ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
সর্বোচ্চ আদালত বলেন, রাজ্য সরকারগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ জানুয়ারির নির্দেশনা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পুলিশের শীর্ষপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে। বিচারপতি বি এস চৌহান ও বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন।
আদালত বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(ক) ধারার কার্যকারিতা স্থগিত না করায় এ ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিষিদ্ধ করা যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা পরীক্ষা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ফেসবুকে মন্তব্য কিংবা বিতর্কিত কিছু পোস্ট করার কারণে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নাগরিক সমাজের প্রতিবাদের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার গত ৯ জানুয়ারি রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশনা দেয় যে এসব ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশনায় বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(ক) ধারার আওতায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে মহানগরের ক্ষেত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং জেলা পর্যায়ে ডেপুটি কমিশনার বা পুলিশ সুপার পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে।
এর নিচের পদের কারও নির্দেশে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
তামিলনাড়ুর গভর্নর কে রোজাইয়াহ ও কংগ্রেসের বিধায়ক অমঞ্চি কৃষ্ণ মোহনকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সম্প্রতি হায়দরাবাদের এক নারীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। এ ছাড়া একই ঘটনায় পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জয়া বিনদয়ালকে ১২ মে গ্রেপ্তার করা হয়। পিটিআই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।