আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যা করতে হবে



চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। ভর্তির জন্য আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবার প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষার আবেদন মোবাইলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স¤প্রতি চবি কেন্দ্রিয় ভর্তি কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচীঃ বরাবরের মতো এবারও আটটি ইউনিটের অধীনে চবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিট ভিত্তিক প্রত্যেকটি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের জন্য সময় দেয়া হবে একঘন্টা। আগামী ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটায় বিজ্ঞান অনুষদের (এ ইউনিট) এবং বিকাল আড়াইটায় বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের (এফ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । এছাড়া আগামী ৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে জীববিজ্ঞান (এইচ ইউনিট) অনুষদ ও বিকালে সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের (জি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা, ৯ অক্টোবর সকালে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের (সি ইউনিট) পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা গ্র“প ভূক্তদের পরীক্ষা এবং বিকেলে বিজ্ঞান ও মানবিক গ্র“পভূক্তদের পরীক্ষা, ১০ অক্টোবর সকালে কলা অনুুষদের (বি ইউনিট) পরীক্ষা এবং বিকালে কলা অনুষদভূক্ত চারুকলা, আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ এবং প্রাচ্যভাষায় ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা, ১১ অক্টোবর সকালে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের (ডি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা এবং শেষ দিন ১২ অক্টোবর সকালে আইন অনুষদে (ই ইউনিট) ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদন যেভাবেঃ যেকোন টেলিটক মোবাইলে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য আবেদন করতে হবে।

এজন্য টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ঈট লিখে স্পেস দিয়ে এইচএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর, স্পেস দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে এইচএসসি পাশের সাল, স্পেস দিয়ে এসএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর, স্পেস দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে এসএসসি পাশের সাল, স্পেস দিয়ে কাঙ্খিত ইউনিটের কী-ওয়ার্ডটি লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। এক্ষেত্রে ভর্তির আবেদন ফরমের জন্য ৩০০ টাকা কাটা ছাড়াও সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৩০ টাকা বাড়তি কেটে রাখা হবে। আর এর মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে আবেদনের কাজ। পরবর্তীতে প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে তা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন। ভর্তির পরিপূর্ণ নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট যঃঃঢ়://িি.িপঁ.ধপ.নফ এ পাওয়া যাবে।

একবার এসএমএস করে আবেদন করলে পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করা যাবেনা। এসএমএস পাঠানোর পর সকল তথ্য সঠিক হলে ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম, ভর্তি পরীক্ষার ফি ও একটি চওঘ জানিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। তখন ১৬২২২ নম্বরে আরেকটি এসএমএস পাঠিয়ে সম্মতি জানাতে হবে। সম্মতি জানাতে প্রথমে ঈট লিখে, স্পেস দিয়ে ণঊঝ , স্পেস দিয়ে চওঘ লিখে স্পেস দিয়ে আবেদনকারীর যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত যে কোন অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। অনুষদ ভিত্তিক কী ওয়ার্ডগুলো হল বিজ্ঞান অনুষদ অ, কলা অনুষদই১, ই২(চারুকলা, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ ও প্রাচ্য ভাষা), ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ঈ১(উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবসায় শিক্ষা , ডিপে¬ামা-ইন কমার্স, ডিপে¬ামা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ শাখা), ঈ২(মানবিক শাখা), ঈ৩(বিজ্ঞান শাখা), সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ উ১(মানবিক শাখা), উ২(বিজ্ঞান শাখা), উ৩(ব্যবসায় শিক্ষা শাখা), আইন অনুষদঊ, ইনস্টিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রণমেন্টাল সায়েন্সসঋ, ইনস্টিউট অব মেরিন সায়েন্সস এন্ড ফিশারিজএ এবং জীব বিজ্ঞান অনুষদঐ১, ঐ২(মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য), ঐ৩(ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা)।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটার জন্য (ঋঋছ), খেলোয়াড় কোটা(ঝছ), ওয়ার্ড কোটা(ডছ), উপজাতি কোটা(ঞছ), অ-উপজাতি কোটা(ঘঞছ), শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটা(চউছ) এবং শিল্পী কোটার জন্য (অছ) লিখে এসএমএস করতে হবে। আসন সংখ্যা : আসন্ন ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় এবার ৮টি ইউনিটের অধীনে ৪০টি বিভাগ ও ইনিস্টিটিউটে মোট ৩ হাজার ৪’শ ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। এরমধ্যে সাধারণ আসন দুই হাজার ৭শত ৫৪টি এবং উপজাতি, অ-উপজাতি, ওয়ার্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, প্রতিব›দ্ধী, খেলোয়াড়, বিদেশী এবং শিল্পী কোটার জন্য রয়েছে ৬৫১টি সংরক্ষিত আসন। এর মধ্যে কলা অনুষদে ৯২১ টি, বিজ্ঞান অনুষদে ৫৯৯টি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে (বিবিএ) ৪৭৬টি, সমাজ বিজ্ঞান অনষদে ৭১০টি, আইন অনুষদে ১১৯টি, বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটে ৭৮টি, মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটে ৫৩টি এবং জীববিজ্ঞান অনুষদে ৪০০টি আসন রয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহনের যোগ্যতা : পরীক্ষা দেয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হল ‘এ’, ‘সি’, ‘জি, ও ‘এইচ’ ইউনিটে এসএসসি, দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যুনতম জিপিএ সাত পয়েন্ট, ‘বি’ ও ‘ডি’ ইউনিটে জিপিএ ছয় পয়েন্ট, ‘ই’ ইউনিট জিপিএ সাড়ে ছয় পয়েন্ট এবং ‘এফ ইউনিট জিপিএ আট পয়েন্ট।

শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তিচ্ছুদের চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরী করা হবে। মোবাইলে ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ন শিক্ষার্থীদেরকে যাচাইয়ের জন্য পরবর্তীতে ইউনিট ভিত্তিক ত্রিশ মিনিটের আরেকটি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.