আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের মানবতাবিরোধী বিচারের আদালতে সরকারের ছত্রছায়ায় লুকিয়ে থাকা এসব অপরাধীদের আগে বিচার চাই।

মিয়াজী

যুদ্ধাপরাধীর বিচার তো আমি আপনি সকলে চাই কিন্তু বিচারটা করবে কে? প্রত্যেক দলেই তো যুদ্ধাপরাধী আছে। নাকি ভাই মিথ্যা বললাম? সরকারী দল, বিরুধী দল, ইসলামী দল যেই দলই বলেন না কেন। তাইলে কী বিচারটা আমি আপনি করব? নাকি বিরুধী দল? না সরকারি দল? নাকি আদালত? সেতো সরকারী দলের পোষা ক্যাঙ্গারো কোর্ট। যে কোর্টে আপনার ভাই হত্যার বিচার পাওয়া যায় না। যে কোর্টে আপনার ধর্ষিত মা বোনের কোন সুষ্ঠ বিচার নেই।

যে কোর্টের নির্দেশে কিছু নিরপরাধ লোক হাজতে বাস করে আর সন্ত্রাসীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়। সত্যিকার বিচার করতে হলে আগে এদের বিচার করুন: ০১. যারা যুদ্ধের সময় আমার দেশের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে, লুণ্ঠন করেছে, তাদের বিচার চাই। যাদের আংশিক তালিকা নিচে দেওয়া হলো। ০২. যারা যুদ্ধের পরে আমাদের দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ভারতে পাচার করেছে তাদের বিচার চাই। ০৩. বিচার চাই জাবি’র সোনার ছেলে মানিকের যে স্বাধীন দেশে আমার একশত বোনকে ধর্ষণ করে সেঞ্চুরি অনুষ্ঠান করেছে।

০৪. প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাবিতে অধ্যয়নরত আমার বোন বাঁধনকে যারা বিবস্ত্র করল তাদের বিচার চাই। ০৫. মিষ্টি চেহারার ছোট্ট বোন তৃষা, কলেজছাত্রী নাহার, ইলোরা, সানী ও নাম না জানা অসংখ্য বোন বখাটেদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে সে বখাটেদের বিচার চাই। ০৬. বিচার চাই সেসব নারীদের যারা নারী হয়েও অন্য নারীকে ইডেন কলেজ থেকে মন্ত্রী, এমপিদের বাসায় পাঠায় রাত কাটানোর জন্য। যারা পয়লা বৈশাখে শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে নারী দেহের ওপর। যারা আনন্দমোহন কলেজে শত শত বোনকে লাঞ্ছিত করেছে।

০৭. যারা ঢাকার রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার ওপর নৃত্য প্রদর্শন করে তাদের বিচার চাই। ০৮. মানবাধিকার যদি কোনো দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে থাকে, যদি মানবাধিকার সবার জন্যই হয়ে থাকে, তবে মেধাবী ছাত্র আবু বকর হত্যার বিচার চাই। আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীদের আংশিক তালিকাঃ (যাদের বিরুদ্ধে খুন,লুটতরাজ,অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষনের মামলা হয়েছে ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে) ১। লিয়াকত আলী -হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী হচ্ছেন লাখাই কৃষ্ণপুর গ্রামের হরিদাস রায়। মামলায় ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান আসামী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পাক বাহিনী উপজেলার কৃষ্ণপুর, গদাইনগর ও চণ্ডিপুর গ্রামে ১২৭ জনকে হত্যা করে। আরজিতে শহীদ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ২।

আকবর আলীর -বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকবর আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা হয়েছে। আকবর আলী কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৭ মে আসামি আকবর আলী পাক হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন এবং যাবার সময় আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয়। প্রামাণিকের ছেলে আকবর আলী পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী ও শান্তি কমিটির নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি এলাকায় নারী ধর্ষণ ও লুটপাটে পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন।

৩। আব্দুল হামিদ গাজী -(তথা কথিত আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা ) শ্যামনগর থানার কাশিমারি গ্রামের কানাই গাজীর পুত্র ৪। আনোয়ার হোসেন কারিকর -বর্তমানে সাতক্ষিরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ৫। আদর আলী কারিকর- (আনোয়ার হোসেন কারগরের ভাই) ৬। আব্দুস সবুর মোল্লা -সাতক্ষিরার শ্যামনগর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী।

৭। ছইলউদ্দীন তরফদার-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা ৮। আব্দুল হক তালুকদার-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা ৯। আব্দুস সবুর মোল্লা-কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা ১০। রহিম পাড় -কাশিমারি ,শ্যামনগর,সাতক্ষিরা ১১।

সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসের ১২। হাসিনার বেয়াই মোশাররফ- ফরিদপুরের শান্তি কমিটির লীডার ১৩। আনোয়ার হোসেন- আওয়ামী লীগের সাংসদ ১৪। মাওলানা নুরুল ইসলাম- সাবেক ধর্মমন্ত্রী ১৫। চৌধুরী পিরু মিয়া- সিলেট-৩ আসনের সাংসদ ১৬।

আব্দুল কুদ্দুস - সাধারণ সম্পাদক, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ আছে, অবশ্য অনেকে আবার বলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধাদের সোর্স ছিলেন। ১৭। ডাঃ মোঃ ইশারত উল্লাহ(৮৫) -গ্রাম-আদম জামুর,শেরপুর,বগুড়া। বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

১৮। মুঃ শহিদুল্লাহ(৬০)-গ্রাম-নামা জামুর,শেরপুর,বগুড়া। বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৯। আব্দুল হাকিম (৬২)-গ্রাম-নামা জামুর,শেরপুর,বগুড়া।

বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০। মোঃ আব্দুল করিম প্রামানিক(৭০)-পাকুড়িয়া পাড়া, শেরপুর , বগুড়া। বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২১।

মির্জা আজমের পিতা ( যিনি তার গুরু গোলাম আজমের নামে ছেলের নাম রেখেছেন) ২২। সাবের হোসেনের পিতা (যিনি ছিলেন শান্তি কমিটির নেতা) ২৩। মাওলানা মোক্তারুজ্জামান খান -গ্রাম-বালিদিয়া,উপজেলা-মহম্মদপুর,জিলা-মাগুরা । মহম্মদপুর উপজেলা রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ( বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.