আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিন্ডিকেট নিউজ কার স্বার্থে?

আমরা মানুষের মত মানুষ হতে চাই । পরনির্ভরশীল হতে চাই না।

সিন্ডিকেট নিউজ কার স্বার্থে? ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম পৃথিবীতে সংবাদপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই মানবজীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এর বিচরণ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্ম-দর্শন, বিনোদন তথা মানবসভ্যতার বিকাশের মূল বাহন হচ্ছে সাংবাদিকতা। চিন্তার ক্ষেত্রে পরিবর্তন, ধ্যান-ধারণার বিবর্তন সমাজ-সংস্কৃতির রূপান্তরের ধারক হলো সাংবাদিকতা। মানুষের জীবন আচরণের নিত্যসাথী সাংবাদিকতা শুধু ইতিহাসই নির্মাণ করে না, ইতিহাস নির্মাণে সাহায্যও করে।

এ সকল বিবেচনায় সংবাদপত্রকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের কারিগর হিসেবে সাংবাদিকরা অনেক পরিশ্রম করে প্রতিদিন আমাদের সামনে অনেক অজানা খবর নিয়ে আসেন। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সাংবাদিক, তথা প্রিন্টমিডিয়া ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের মানুষ এই সৎ, দক্ষ দেশপ্রেমিক, সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন পেশাদার এই শ্রেণীর সাংবাদিক ও মিডিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ইদানীংকালে আরেক শ্রেণীর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ, তোষামোদ, মিথ্যাচার ও সিন্ডিকেট নিউজে জড়িয়ে পড়ছে।

এটি ঐ সাংবাদিক ও মিডিয়ার জন্য যতটুকু না ক্ষতিকর, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকর আমাদের দেশ, জাতি ও সাধারণ নাগরিকদের জন্য। এর থেকে আরো ভয়াবহ ক্ষতিকর আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য, যারা অসত্য ও বিকৃত খবর ধারণ করে বেড়ে উঠছে। গণমাধ্যম আমাদের নাগরিকদের নতুন নতুন পথ দেখাবে তারা যদি বিপথগামী করে, যারা আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ বিভক্তি দূর করে জাতীয় ঐক্য ও মূল্যবোধের পথ আবিষ্কার করবে, তারাই যদি আমাদের অসত্য, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে খবর পরিবেশন করে থাকেন, তাহলে তো আমাদের দাঁড়ানোর শেষ জায়গাটুকুও অবশিষ্ট থাকে কি? সম্প্রতি এই কালচারটা যেন ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর আকার ধারণ করেছে। প্রখ্যাত সাংবাদিক জুলিয়াস হ্যারিস ও স্ট্যানলি জনসন বলেছেন, ’’সংবাদ হচ্ছে সব চলতি ঘটনার সংমিশ্রণ, যে বিষয়টিতে সাধারণ মানুষের কৌতূহল আছে এবং পাঠককে আগ্রহী করে তোলে তাই সংবাদ’’। কিন্তু আজ কতিপয় সংবাদপত্র পাঠককে কৌতূহলী ও আগ্রহী করতে অতিরঞ্জিত ও অসত্য এবং আজগুবি খবরের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ানোই যেন মূল উদ্দেশ্য। এখনতো অনেক মিডিয়ার মালিকই শিল্পপতি ও দুনীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু কতগুলো পেশার ব্যক্তিদের ব্যবসায়ী চিন্তার ঊর্ধ্বে না উঠতে পারলে জাতি হিসেবে আমাদের কপালে অধঃপতন ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। সেই পেশাগুলোর বিরুদ্ধে আজ কমবেশি বিস্তর অভিযোগ রয়েছে যেমন, ডাক্তার, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, বিচারক ও সেবা সংস্থার। তাদের পেশাদারিত্বের মূল্যবোধ বজায় রাখার মানেই জাতির শিরকে সমুন্নত করা কিন্তু তা কি আমরা পারছি? আমাদের মনে রাখতে হবে, সকল পেশার মানুষেরই অর্থের টার্গেট হওয়া উচিত নয়, বরং জীবিকা নির্বাহের জন্য যতটুকু অর্থ না হলেই নয়।

