আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিরোশিমা দিবস মানবসভ্যতার অন্যতম কলংকময় দিন।

দেশকে ভালবাসা

ঐতিহাসিক হিরোশিমা দিবস। এটি মানবসভ্যতার অন্যতম কলংকময় দিন। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল। জাপানের সমৃদ্ধতম নগরী হিরোশিমা। মারা গিয়েছিলো নিাপ শিশুসহ লাখো মানুষ।

পারমাণবিক তেজষ্ক্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তীকালে আরও বিপুলসংখ্যক বনি আদমের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর এমন এক সময় হিরোশিমা দিবস পালিত হচ্ছে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ও বর্বরোচিত বোমা হামলার হোতা যুক্তরাষ্ট্র ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক পর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। জাপানে আজকের স্মরণ সভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলও যোগ দেবার কথা রয়েছে। স্মরণসভায় যোগ দিতে জাতিসংঘের প্রথম কোন মহাসচিব হিসেবে মি. বান কি মুন গত মঙ্গলবার জাপান গিয়ে পৌঁছেছেন। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপর দুই মিত্র বৃটেন ও ফ্রান্স প্রথমবারের মতো দিনটিকে স্মরণ করতে তাদের কূটনৈতিক দল পাঠাচ্ছে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন মানবতাবাদী সংগঠন বরাবরই হিরোশিমা দিবসে কর্মসূচি পালন করে আসছে। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের সময় ১২ বছর বয়সী মেয়ে সাদাকো যখন বেড়ে উঠছিলো আরো দশজন বালিকার মতো। কিন্তু তার শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কিশোরী সাদাকো কাগজ ভাঁজ করে বানিয়ে চলে সারস, শান্তির প্রতীক যে পাখি। জাপানী লোকগল্পে রয়েছে, দশ হাজার সারস যদি কেউ বানাতে পারে তাহলে পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসবে।

সাদাকোর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। এর আগেই তার মৃত্যু ঘটে। কিন্তু শান্তির জন্য সাদাকোর সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয়নি। তাই পৃথিবীর সব বয়সী শিশু-কিশোরদের সাথে মিলে বাংলাদেশেও সাদাকোকে স্মরণ করে নিবেদিত হবে হিরোশিমা দিবসের অনুষ্ঠানাদি। যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা কি পরলোকগত সাদাকোসহ জাপানী ও শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীর জন্য সত্যিই শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে?


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.