ে সামাল দেয়ার জন্য, এবং অল্প হলেও বিভ্রান্ত হয়। শয়তান এর সব চেয়ে প্রিয় হল, পহেযগার কিন্তু কৃপন(ছোট মন এর মানুষ)। কারন , যেকোনো সময় তার সকল ইবাদাত নষট হএ যেতে পারে কৃপন্তার জন্য।

আর সবচেয়ে অপ্রিয় হল, পাপী কিন্তু বড় মন এর মানুষ, কারন এর যেকোন ও সময়েই আল্লাহর নেক নযর পেয়ে যেতে পারে , তাদের উদারতার জন্য( এবং তাতে শয়তানের সব প্রচেস্টা ব্যার্থ্ হএ যাবে) সুতরাং , আমাদের কে আনেক সতর্ক হতে হবে, এবং একিই সাথে প্রার্থনও করতে হবে আল্লাহর কাছে, যেন আমরা বীপথগামীদের দলভুক্ত না হই(আমিন)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.