আমাদের গণমাধ্যম জগতের অনেকেই সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাতির সামনে উজ্জল নক্ষত্র হযে আছেন। আজকাল রাজনীতিবিদদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে কতিপয় গণমাধ্যম। এখনতো আমাদের দেশের ছোট একটি শিশুও জানে কোন পত্রিকা ও চ্যানেল কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী। কেউ আবার একটু নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করলেও সবাই মিলে টেনেহিঁচড়ে যে কোন দলে ভিড়তে বাধ্য করে। নচেৎ তার টিকে থাকাই যেন দায়।

আমাদের কতিপয় গণমাধ্যম যেন গোয়েবলসীয় সূত্রে বাতিকে দারুণ আক্রান্ত। গোয়েবলসীয় শব্দটি আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত। অধিক মিথ্যাচার করলে এ শব্দটি সাধারণত প্রয়োগ করা হয়। মুলত গোয়েবলস জোসেফ ছিল হিটলারের অনুসারীদের অন্যতম। হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলসফি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

পরে বার্লিনের অন্যতম নাৎসি নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং নাৎসি সরকারের তথ্য ও প্রচার দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি মিথ্যা বারংবার কিংবা দশ বার জোর দিয়ে বলতে পারলে তা সত্যতে রূপান্তরিত হবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে তিনি তার এই ধারণা অনুযায়ী জার্মান প্রচার যন্ত্রকে পরিচালিত করেন এবং বার্লিনের পতনের সময় হিটলারের এই বিশ্বস্ত সহচর তার সাথেই ছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেন। তার এই কৌশল থেকে এখনও মিথ্যাচারকে গোয়েবলসীয় প্রচার বলে আখ্যায়িত করা হয়।

কিন্তু গোয়েবলসীয় এই মিথ্যাচারে যারা লিপ্ত হয়ে যাদের চরিত্র হননের কাজটি করা হয় তা কি আর ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব? এ সম্পর্কে আমি পাঠকদের নিকট তিনটি কেইস স্টাডি তুলে ধরলাম- এক. প্রথমে আমার নিজের জীবনের ছোট্ট একটি ঘটনা মনে পড়ে, আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সম্ভবত ২০০১ সাল। একটি জাতীয় প্রভাবশালী ও প্রথম কাতারের পত্রিকায় একটি নিউজ ছাপা হলো। নিউজের হেড লাইন- ‘‘এমন নির্যাতন আইয়্যামে জাহিলিয়াতকে হার মানায়’’ রিপোটে বলা হয়, অমুক ছাত্রসংগঠনের অমুক অমুক মিলে গভীর রাতে মাদার বকস হলে ছাদে অমুকের চোখে মরিচ ভেঙে দিয়ে হল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তার অপরাধ তিনি হিন্দু- এভাবে বিস্তারিত নিউজ ছাপা হয়েছে। এ খবরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় তোলপাড়। তা আবার মৈালবাদীদের দ্বারা সংখালঘু নির্যাতনের ঘটনা বলে কথা ।

আওয়ামী-বাম জোটের ছাত্র-শিক্ষকরা ভিসির নিকট এ অমানবিক ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবী করল। তদন্ত কমিটি হলো। তদন্তে দেখা গেল, যে ছাত্রের চোখে মরিচ ভেঙে দেয়া নিয়ে নিউজ সে তখন হলে অনুপস্থিত। এর অনেক আগেই সে বাড়িতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছেলেটিকে তলব করল।

তখন সে বলল, এ রকম ঘটনা তো ঘটেইনি আমি তো তখন বাড়িতে। এবার পত্রিকার প্রতিবেদকে এ জাতীয় নিউজের কারণ জানতে চাইলে প্রতিবেদক বলল, স্যার, অমুককে ফাঁসাতে এমন রিপোটটি করেছি। মৌলবাদী ঐ সংগঠনের নিকট নুরোধ করে বলল, এই সেনসেটিভ নিউজের প্রতিবাদ গেলে পত্রিকা অফিস আমার চাকরি রাখবে না। স্যরি ভাই, অন্য সময় আরেকটি ভালো নিউজ করে আপনাদের পুষিয়ে দিব। আমি ঐ পত্রিকার নাম ও সাংবাদিকের নাম ইচ্ছা করে উল্লেখ করিনি।

