যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ল সহিদ। অবিবাহিত । আজকে তার এক বিশেষ দিন । এই দিনে সে খুব সকালে উঠে । বাসার কেউ কখনও জানে না সে এত সকাল এ উঠে কই যায় ।
কাছের বন্ধুরাও জানে না কিছু । সহিদও বলে না মুখ ফুটে ।
সে যথারীতি তৈরি হয়ে খাবার টেবিল এ নাস্তা করতে বসল। অন্য দিনের তুলনায় আজকে তার মন তা ভিন্ন রকম লাগছে তার মা এর কাছে ।
মা : কি হয়েছে তোর?
ছেলে : কই? কিছু না তো !!!!
মা : কই যাচ্ছিস
ছেলে : (চুপ) ......
মা : কি হল?
ছেলে : এই তো একটু কাজ এ যাব............।
।
নাস্তা খেয়ে দ্রুত বের হয়ে গেল সহিদ। গাড়ি টাও নেয় নি সে। বাস এর কাউন্টার এ এসে বাস ধরল সে। গন্তব্ব লালবাগ।
খুব পুরান একটা ৩ তলার বাড়ির ২ তলায় আসল সে । সাথে সাথে একটা ২/৩ বছর এর বাচ্চা ছেলে বাবা বাবা করে চিৎকার করে সহিদ এর কাছে ছুটে আসল। অনেক আদর করে তারপর ঘরে ঢুকলো শহিদ।
খাট এ সহিদ এর ওয়াইফ বসা । সহিদ কে দেখে খুশি হল সে অনেক ।
তবু ও ভাব ধরে ছিল। কিছুটা অভিমান ভরা চাহনি নিয়ে সে সহিদ এর দিকে তাকাল। সহিদ বুজতে পেরে সুমনা কে কাছে টেনে নিল । সুমনা জোর করে ছাড়িয়ে নিল ।
পকেট থেকে একটা খুব সুন্দর একটা আংটি বের করে সুমনা কে হাত বাড়াতে বলল।
সুমনা হাত বাড়াতেই সহিদ ওর ডান হাতে আংটি টা পড়িয়ে দিল। আরর বলল - “ আজকে আমদের বিয়ার ৫ বছর হল ।
সুমনা : কিছু এটা তো আমরা ছাড়া আর কেউ জানে না
সহিদ : হ ম ম
সুমনা : কি ভাবছ ?
সহিদ : ভাবছি, তোমাকে আমার পরিবার এর সাথে পরিচয় করে দেয়ার সময় এসেছে ।
সুমনা : না না। আমার ভয় করে
সহিদ : কেন? ভয় নাই।
আমি আছি। আর তা ছাড়া আমার পরিবার কে না জানালে বিপদ হতে পারে । এতদিন না জানিয়ে থেকেছি। এখন জানাতেই হবে
সুমনা : হ ম ম। দেখি চিন্তা করে।
এদিকে সহিদ জানালার পাশে এসে বসল। প্রকৃতির ছায়ায় থাকতে থাকতেই তার পুরোন দিনের কথা মনে পরে গেল। সেই ৫ বছর আগের কথা ।
চলবে......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।