ঐ সাংবাদিক এখন ঢাকায় অন্য আরেকটা পত্রিকায় কাজ করেন। ঐ দিনও প্রেস ক্লাবে তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। তিনি অবশ্য এখনো পুষিয়ে দেয়া নিউজটি করেননি। দুই. সম্প্রতি এক সাংবাদিক ফোন করে বলল, ভাই স্যরি আমাকে নিউজটি এইভাবে সাজাতে হচ্ছে। যদিও আমি জানি এই কথাগুলো অসত্য।

কারণ কয়েকটি পত্রিকা ইতোমধে এভাবে নিউজটি করে ফেলেছে বিধায় আমার করার কিছু নেই। স্যরি ভাই আমার পত্রিকার পলিসি। না হলে আমার চাকরি থাকবে না। বুঝেন তো ভাই আমরা ইচ্ছা করলেও সব করতে পারিনা। তিন. গত ১৭ মার্চ মগবাজার আলফালাহ মলিনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা কর্তৃক আয়োজিত সীরাতুন্নবী (সা) মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী আমীরের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে প্রথমে নিউজ করে একটি অন-লাইন পত্রিকা।

যদিও পত্রিকা রিপোর্টার এই মিথ্যা রিপোটের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এর পর শুরু হয় সিন্ডিকেট নিউজ। কথিত ইসলামী তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার একটি মিথ্যা মামলা করা হয়, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মজার ব্যাপার হলো ওই আলোচনা সভায় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ কেউই উপস্থিত ছিলেন না। অথচ মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে রাসুলের সাথে মাওলানা নিজামীর নাম তুলনা করা হলে তিনি টেবিল চাপড়িযে উল্লাস প্রকাশ করেন।

মিথ্যা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি? সবই এই রিপোটে ধারণ করা হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দু'টি এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি মোট তিনটি কেসস্টাডি তুলে ধরলাম। আমার উদ্দেশ্য কাউকে ঘায়েল করা নয়। বরং অবিরাম যে সাংবাদিক ও মিডয়া ন্যায় এর পক্ষে সংগ্রাম করছেন তাদের সাথে শরিক হওয়ার সামান্য প্রয়াস মাত্র। উল্লেখ্য, প্রথমটি কেসস্টাডিটিতে সাংবাদিক বা রিপোর্টার নিজেই অসত্য নীতি অবলম্বন করেছেন, পত্রিকা নয়।

আর দ্বিতীয়টিতে সাংবাদিক তার সত্য নীতির ওপর টিকে থাকতে দেয়নি পত্রিকার স্টানবাজি বা পলিসি। তৃতীয়টিতে রিপোটার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিউজটি করেছেন। এই দুনিয়াতে এগুলোর বিচার না হলেও আল্লাহর আদালত থেকে এই মিথ্যাবাদীরা ছাড পাবেনা। আমাদের সমাজে কিছু ভালো গণমাধ্যম ও সৎ পেশাদার সাংবাদিক না থাকলে আমরা এত দূর আসতে পারতাম না। আমাদের উন্নতি অগ্রগতি সত্য ও ন্যায়, ঐক্য ও সঙ্গতির আবিষ্কারক আমাদের সংবাদপত্র।

সংবাদপত্র আমাদের জাতীয় দর্পণ এগিয়ে নেয়ার কান্ডারি। গণমাধ্যম আমাদের এগিয়েও দিতে পারে আবার ধ্বংসের অতল গহবরেও নিমজ্জিত করতে পারে। তাই দেখা যায় ‘নিউইর্য়ক জার্নালের প্রকাশক র্যা ডলফ হাস্ট বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করে আমেরিকা ও স্পেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিলেন। আবার ভলতেয়ারের বই পড়ে ফ্রান্সের জনগণ তাদের দেশে বিপ্লব ঘটানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। স্যার এরিখ হাজনস বলেছেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সঠিক, করিতজ্ঞাত ও ত্বরিতগতিতে তথ্যাদির এদিক ওদিক এমনভাবে প্রেরণ যাতে করে সত্য পরিবেশিত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও সব তথ্যের যথার্থই ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

কিন্তু আমাদের অনেক সংবাদপাঠককে আশ্চর্যান্বিত উত্তেজিত করলেও পরবর্তীতে এর অসত্য ও বানোয়াট দিকটিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটি দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এরকম শত শত ঘটনার মধ্যে মাত্র একটি ঘটনা তুলে ধরলাম, সম্প্রতি জামায়াতের শীর্ষনেতাদের গ্রেফতারের পর কয়েকটি গণমাধ্যম অনেক আজগুবী, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিউজ পরিবেশন করে গোয়েবলসকে হার মানিয়েছে। হয়ত গোয়েবলস এখন জীবিত থাকলে কালের কণ্ঠ, জনকন্ঠ, সমকাল যুগান্তর আ-সময় এর সাংবাদিকদের শিষ্যত্ব প্রহণ করতেন। তাদের সাথে যোগ হলো আমাদের কিছু গোয়েন্দা সংস্থার অতিউৎশাহী কর্মকর্তা।

যাদের বরাত দিয়ে সিন্ডিকেট নিউজ চলতে থাকল, জেএমবি নেতা সাইদুর, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী মুখোমুখি। সারা দেশে তোলপাড। তাও আবার কে কি বলেছে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বড় বড় হেড লাইনের খবর। অথচ কারাগারে নেয়ার সময় মতিউর রহমান নিজামী বললেন তাদের সাথে জেএমবি নেতা সাইদুরের সাক্ষাৎই হয়নি। এ হলো হলুদ সাংবাদিকতার নতুন রূপ।

বলুন তো তাহলে ঐ সংবাদপত্র ও সাংবাদিক সম্পর্কে দেশের জনগণ কি ধারণা লাভ করবে। আমি বিনয়ের সাথেই বলব Freedom of speech বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা Freedom of press বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার এ কথাগুলোর নেতিবাচক প্রয়োগ আজ সাংবাদিকতা পেশায় অহরহ। এর ফলে লাভবান একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল। অথচ যার কলমের মাধ্যমে এই বিকৃত উপস্থাপনা তার হয়ত নিতান্তই অজানা এই নিউজের বেনিফিশিয়ারি কে বা কারা। এটি ব্যক্তির লোভলালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, অশিক্ষা আর এই মহান পেশার দায়িত্বভার সম্পর্কে না জানার কারণে হয়ে থাকে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন মিডিয়া কর্মীকে চিনি। যারা খুবই অল্প শিক্ষিত ও নিম্ন পরিবার থেকে উঠে আসা। এখন অনেক পাওয়ারফুল সাংবাদিক। এটিও তার বিশেষ যোগ্যতা হতো যদি এত কম পুঁজি নিয়েও এই মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি পারছেন না।

কেন? তিনি তার কলমের শক্তি সম্পর্কে সম্যক অবহিত হন। তাই ঐ সাংবাদিক অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে কখনও এই ঢিলের আঘাতে ক্ষতিকর বস্তু নিঃশেষ হচ্ছে, আবার কখনও কোন কল্যাণকর জিনিস ধ্বংস করে দিচ্ছে, আবার কখনও এ ঢিলের আঘাত কোন সম্মানিত ব্যক্তির চরিত্রহনন করছে, যা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। যার সম্পর্কে ঐ সাংবাদিকের জানাই নেই। এই জন্যই কথায় বলে- ‘‘বোকা বন্ধু থেকে বুদ্ধিমান শত্রু উত্তম’’। আজকাল পশ্চিমারা আমাদের মিডিয়া দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।

Freedom of speech বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা Preedorm of press বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিজেদের অর্থ দিয়ে গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ করছে। আর সারাবিশ্বে মিডিয়ার বিষবা ছড়াতে প্রোপাগান্ডিস্টদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন অন্যতম ইহুদি চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী বার্নার্ড লুইস ও স্যামুয়েল হান্টিংটন, যারা ‘Clash of Civilization (সভ্যতার দ্বনদ্ব) তত্ত্ব বিশ্ববাসীর সামনে পেশ করেছে। বিশ্ব জায়নবাদী গোষ্ঠী এই তত্ত্বকে মিডিয়ার নিকট অর্পণ করেছে। মিডিয়া বিভিন্নভাবে সিনেমা, ফিল্ম, নভেল, নাটক, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের মন-মস্তিষ্কে এ কথা মজবুতভাবে ঢুকিয়ে দেবার প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়েছে যে, কমিউনিজমের পতনের পর পাশ্চাত্যের শত্রুতার গতিপথ এখন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে শুরু করেছে। ১৯৯০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ইহুদি গুরু হেনরী কিসিঞ্জার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এক বার্ষিক অধিবেশনে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি হচ্ছে, বর্তমানে পাশ্চাত্যের সামনে নতুন দুশমন হলো ইসলাম, যা ইসলামী বিশ্ব ও আরব বিশ্বের বিশাল এলাকা জুড়ে পরিব্যাপ্ত।

' ২০০১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে কিসিঞ্জার দ্বিতীয় বক্তৃতায় বলেন, ‘ইসলামী সন্ত্রাস ও চরম পন্থার বিরুদ্ধে আগামীকালের পরিবর্তে আজই যুদ্ধ শুরু করা উচিত। ' একই তারিখে বৃটিশ দৈনিক সানডে টেলিগ্রাফ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিলো, ‘ইসলাম কি আমাদের দাফন করে দেবে?' একই তারিখে লন্ডন থেকে প্রকাশিত সানডে টাইমস তার সম্পাদকীয়তে পাশ্চাত্যের মনোযোগ আকর্ষণ করে বলেছে, উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য এশিয়ার চীন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ইসলামী ফান্ডামেন্টালিজম তথা ইসলামী মৌলবাদ ফণা তুলেছে। অতি দ্রুত এই বিষাক্ত সর্পের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া উচিত। ১৯৯২ সালের এপ্রিলে ইকোনোমিস্ট পত্রিকা তার প্রথম পাতায় ইসলামকে টার্গেট বানিয়ে একটি কার্টুন ছেপেছে, যাতে এক আরব ব্যক্তি বন্দুক নিয়ে একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

একই তারিখে সাপ্তাহিক টাইম একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যাতে বলা হয়েছে, গোটাবিশ্বকে ইসলামের বিপদ থেকে সতর্ক থাকা উচিত। পত্রিকাটি তার কভার পৃষ্ঠায় মসজিদের মিনারের ছবি ছেপেছে, যার পাশে এক ব্যক্তি মেশিন গান নিয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে অভিজ্ঞতার জন্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে প্রথমবার হামলার নাটক মঞ্চস্থ করার পর হলিউড ‘প্রকৃত মিথ্যা' নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করে, যার মূল কথা ছিল- আমেরিকায় একটি গোপন আরব মিলিশিয়া সক্রিয় রয়েছে। যাদের শ্লোগান ‘মুসলমানদের স্বাধীনতা'।

এই মিলিশিয়া আমেরিকায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে। সেই পরিকল্পনার আওতায় তারা আমেরিকার বিমান অপহরণ করে নিউইয়র্কে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলার জন্য আকাশে উড্ডয়ন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক অফিসার ও তার স্ত্রী তাদের আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত হয়ে যায়। তারা উভয়ে সন্ত্রাসীদের এই হামলা ব্যর্থ করে দেয়। এভাবে তারা নিউ ইয়র্ককে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে।

‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান অপহরণ' নামে দ্বিতীয় আরেকটি ফিল্মে বলা হয়েছে, ইসলামী রাষ্ট্র দাগেস্তানের কিছু লোক দীর্ঘ দিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের আওতায় তারা বুশকে হত্যার জন্য তার বিমান অপহরণ করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে। ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা ও শত্রুতা ছড়ানোর অংশ হিসেবে ১৯৯৮ সালে হলিউড আরেকটি ফিল্ম নির্মাণ করে। সেটি ছিল হলিউডের এ যাবৎকালে সবচেয়ে ব্যবসা-সফল ফিল্ম। তাতে দেখানো হয়েছে, শান্তি-নিরাপত্তার প্রবক্তা ও গোটা মানবতার কল্যাণকামী আদর্শ দেশ আমেরিকার সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য হিংসা-বিদ্বেষে ভরপুর মানবতার দুশমন মুসলমানরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে এ কাজের সূচনা করেছে।

গোটা দুনিয়ার যদি ভয় ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে তাহলে সে আশঙ্কা মধ্যপ্রাচ্যোর আরবদের থেকে। বিশ্বব্যপী ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিসমাপ্তির পর পশ্চিমা মিডিয়া, গবেষক, চিন্তাবিদ ও নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর মুখে মুখে সর্বদা একই আলোচনা শুরু হয়, কমিউনিজমের পর পশ্চিমাদের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ পলিটিক্যাল ইসলাম (Political Islam) এ ‘সভ্যতার দ্বনদ্ব' তত্ত্বটি মৌলিকভাবে বার্নার্ড লুইস (Bernard Lewis) এর আবিষ্কার, যা স্যামুয়েল হান্টিংটনের নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এই তত্ত্বটির ফলে পশ্চিমা গবেষক ও চিন্তাবিদদের মন-মস্তিষ্কে এ কথা ছেয়ে গেছে, ইসলাম ও পশ্চিমাদের মাঝে দ্বনদ্ব-সংঘাত অনিবার্য। আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আক্রমণ, ধ্বংসলীলা ও জবর দখলের ঘটনা একই প্রেক্ষাপটে হয়েছে। সেটি আজ ধেয়ে আসছে এশিয়ার এ ভূখন্ডের দিকে।

এ অঞ্চলের সুপার-পাওয়ার হবে তাদের স্যোলএজেন্ট ভারত আর ভারতের পরিকল্পনায় পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের ওপর এই অমানবিক নির্যাতন। আর তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মরিয়া তাদের পরিচালিত কতিপয় মিডিয়া ও বেতনভুক্ত কিছু বুদ্বিজীবী। একবার আমেরিকান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি (ABC)-এর এক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ড. বুট্রোস ঘালিকে সোমালিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জবাবে ড. ঘালি বলেন, সোমালিয়ায় মার্কিন সৈন্য প্রেরণ এ কারণেই সম্ভব হয়েছিল যে, এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একাধারে দীর্ঘ ১০ মাস মিডিয়া ও গণমাধ্যমকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম। এর দ্বারা ড. ঘালি বোঝাতে চেয়েছেন, সোমালিয়ায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ বিশ্ববাসীর সামনে গ্রহণীয় বানানোর জন্য সর্বপ্রথম মিডিয়ার মাধ্যমে সোমালিয়ায় ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের কাহিনী দুনিয়াবাসীর কাছে ভয়াবহ আকার বানিয়ে পেশ করা হয়েছিল।

ড. ঘালি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে কেবল এ সংবাদ ও চিত্রই পেশ করতে লাগলাম যে, সোমালিয়ার জনগণ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও রোগ-শোকে মৃত্যুবরণ করছে। টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো ক্ষুধার্ত ও উলঙ্গ সোমালী জনগণের এমন করুণ ও মজলুম চিত্র দুনিয়াবাসীর সামনে পেশ করতে থাকে যাতে বিশ্ববাসী বুঝে, এই মরুভূমিতে না পানি আছে, না খাবার আছে, না মাথা গোঁজার ঠাঁই আছে, আর না আছে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানকার জনগণ সকল মৌলিক প্রয়োজন থেকে বঞ্চিত। যদি কোথাও থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা আসে তাও আবার অসভ্য ও জংলী মানুষগুলো সেগুলো নিয়ে পরস্পরে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। এভাবে অব্যাহত প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে আগ্রাসনের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেলে বিশ্ববাসীর বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেল যে, সেখানে বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়া জনগণকে রক্ষার আর কোন পথ নেই।

আজও জঙ্গিবাদের জিগির তুলে অনেকেই বাংলাদেশে আসার স্বপ্ন দেখছেন। ড. ঘালী বলেন, আমরা আমাদের শত্রুদের হাতে এমন কোনো কার্যকর ও শক্তিশালী সংবাদপত্র থাকতে দেব না, যার মাধ্যমে তারা তাদের মতামত সক্রিয়ভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। আর না আমরা তাদের এমন যোগ্য হতে দেব, যাতে তারা আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে কোনো সংবাদ সমাজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আমরা এমন আইন প্রণয়ন করব, যাতে কোন প্রকাশক বা প্রেস মালিক আমাদের অনুমতি ছাড়া কোনো বিষয় ছাপতে পারবে না। এভাবেই আমরা আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র কিংবা শত্রুতামূলক প্রোপাগান্ডা সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবো।

আমাদের আয়ত্তে এমন সংবাদপত্র ও প্রকাশনা থাকবে, যা বিভিন্ন গ্রুপ, দল, পার্টি ও সম্প্রদায়কে সমর্থন দেবে। এসব দল, পার্টি ও সম্প্রদায় গণতন্ত্রের প্রবক্তা কিংবা বিপক্ষ সমর্থক হোক। এমনকি আমরা এমন সংবাদপত্রের পৃষ্ঠপোষকতাও করব, যা অনৈক্য, বিপথগামিতা, যৌন সুড়সুড়ি, নৈতিক অবক্ষয়, স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ও জালেম স্বৈর শাসকদের প্রতিরোধ ও সমর্থন করবে। আমরা যখন যেখানে ইচ্ছা জাতি গোষ্ঠীসমূহের চেতনা উত্তেজিত করব আবার যখন ভাল মনে করব তখন ঠান্ডা করে দেব। এর জন্য সত্য-মিথ্যা উভয়েরই আশ্রয় নেব।

আমরা এমনভাবে সংবাদগুলো উপস্থাপন করব যাতে জাতি-গোষ্ঠী ও সরকারসমূহ তা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। বিরাট ধুমধাম, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করব। আমাদের লিটারেচার ও সংবাদপত্রগুলো হিন্দুদের দেবী বিষ্ণুর মতো হবে, যার শত শত হাত রয়েছে। আমাদের প্রেস প্রকাশনার মৌলিক কাজ হবে বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কলামের মাধ্যমে জনমত গঠন করা। আমরা ইহুদিরা এমন সম্পাদক, পরিচালক, সাংবাদিক ও রিপোর্টারদের সাহস জোগাবো এবং উৎসাহ দেব, যারা হবে দুশ্চরিত্র এবং যাদের অতীত অপর্কম ও দুষ্কর্মের রেকর্ড রয়েছে।

ঠিক একই পদ্ধতি গ্রহণ করব দুশ্চরিত্র রাজনীতিক লিডার ও স্বৈরাচারী শাসকদের ক্ষেত্রেও। এদের আমরা খুব কভারেজ দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে হিরো বানিয়ে উপস্থাপন করব, কিন্তু আমরা যখন উপলব্ধি করতে পারব, তারা আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যাবার চেষ্টা করছে, তখন আমরা তাদের এমন শিক্ষা দেব যা অন্যদের জন্যও শিক্ষণীয় হবে। যেমন সাদ্দাম হোসেন। আমরা সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে ইহুদি প্রচারমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করব। আমরা বিশ্ববাসীকে যে রঙ দেখাব, তাদের তাই দেখতে হবে।

অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদগুলো অসাধারণ গুরুত্বের সাথে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করবে, যাতে পাঠকের মেধা মনন প্রস্তুত হয়ে সেও অপরাধীর সহমর্মী হয়। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের অপছন্দের নেতাকে যে চারটি উপায়ে অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের এক নম্বর শত্রু হিসাবে তুলে ধরবো তাহলো: Stage one is the crisis-সংকট সৃষ্টি করা, Stage two is the demonetization of the enemy leader-নেতাকে দানব হিসাবে তুলে ধরা, Stage three is the dehumanizing of the enemy as individual- ব্যক্তিগতভাবেও শত্রু মনুষ্যত্বহীন বলে প্রচার করা, Stage four is the atrocity stage- শত্রুর অত্যাচার ও নৃশংসতার গল্প তৈরি করা। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ তথাকথিত যুদ্ধপরাধীদের বিচারের নামে পশ্চিমা অনুকরণে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে সে সংকট সৃষ্টির খেলায় মেতে উঠেছে। আর এ অশুভ খেলা খেলতে খেলতে যদি কেউ আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ছিনিয়ে আমাদেরকে পরাধীন জাতিতে পরিণত করে ফেলে, তাহলে হয়ত পরে আফসোস করেও এ জাতির কোন লাভ হবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.